ক্রিকেট

ছবি: সংগৃহীত
৭৭ ক্রিকেটারের জন্য আইপিএল নিলামে থাকছে ২৩৮ কোটি রুপি

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে হতে যাওয়া এই নিলামের আগে ১৫ নভেম্বর ছেড়ে দেওয়া ও ধরে রাখা খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত তালিকা জমা দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।   সব দল মিলিয়ে মোট ১৭৩ জন ক্রিকেটারকে রিটেইন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি ক্রিকেটার ৪৯জন। এই ১৭৩ জন ক্রিকেটারের জন্য দলগুলোর খরচ হয়েছে ১০১২ কোটি রুপি।   আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী দলগুলোর হাতে মোট অবশিষ্ট অর্থ আছে ২৩৭.৫৫ কোটি রুপি। আর খেলোয়ারদের জন্য জায়গা ফাঁকা আছে মোট ৭৭টি। যেখানে বিদেশি কোটা ফাঁকা আছে ৩১টি। প্রতিটি দল স্কোয়াডে সর্বোচ্চ ২৫ জন ক্রিকেটার নিতে পারবে।   সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় ধরে রেখেছে পাঞ্জাব কিংস। নিলামের আগে তাদের স্কোয়াড এখন ২১ জনের। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও গুজরাট টাইটান্স ধরে রেখেছে ২০ জন করে ক্রিকেটার।   মিনি নিলামের আগে সবচেয়ে বেশি টাকা আছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পকেটে। তাদের কাছে আছে প্রায় ৬৪ কোটি রুপি।  সর্বোচ্চ ১৩ জন ক্রিকেটার নিতে পারবে আইপিএলের তিনবারের শিরোপা জয়ী দলটি। সবচেয়ে কম টাকা নিয়ে নিলামে বসবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।   কোন দলের কত টাকা আছে ও কতজন ক্রিকেটার নিতে পারবে: কলকাতা নাইট রাইডার্স – ৬৪.৩ কোটি রুপি - ১৩জন চেন্নাই সুপার কিংস – ৪৩.৪ কোটি রুপি - ৯জন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ – ২৫.৫ কোটি রুপি - ১০জন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টস – ২২.৯৫ কোটি রুপি - ৬জন দিল্লি ক্যাপিটালস – ২১.৮ কোটি রুপি - ৮জন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু – ১৬.৪ কোটি রুপি - ৮জন রাজস্থান রয়্যালস – ১৬.০৫ কোটি রুপি - ৯জন গুজরাট টাইটান্স – ১২.৯ কোটি রুপি - ৫জন পাঞ্জাব কিংস – ১১.৫ কোটি রুপি - ৪জন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স – ২.৭৫ কোটি রুপি - ৫জন

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
১৫ বছর পর ভারতের মাটিতে টেস্ট জয় দ. আফ্রিকার

কলকাতায় সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক ভারতকে ৩০ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী বোলারদের সামনে দাড়াতেই পারেনি ভারত। ইনজুরিতে পড়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া স্বাগতিক অধিনায়ক গিলকে পাওয়া যায়নি রান তাড়া করার চতুর্থ ইনিংসে। এতে দীর্ঘ ১৫ বছর পর  ভারতের মাটিতে টেস্ট জিতল প্রোটিয়ারা।   সবশেষ জয়টি এসেছিল ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মাঝে ৮ টেস্টের সাতটিতেই হার, আর একটি হয়েছিল ড্র।   ৩০ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে প্রোটিয়ারা। এবার অবস্থা প্রথম ইনিংসের চেয়েও খারাপ। টেম্বা বাভুমা একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটির ইনিংস না খেললে আর কোর্বিন বশ ২৫ রানের ইনিংসটি না খেললে ১৫৩ রান করা সম্ভব হতো না সফরকারীদের।   সফরকারীদের হয়ে বাভুমা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৬ বলে ৪ চারের মারে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। যোগ্য সঙ্গী পেলে হয়তো সংগ্রহটা আরও বাড়িয়ে নিতে পারতেন। ভারতের হয়ে এ ইনিংসে ৫০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জাদেজা। ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ।   এদিকে সহজ লক্ষ্য পেলেও ইডেনের পিচে সেটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ভারতের জন্য। দলের খাতায় ১ রান যোগ হতেই দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও রাহুলকে হারায় স্বাগতিকরা।   এরপর ওয়াসিংটন সুন্দর ও ধ্রুব জুরেলরা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও সব তছতছ করে দেন স্পিনার সিমন। সুন্দর ৩১ আর শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল ২৬ রান করেন। দল থামে ৯৩ রানে।   প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট তুলে নেন সিমন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন ইয়ানসেন ও কেশভ মহারাজ।   উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতলে বা ড্র করলে দুই যুগ পর ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে প্রোটিয়ারা। আগামী ২২ নভেম্বর আসামের গুয়াহাটিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু'দল।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
মাথিশা পাথিরানা। ছবি : সংগৃহীত
চেন্নাই পাথিরানাকে ছেড়ে দিল

