বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন, সমাধানের ইঙ্গিত মিলছে না

Admin অক্টোবর ০৩, ২০২৫ 0

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অচলাবস্থা (শাটডাউন) দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা একে অপরকে দায়ী করলেও সমাধানের কোনো ইঙ্গিত নেই।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বাজেট অফিস প্রধান রাস ভাউগটের সঙ্গে বৈঠক করে কোন কোন প্রকল্প কাটা হবে তা নির্ধারণ করবেন। এরই মধ্যে ব্লু স্টেটগুলোর কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প স্থগিত বা বাতিল করেছে হোয়াইট হাউস।

ফেডারেল কর্মীদের ব্যাপক ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট। তিনি বলেন, হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই হতে পারে।

এদিকে ইয়ম কিপুর ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার সিনেটে কোনো ভোট হয়নি। প্রতিনিধি পরিষদে সাত সপ্তাহের জন্য অর্থায়ন বাড়ানোর বিল পাস হলেও সিনেটে মতবিরোধ রয়ে গেছে। ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্যসেবা কর-ছাড় বাড়ানো ও প্রেসিডেন্টের কংগ্রেস অনুমোদিত তহবিল একতরফাভাবে বাতিলের ক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা চাচ্ছে।

সিনেটে শুক্রবার প্রতিনিধি পরিষদ পাসকৃত বিল ও ডেমোক্র্যাটদের বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে ভোট হওয়ার কথা। সূত্র : সিবিএস নিউজ

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

বুলগেরিয়া সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

বুলগেরিয়ায় সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বুধবার সন্ধ্যায় (১০ ডিসেম্বর) দেশটিতে দুর্নীতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ। খবর রয়টার্সের। বেশ কিছুদিন ধরেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। রাজধানী সোফিয়া এবং কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী দেশটির আরও কয়েক ডজন শহরে সর্বশেষ বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। এমন এক সময় দেশটিতে এই বিক্ষোভ-সমাবেশ হচ্ছে যখন আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বুলগেরিয়া ইউরোকে তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা লেজার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সোফিয়ায় অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনে ‘পদত্যাগ’, মাফিয়া আউট এবং সুষ্ঠু নির্বাচনসহ বিভিন্ন শব্দ প্রদর্শন করেছে। সোফিয়ার বাসিন্দা ৬৪ বছর বয়সী ডোবরি লাকভ বলেন, আমি মনে করি জনগণের শক্তি ধীরে ধীরে তাদের (সরকারকে) পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে কারণ অনেক সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রথমত বিচার বিভাগীয় সংস্কার প্রয়োজন। যদি বিচার ব্যবস্থা ঠিক করা হয়, তাহলে বাকি সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে, একেবারে সবকিছুই। বুলগেরিয়ার সংসদ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী রোজেন ঝেলিয়াজকভের সরকারের ওপর অনাস্থা ভোটের আয়োজন করবে। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর ষষ্ঠবারের মতো অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে সরকার ২০২৬ সালের বাজেট পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে নেয়। বিরোধী দল এবং অন্যান্য সংগঠন জানিয়েছে যে, তারা উচ্চতর রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের অর্থায়নের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা অবদান এবং লভ্যাংশের ওপর কর বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। বাজেট পরিকল্পনার বিষয়ে সরকার পিছু হটার পরেও গত চার বছরে সাতটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া দেশটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের মধ্যে ২০২৪ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইটি বিশেষজ্ঞ অ্যাঞ্জেলিন বাহচেভানোভ বলেন, অবশেষে বুলগেরিয়ায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসার এবং আমাদের অভিজাততন্ত্র, মাফিয়া এবং তাদের প্রতিনিধিত্বকারী শক্তি থেকে নিজেদের মুক্ত করার সময় এসেছে। এদিকে বুধবার বুলগেরিয়ান সংবাদ সংস্থা বিটিএ জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন জিইআরবি দলের নেতা বয়কো বরিসভ বলেছেন, ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদাররা ১ জানুয়ারি বুলগেরিয়া ইউরো জোনে যোগদানের আগে পদত্যাগ না করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে বুধবারের বিক্ষোভের আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম সংস্কারবাদী বিরোধী দল ‘উই কন্টিনিউ দ্য চেঞ্জ’-এর অ্যাসেন ভ্যাসিলেভ বলেন, সরকার পদত্যাগ করলেও আমরা ইউরো জোনে প্রবেশ করবো।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0

তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত

২০২৬ সালের হজে ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধের গুজব

মিয়ানমারে হাসপাতালে বিমান হামলা, নিহত ৩১

সৌদিতে ঝড়-বৃষ্টি, বন্যার সতর্কবার্তা

সৌদি আরবের বেশিরভাগ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া ও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর (এনসিএম) সতর্ক করেছে, আবহাওয়া যদি দ্রুত উন্নতি না হয়, তাহলে অনেক এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, মক্কা, মদিনা, কাসিম, রিয়াদ, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ এবং উত্তর সীমান্ত এলাকায় বিপুল বর্ষণ ও ঝড় হচ্ছে। এ ছাড়া হাইল, তাবুক, আল জৌফ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মাঝারি বর্ষণ ও কুয়াশার সঙ্গে ঝোড়ো আবহাওয়া চলছে। এনসিএম জানিয়েছে, এই পরিস্থিতির মূল কারণ লোহিত সাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ। সাগর থেকে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ৪০ কিলোমিটার, এবং ঝোড়ো অবস্থায় এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। পারস্য উপসাগর থেকেও দক্ষিণাঞ্চলে ১০-৩৫ কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। মরুভূমির দেশ সৌদি আরবে এমন ঝড়-বৃষ্টি বিরল হলেও, গত কয়েক বছরে কয়েকবার ভারী বর্ষণ হয়েছে। জনগণকে নিরাপদ জায়গায় থাকার এবং আবহাওয়া সতর্কবার্তা মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: গালফ নিউজ

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0

‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’ চালু, সরাসরি মিলবে মার্কিন নাগরিকত্ব

ছবি : সংগৃহীত

মরক্কোয় পাশাপাশি দুটি ভবন ধসে নিহত ১৯

দক্ষিণ চীনে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১২ জনের মৃত্যু

ইউরোপকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন শান্তি উদ্যোগ অসম্ভব: পোপ লিও চতুর্দশ

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে ইউরোপকে উপেক্ষা করে শান্তি উদ্যোগ নেওয়া ‘অবাস্তব’ বলে মন্তব্য করেছেন পোপ লিও চতুর্দশ।  মঙ্গলবার ইতালির ক্যাসেল গ্যান্ডোলফোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক মিত্রজোটে ‘বড় ধরনের পরিবর্তন’ ডেকে আনতে পারে। ইউরোপ সম্পর্কিত তার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে দেওয়া মন্তব্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন পোপ।  তিনি আরও বলেন, এ সব মন্তব্য ‘ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বহু বছরের ঘনিষ্ঠ মিত্রতার ভিত্তি দুর্বল করতে পারে।’ খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। এর আগে, ওই দিন তিনি ক্যাসেল গ্যান্ডোলফোর কান্ট্রি রেসিডেন্সে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন।  পরে সাংবাদিকদের পোপ জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রস্তাবটি তিনি পুরোপুরি পড়েননি। তবে তিনি যে অংশগুলো দেখেছেন, তা ‘প্রচলিত মিত্রজোটের কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে’ বলেও মন্তব্য করেন। পোপ লিও আরও বলেন, ‘শান্তি আলোচনা থেকে ইউরোপকে বাদ দেওয়া অবাস্তব। ইউরোপে এই যুদ্ধ চলছে, তাই বর্তমান ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, ইউরোপকে এই শান্তি আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সবাই বিষয়টি বুঝতে পারছেন না।’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পলিটিকো-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে ‘দুর্বল’ ও ‘অবক্ষয়গ্রস্ত’ বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। অভিবাসন সংকট ও ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপের অবস্থান নিয়ে তিনি কঠোর সমালোচনা করেন। এর ফলে ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে।  এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় দেশগুলো আশঙ্কা করছে যে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, কিয়েভকে রুশ বাহিনীর কাছে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হতে পারে। জেলেনস্কির আমন্ত্রণে পোপ ইউক্রেন সফরে যেতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পোপ বলেন, ‘আমি আশা করি যাব। কিন্তু কবে সম্ভব হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের নিচে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ

ভারতে পর্যটক গমনে টানা পাঁচ বছর দ্বিতীয় বাংলাদেশ

হাইতির অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে কেনিয়া আরও পুলিশ মোতায়েন করলো

0 Comments