আইপিএল ২০২৬–এর রিটেনশন উইন্ডো বন্ধ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে)। শ্রীলঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানাকে দল থেকে ছেড়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৩ সালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর যাকে ডেথ-ওভার বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেখা হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই নতুন মৌসুমের পথে হাঁটছে সিএসকে।   শনিবার বিকেলে এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয়। পাথিরানাকে ২০২৫ মেগা নিলামের আগে ১৩ কোটি রুপিতে রিটেইন করেছিল সিএসকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের ইনজুরি এবং ফর্মহীনতা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর ২০২৬ মৌসুমের জন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০২৩ মৌসুমে পাথিরানার উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো—১২ ম্যাচে ১৯ উইকেট, ইকোনমি ৮.০১। তবে এরপরই শুরু হয় ইনজুরির ধকল। ২০২৪ মৌসুম কাটান অসম্পূর্ণভাবে, আর ২০২৫–এ ১২ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন স্পষ্টতই ছন্দের বাইরে। কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং কয়েকবারই মন্তব্য করেছিলেন যে পাথিরানার প্রভাব কমে গেছে, যার একটি কারণ হিসেবে তিনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ‘অ্যাকশন টুইক’ করার বিষয়টি উল্লেখ করেন।   পাথিরানা সর্বশেষ খেলেছেন এবারের এশিয়া কাপে। তার আগে এসএ২০ থেকে মাঝপথেই দেশে ফিরতে হয়েছিল ইনজুরির কারণে। সব মিলিয়ে তার ফিটনেস, অ্যাকশন এবং ধারাবাহিকতা—তিন নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছিল টিম ম্যানেজমেন্টে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
মুশফিকের শততম টেস্ট, রঙচটা ক্যাপে রঙিন গল্পের অপেক্ষা

বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাস পেরিয়েছে ২৫ বছর। ক্রিকেটের এই বনেদি বা রাজকীয় ফরম্যাটে এরই মধ্যে অভিষেক হয়েছে দেশের শতোর্ধ্ব ক্রিকেটারের। তবে ১৯ নভেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লেখা হবে নতুন ইতিহাস। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এদিন শততম টেস্ট খেলতে নামবেন মুশফিকুর রহিম। মুশির সকল উত্থান পতনের সঙ্গী সেই বিবর্ণ টেস্ট ক্যাপটা সেদিন খুঁজে পাবে নতুন রঙ।   একবার সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং তার প্রিয় ব্যাগি গ্রিন টেস্ট ক্যাপটা হারিয়ে ফেলেছিলেন বিমানবন্দরে। এই ঘটনায় মন ভেঙেছিলো পন্টিংয়ের, বলেছিলেন, 'ওটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস। ওটা হারানো মানে আমার আত্মার এক অংশ হারানো।'   'একটা নতুন ক্যাপ চাইলেই কিনে নেয়া যায়, কিন্তু পুরোনোটার ইতিহাস কেনা যায় না।'—  টেস্ট ক্যাপ নিয়ে এই উক্তিটি লঙ্কান কিংবদন্তি ব্যাটার কুমার সাঙ্গাকারার।   ভারতের ব্যাটিং মহারথী রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন, 'এই ক্যাপের প্রতিটি দাগ, প্রতিটি ঘাম আমার সংগ্রামের স্মৃতি।   টেস্ট ক্যাপ মূলত একটি লিগ্যাসি। আর সেটা যদি ছুঁতে পারে ইতিহাস, তবে তার মাহাত্ম বেড়ে যায় শতগুনে। তাইতো ৮ নভেম্বর বিবর্ণ টেস্ট ক্যাপ নিয়ে মুশফিকুর রহিমের পোস্টের ক্যাপশন, 'সকল উত্থান পতনের সঙ্গী'।   এই গল্পের শুরুটা হয়েছিলো ২০০৫ সালের ২৬ মে, লর্ডসে। দেশের ৪১তম ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিককে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছিলেন হাবিবুল বাশার। টেস্ট আঙিনায় গত ২০ বছর ধরে সেই আশীর্বাদ মাথা থেকে নামাননি মুশফিক।   বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশি। সাকিব-তামিম একটি করে দ্বিশতক হাঁকালেও, দেশের হয়ে সর্বাধিক তিনবার ডাবলসের দেখা পেয়েছেন 'মিস্টার ডিপেন্ডেবল'। যেখানে তামিম ছাড়া আর কেউ এদেশের টেস্টে এখনও ছুঁতে পারেনি পাঁচ হাজার রানের গন্ডি। সেখানে ৯৯ টেস্টে ১২ সেঞ্চুরি আর ২৭ ফিফটি নিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বাধিক ৬ হাজার ৩৫১ রানের মালিক এমআরফিফটিন।   এবার মুশির নতুন উচ্চতা ওঠার পালা। ১৯ নভেম্বর ইতিহাসের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামবেন মুশফিকুর রহিম। মিরপুরে লেখা হবে এক রঙচটা ক্যাপের রঙিন গল্প।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
টাইগারদের কাছে আইরিশদের অসহায় আত্মসমর্পণ, ইনিংস ব্যবধানে হার

আইরিশরা যেন দাঁড়াতেই পারলো না। যদিও তাদের লোয়ার অর্ডার ভালোই খেলেছে। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ২৫৪ রান। ফিফটি করেছেন ম্যাকব্রাইন। বলবার্নি করেছেন ৩৮, নিল করেছেন ৩৬ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া ম্যাকার্থির ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ রান।   সে যাই হোক, সাড়ে তিন দিনেই আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এক ইনিংস এবং ৪৭ রানে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শেষ উইকেটে ৫৬ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়ে ইনিংস হার এড়ানোর চেষ্টা করেছিল আইরিশরা। তবে হাসান মুরাদ এবং তাইজুল ইসলামরা শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে গেছেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন ১৭১ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়।   সিলেট টেস্টে জয়ের সুবাস নিয়েই শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) চতুর্থ দিনটা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল আয়ারল্যান্ড। ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে ছিলেন ম্যাথিউ হামফ্রেস। এরপরই শুরু ম্যাকব্রাইনের প্রতিরোধের। সে জুটি থেকে আসে ৩১ রান। এরপর হামফ্রেসকে বিদায় করে জুটিটা ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। তাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে থাকা সাদমানের হাতে ক্যাচ দেন হামফ্রেস।   এরপর উইকেটে আসা অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন ম্যাকব্রাইন। এই জুটি থেকে আসে ৬৬ রান, যা এ পর্যন্ত আইরিশদের সর্বোচ্চ জুটি। বালবার্নিকে বিদায় করেন হাসান মুরাদ। বিদায়ের আগে ৩৮ রান করেন আইরিশ অধিনায়ক।   এদিক থেকে ম্যাকব্রাইন লাঞ্চ বিরতির আগেই ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। তবে লাঞ্চের পরে আর ২ বলই টিকতে পারেন তিনি। ১০৬ বলে ৫২ রান করে ফেরেন তিনি, শিকার বনে যান নাহিদ রানার। তার বিদায়ের পর ব্যারি ম্যাকার্থি আর জন নেইল মিলে নবম উইকেটে তোলেন ৫৪ রান। হাসান মুরাদের শিকার হয়ে নেইল বিদায় নিলে ভাঙে সে জুটি। এরপর ম্যাকার্থি তাইজুলের তৃতীয় শিকার হতেই ইনিংস ও ৪৭ রানের জয় ধরা দেয় বাংলাদেশের হাতে। হাসান মুরাদ ৪, তাইজুল ৩ ও নাহিদ রানা নেন ২টি উইকেট   এর আগে প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। হাসান মুরাদ, হাসান মাহমুদ ও তাইজুল ইসলাম নিয়েছিলেন ২টি করে উইকেট।   জবাবে বাংলাদেশ ৫৮৭ রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে। মাহমুদুল হাসান জয় ১৭১, নাজমুল হোসেন শান্ত ১০০, সাদমান ইসলাম ৮০, মুমিনুল হক ৮২ ও লিটন দাস করেন ৬০ রান।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
সিলেটের মাটিতে তাইজুলের ৫০০ উইকেটের কীর্তি

বলটি আঘাত করল ব্যাটসম্যানের প্যাডে। মুহূর্তেই হাত তুলে উদ্‌যাপন শুরু করলেন তাইজুল ইসলাম। আম্পায়ারের আঙুল ওঠার আগেই যেন ফলাফল বুঝে নিয়েছিলেন তিনি। হ্যারি টেক্টর ছিলেন সম্পূর্ণ এলবিডব্লু, তবু আনুষ্ঠানিকতার খাতিরে নিলেন রিভিউ। টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তেও কোনো চমক ছিল না আউট’। আর সেই এক শব্দেই রচিত হলো ইতিহাস।   তাইজুল ইসলাম পৌঁছে গেলেন এক বিরল মাইলফলকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ৫০০তম উইকেট! বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এই অর্জন অত্যন্ত বিরল। তাইজুল হলেন মাত্র তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার যিনি প্রথম শ্রেণিতে ৫০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখালেন। এর আগে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন দুই বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক (৬৩৪) ও এনামুল হক জুনিয়র (৫১৩)। তাইজুলের প্রথম শ্রেণির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল, রাজশাহীর হয়ে বরিশালের বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচেই ফরহাদ হোসেনের হাতে ইফতেখার নাঈমকে ক্যাচ বানিয়ে নিয়েছিলেন প্রথম উইকেটটি। সেই ইনিংসে চারটি ও পুরো ম্যাচে ছয়টি উইকেট নিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন নিজের আগমনবার্তা। ১৪ বছর ও ১১৩ ম্যাচ পর সেই ছেলেটিই আজ হয়ে উঠেছেন ইতিহাসের অংশ। এ পর্যন্ত তাইজুল খেলেছেন পাঁচটি ভিন্ন দলের হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল, রাজশাহী বিভাগ, উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এর মধ্যে জাতীয় দলের হয়েই তাঁর সংগ্রহ সবচেয়ে বেশি, টেস্টে ২৪০ উইকেট। রাজশাহীর হয়ে ১৫২, উত্তরাঞ্চলের হয়ে ৭৩, পূর্বাঞ্চলের হয়ে ১৮ এবং বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে নিয়েছেন ১৭ উইকেট।   তাইজুলের এই সাফল্য শুধু পরিসংখ্যানে নয়, ধারাবাহিকতা ও নিষ্ঠার প্রতীকও বটে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক দুই অঙ্গনেই দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের অন্যতম ভরসা তিনি। সিলেটের মাঠে হ্যারি টেক্টরকে এলবিডব্লু করে যখন ৫০০তম শিকার উদ্‌যাপন করলেন, তখন সেটি ছিল কেবল এক ইনিংসের মুহূর্ত নয় এক যুগের অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের সার্থক পরিণতি।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
রেকর্ড ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের

শুরুটা করে দিয়ে গিয়েছিলেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। তাদের দেখানো পথে হাঁটলেন শান্ত ও মুমিনুলরা। ব্যাটারদের দাপটে সিলেটে প্রথম টেস্টে দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।    ১৪১ ওভারে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। যা টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় দলীয় সর্বোচ্চ, একই সঙ্গে দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ। প্রথম ইনিংসে আয়ারল‍্যান্ড করেছিল ২৮৬ রান। বাংলাদেশকে ফের ব‍্যাটিংয়ে নামাতে ৩০১ রান করতে হবে সফরকারীদের।    বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব‍্যাটারের পাঁচজনই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন। ২৮৬ বলের ইনিংসে ১৪ চার ও ৪ ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ১৭১ রান এসেছে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ব‍্যাট থেকে। ১০০ রান করেন অধিনায়ক শান্ত। আয়ারল‍্যান্ডের হয়ে ৫ উইকেট নেন ম‍্যাথিউ হামফ্রিজ।   ব্যাটারদের দাপটের টেস্টে প্রথমবারের মতো একটি ঘটনারও সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এবারই প্রথম, টপ-অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো সিলেটে পাঁচশো ছাড়ানো সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ। এর আগে এই মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩৩৮ রান। 

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
সাদমান ইসলাম ও চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। ছবি : সংগৃহীত
সাদমান ইসলাম হাথুরুসিংহের কাছে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন

দেশের ক্রিকেটে এমন দৃশ্য বিরল নিজ খরচে দেশের বাইরে গিয়ে সাবেক জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে অনুশীলন! সেই ব্যতিক্রমী পদক্ষেপই নিয়েছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। ঘণ্টায় প্রায় ২৫০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ফি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তিনি অনুশীলন করেছিলেন সাবেক বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের একাডেমিতে। তখন বিষয়টি নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। এবার সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর নিজেই জানালেন, আসলে কেন গিয়েছিলেন হাথুরুর কাছে।   দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে সাদমান বলেন, ‘ওখানে (সিডনি) যাওয়ার মূল কারণ ছিল কন্ডিশনটা বুঝে নেওয়া। সিডনির উইকেট কেমন, সেটা দেখার আগ্রহ ছিল। হাথুরু না থাকলে সেখানে যাওয়ার সুযোগই পেতাম না, তাই ওর কাছেই গিয়েছি। তেমন টেকনিক্যাল কাজ হয়নি, বরং ওর সঙ্গে আলোচনা করেছি কীভাবে ব্যাটিং করা যায়, কীভাবে বড় ইনিংস গড়া যায়, নিজের খেলার ধরণ কীভাবে বদলানো যায়।’ বৃষ্টি ও আবহাওয়ার কারণে বেশিরভাগ সময় ইনডোর নেটে প্র্যাকটিস করতে হয়েছে বলেও জানান এই বাঁহাতি ওপেনার। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল, রোদও ছিল না, তাই ম্যাক্সিমাম ইনডোরেই ব্যাটিং করেছি। কোনো স্থানীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে প্র্যাকটিস করা হয়নি। আজ সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে একমাত্র ব্যর্থতা আসলে সাদমানেরই। কিন্তু ৮০ রানের ঝলমলে ইনিংসে আগুন ঝরানো ব্যাটিং করে রেখেছেন নিজের ছাপ। মাত্র ১০৪ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রান, পুরোপুরি ওয়ানডে ধাঁচে খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।   নিজের খেলার ধরণে এই পরিবর্তনের পেছনে হাথুরুসিংহের সঙ্গে আলোচনার প্রভাব আছে কিনা, সেটি সময়ই বলবে। তবে সাদমানের এই সাহসী সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে দিচ্ছে দেশের ক্রিকেটে এখন খেলোয়াড়রাও নিজ উদ্যোগে উন্নতির জন্য নতুন দিগন্তে পা রাখতে শুরু করেছেন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
‘রিজওয়ান নিজে সরে গিয়ে আমাকে অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ দিয়েছে’

পাকিস্তান জাতীয় দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান যখন নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখনই শাহিন শাহ আফ্রিদি দলের অধিনায়ক হন। বাঁ হাতি এই তারকা পেসার নিজেই বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।   রিজওয়ানের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে দ্রুত বাদ পড়ার পর রিজওয়ানকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এরপরি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) শাহিন আফ্রিদিকে অধিনায়ক বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।   তবে নেতৃত্ব গ্রহণের আগে শাহিন রিজওয়ানের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং এরপর নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে রাজি হন। শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের আগে শাহিন বলেন, রিজওয়ানের সঙ্গে আলোচনা করার পরই আমি পিসিবির সিদ্ধান্ত মেনে নেতৃত্ব গ্রহণ করি।   আফ্রিদি আরও জানান, ‘রিজওয়ান একমাত্র ব্যক্তি, যার সঙ্গে আমি নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করি। তিনি নিজে সরে গিয়ে আমাকে অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ দেন।’   ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্সের পর বাবর আজম পাকিস্তানের নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়েছিলেন। তখন শাহিন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলের অধিনায়ক হন, যেটি আবার ছয় মাসের বেশি স্থায়ী হয়নি। এরপর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় বাবর আজমকে আবারও অধিনায়ক করার।   শাহিন আফ্রিদি একমাত্র নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পূর্ণ নেতৃত্ব দেন। তবে তিনি সব সময় বলেছেন, বাবর এবং রিজওয়ানকে তিনি পুরোপুরি সমর্থন করবেন। কারণ এই দুজন তারকা ক্রিকেটার পাকিস্তান দলের মেরুদণ্ড।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বিসিবি বস

গত ৯ ও ১০ নভেম্বর ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স। এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিসিবির কাউন্সিলর ও কোচরা অংশ নেন। সম্মেলনের শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যার জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণও জানানো হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রবেশের সুযোগ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানটি বর্জন করেন।   এ ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনাটিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি তিনি বোর্ডের হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।   বুধবার এক ভিডিও বার্তায় বুলবুল বলেন, ‘১০ নভেম্বর একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিনে আমরা সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলাম এবং বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যা আমি নিজে আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। যদিও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পন্ন হতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল। তবে যখন বাইরে এসে দেখলাম যে আপনাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি এবং আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও আপনাদের সাথে যথাযথ আচরণ করা হয়নি, আমরা এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি। এজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’   তিনি আরও জানান, এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ‘আমরা তদন্ত করে জানব, কোন বিভাগে সমস্যা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   বুলবুল তার বক্তব্যে যোগ করেন, ‘আপনারা ক্রিকেটের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, এবং আমাদের পাশে থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভুল করেছি, ভবিষ্যতে এমন ভুল যাতে না হয়, সেই চেষ্টা করব। আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমরা মিলে ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।’

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
সিলেট টেস্টের প্রথম দিন শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২৭০/৮

সিলেটে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার টেস্টের প্রথম দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৭০ রান। দিনের শেষ বলে জর্দান নেইলকে এলবিডব্লু করে তাইজুল ইসলাম বাংলাদেশকে এনে দেন অষ্টম সাফল্য। প্রথম দিনেই আয়ারল্যান্ডকে অলআউট করার সুযোগ থাকলেও সেটি হাতছাড়া করেছে টাইগাররা।   মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নির্ধারিত ৯০ ওভারের খেলা শেষে আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন পল স্টার্লিং। তার পরেই আছেন অভিষিক্ত কারমাইকেল, যিনি ৫৯ রানে আউট হন। এছাড়া কার্টিস ক্যাম্ফার করেন ৪৪ এবং লরকান টাকার যোগ করেন ৪১ রান। সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। কিন্তু ইনিংসের প্রথম ওভারেই তিনি শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। হাসান মাহমুদের বলে লেগ বিফোর হয়ে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। প্রথম সেশনে এরপর আর কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ পল স্টার্লিং দৃঢ়তায় হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। মধ্যাহ্ন বিরতিতে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৯৪ রান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। বিরতির পরই নাহিদ রানার বলে ৬০ রান করে স্টার্লিং ক্যাচ দেন স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে। পরের ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজ তুলে নেন হ্যারি টেক্টরের উইকেট। এরপর একই স্পিনারে কারমাইকেলও ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে, ব্যক্তিগত ৫৯ রানে থামে তার ইনিংস। অন্যদিকে, ৪৪ রানে থেমে যান কার্টিস ক্যাম্ফার স্লিপে শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি। হাসান মুরাদের ঘূর্ণিতে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে ফিফটি মিস করেন লরকান টাকার (৪১)। এরপর মিরাজের ঘূর্ণিতে বোল্ড হন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন (৫)। ২২২ রানে সপ্তম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। শেষ বিকেলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত দিনের শেষ বলেই তাইজুল ইসলাম আঘাত হানেন। জর্দান নেইলকে এলবিডব্লু করে তিনি নিজের প্রথম সাফল্য পান এবং আয়ারল্যান্ডের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ২৭০ রানে।   বাংলাদেশের হয়ে প্রথম দিনে মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ৩টি, হাসান মুরাদ ২টি, আর হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও তাইজুল ইসলাম প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
টেস্টে মুশফিককে পেছনে ফেলে নতুন রেকর্ড লিটনের

সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার-ব্যাটার লিটন দাস। দেশের ইতিহাসে টেস্টে সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড এখন এককভাবে তার দখলে।   গত জুনে গলে শ্রীলঙ্কার ওপেনার লাহিরু উদারাকে স্টাম্পড করে মুশফিকুর রহিমের রেকর্ডে (১৫টি) ভাগ বসিয়েছিলেন লিটন। এবার সিলেট টেস্টে সেই রেকর্ড নিজের করে নিলেন তিনি। হাসান মুরাদের বলে লোরকান টাকারকে স্টাম্পড করে টেস্টে নিজের ১৬তম শিকার পূর্ণ করেন লিটন। কিছুক্ষণ পরই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে স্টাম্পড করে রেকর্ডটি আরও সমৃদ্ধ করেন তিনি। এ নিয়ে টেস্টে লিটনের স্টাম্পিং সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এখনো বাংলাদেশের স্টাম্পিংয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড মুশফিকুর রহিমের দখলে। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ১০১টি স্টাম্পিং করেছেন, যা বিশ্ব তালিকায় তাকে চতুর্থ স্থানে রেখেছে। এই তালিকায় ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি (১৯৫), শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা (১৩৯) ও রমেশ কালুভিতারানা (১০১) আছেন মুশফিকের ওপরে। বাংলাদেশের উইকেটকিপারদের মধ্যে ৪৪টি স্টাম্পিং নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। এরপর ৩৪টি স্টাম্পিং নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন লিটন দাস।   বিশ্ব ক্রিকেটে টেস্টে সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার বার্ট ওল্ডফিল্ডের। ১৯২০ থেকে ১৯৩৭ সালের মধ্যে ৫৪ টেস্টে তিনি ৫২টি স্টাম্পিং করেছিলেন। নিজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে লিটন দাস এখন বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে অন্যতম সফল উইকেটকিপার হিসেবে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছেন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে রশিদ খান

আবারও আলোচনায় এসেছেন আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান। তবে এবার বিষয়টি ক্রিকেট নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। ২০২০ সালে এক সাক্ষাৎকারে রশিদ জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ জয়ের পরই বিয়ে করবেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি তিনি। গত বছর অক্টোবরে বেশ জাঁকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ে করেছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার।   তবে এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে তার দ্বিতীয় বিয়ের খবর। সোমবার রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্টে রশিদ জানান, চলতি বছরের ২ আগস্ট ২০২৫ তার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন তিনি। নিজের পোস্টে রশিদ লেখেন, গত ২ আগস্ট, ২০২৫ আমার জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। নিকাহ সেরেছি এমন একজনের সঙ্গে, যাকে ভালোবাসা ও শান্তির প্রতীক বলা যায়। এমন একজনকেই আমি সারাজীবন জীবনসঙ্গী হিসেবে চেয়েছিলাম। তিনি আরও লেখেন, সম্প্রতি আমার স্ত্রীকে নিয়ে একটি চ্যারিটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কিছু অপ্রিয় ঘটনার পর বিষয়টি স্পষ্ট করতে চাই উনি আমার স্ত্রী, এবং আমরা একসঙ্গে রয়েছি।   তবে নিজের স্ত্রীর কোনো ছবি প্রকাশ করেননি রশিদ। প্রথম বিয়ের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসায় ভক্তদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন রশিদ খান? তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি এই আফগান তারকা ক্রিকেটার।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১১, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আশরাফুলকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে পেয়ে যা বললেন শান্ত

বাংলাদেশ দলের নতুন ব্যাটিং কোচ হিসেবে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজের জন্য লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।   দলে তার প্রত্যাবর্তনে খেলোয়াড়দের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করছেন, স্বল্প সময়ের এই দায়িত্বে আশরাফুলের পক্ষে বড় কোনো পরিবর্তন আনা কঠিন হবে।   শান্ত বলেন, অবশ্যই সবাই এক্সাইটেড। উনি তো অনেক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, অভিজ্ঞতা অনেক। কোচ হিসেবে এখন দলে এসেছেন এটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। আগে কখনও একসঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার সুযোগ হয়নি, এবার সেটা হচ্ছে।   তবে তিনি মনে করেন, এক সিরিজের মেয়াদে উল্লেখযোগ্য টেকনিক্যাল উন্নতি সম্ভব নয়। তার ভাষায়, যতদূর জানি, উনি শুধু এই সিরিজের জন্যই আছেন। এক সিরিজে খুব বেশি টেকনিক্যাল পরিবর্তন আনা সম্ভব না। সময়টা কম, তাই গভীরভাবে কাজ করা কঠিন হবে। তারপরও আশা করি উনার অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে আসবে।   বর্তমানে বাংলাদেশ দল কিছুটা অস্থিতিশীল সময় পার করছে। একদিকে নতুন কোচিং নিয়োগ, অন্যদিকে সহকারী কোচ সালাউদ্দিনের বিদায় সব মিলিয়ে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে দলে। তবে এসব বিষয়ে বেশি না ভেবে শুধুমাত্র মাঠের পারফরম্যান্সে মনোযোগ দিতে চান শান্ত।   তিনি বলেন, বাইরের বিষয়গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি চেষ্টা করি শুধু যা আমার হাতে আছে, সেটাতেই মনোযোগ দিতে। মাঠের বাইরে আলোচনা সবসময় থাকবে, কিন্তু আমি মাঠের ভেতরের কাজটাই করতে চাই।   আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে আশরাফুলের নতুন অধ্যায়। সময় স্বল্প হলেও সিনিয়র খেলোয়াড়দের আশা তার অভিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনা দলের ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
দুই সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল পাকিস্তান

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দল থেকে বাদ পড়েছেন ব্যাটার হাসান নাওয়াজ। যেখানে বাদ পড়েছেন হাসান নাওয়াজ।   ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালোই করেছিলেন নাওয়াজ। একাধিক সিরিজ ও টুর্নামেন্টে ভালো ব্যাটিং করেছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাজে সময় পার করছেন। মূলত অফফর্মের কারণেই তাকে বাদ পড়তে হয়েছে।   নাওয়াজের বদলি হিসেবে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে ফখর জামানকে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের অপরই আপাতত আস্থা রাখছে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট।   আগামী ১১ নভেম্বর থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজ।   শ্রীলঙ্কা সিরিজের পাকিস্তান দল- শাহীন শাহ আফ্রিদি (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফয়সাল আকরাম, ফখর জামান, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও সালমান আলী আঘা।   ত্রিদেশীয় সিরিজের পাকিস্তান দল- সালমান আলী আঘা (অধিনায়ক), আব্দুল সামাদ, আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মদ সালমান মির্জা, নাসিম শাহ, শাহিবজাদা ফারহান (উইকেটকিপার), সাইম আইয়ুব, শাহীন শাহ আফ্রিদি, উসমান খান (উইকেটকিপার) ও উসমান তারিক।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
জাহানারা আলম। ছবি : সংগৃহীত
বিসিবির সিইওকে দেওয়া ১৩ পাতার চিঠিতে জাহানারার যত অভিযোগ

পেসার জাহানারা আলম ইস্যুতে তোলপাড় দেশের ক্রীড়াঙ্গন। লম্বা সময় ধরে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা ক্রিকেটাঙ্গনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রায় ৪ বছর আগে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে ১৩ পৃষ্ঠার একটি চিঠি বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীকে দিয়েছিলেন জাহানারা। সেখানে ম্যানেজার ও নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, নারী বিভাগের প্রয়াত ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ থেকে শুরু করে কোচদের বিরুদ্ধে তার সঙ্গে ঘটা বঞ্চনার বর্ণনা দেন তিনি। কালবেলার হাতে এসেছে সেই চিঠিটা। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।   চিঠির শুরুতেই জাহানারার সঙ্গে তখনকার কো-অর্ডিনেটর সরফরাজ বাবুর সঙ্গে কী কথা হয়েছিল তা তুলে ধরেন জাহানারা। সেখানে স্পষ্টভাষায় দলের মধ্যকার নানা সমস্যা সমাধান করতে অভিজ্ঞ জাহানারাদের অনুরোধ করেন তিনি। চিঠিতে দুজনের কথোপকথন তুলে ধরে তিনি লিখেন, ‘বাবু ভাই বলেন, দেখেন আপা সামনে অনেক বড় টুর্নামেন্ট আমাদের, এক হয়ে খেলতে হবে। টিমে কোনো ঝামেলা থাকলে নিজেরা ঠিক করে ফেলেন। তৌহিদ ভাই অনেক চেষ্টা করেছেন। তৌহিদ ভাই নিজেও খুব চাপে আছে। হয়তো উনি চাকরিও ছেড়ে দিতে পারেন। দলে যদি কোনো ফাটল থাকে তো সিমেন্ট লাগানোর দায়িত্ব আপনাদের সিনিয়রদের। আপনি এটা আবার কারোর সঙ্গে শেয়ার করেন না।’ প্রতিউত্তরে জাহানারা বলেছিলেন, ‘তৌহিদ ভাই তো খুব চেষ্টা করেছেন। ভালো মন্দ যাই ফল হোক, উনি কেন চাকরি ছাড়বেন। উনি তো চেষ্টা করছেন। আর দলের মধ্যে সব সমস্যা সম্পর্কে উনি অবগত। সুতরাং উনি চাইলেই নিজেই সব ঠিক করতে পারবেন।’ সে ঘটনার পরই টিম ম্যানেজার ও নির্বাচক মঞ্জু জাহানারার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন বলে অভিযোগ দেন জাহানারা। দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় বিষয়টি তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, ‘মঞ্জু ভাই মাঠে আমার সঙ্গে অকারণে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। খুব চিৎকার এং রূঢ়ভাবে কথা বলেন। আমি হতচকিত, বুঝলাম না আমার দোষটা কোথায়! পরদিন তৌহিদ ভাইকে ফোন করলাম ইন্টারভিউর অনুমতির জন্য। ফোন না ধরায় এসএমএস করলাম, রিপ্লাই পেলাম না। এভাবে চলত থাকল।’ তৃতীয় পৃষ্ঠায় বাংলাদেশ গেমসের দল গঠন থেকে শুরু করে দলের মধ্যে গ্রুপিং বিষয় তুলে ধরেন জাহানারা। তিনি লিখেছেন, ‘রুমানা তখনো ওয়ানডে দলের নিয়মিত অধিনায়ক। বাংলাদেশ গেমসের তিন দলের একটা সালমা আপু, একটা জ্যোতি ও অন্যটায় অধিনায়ক করা হয় শারমিনকে। সেখানে শারমিন কখনো কোনো ঘরোয়া লিগেও অধিনায়কত্ব করেনি। রুমানা এত মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে যে ওই টুর্নামেন্টে সে পারফরম্যান্স করতে পারেনি। ওই টুর্নামেন্ট থেকে আমার, সালমা আপুর ও রুমানার সঙ্গে টেকনিক্যালি খারাপ ব্যবহার শুরু হয় এবং সব জায়গায় জ্যোতির প্রধান্য বাড়তে থাকে।’   অনুশীলন ম্যাচে নির্বাচক মঞ্জুর নির্দেশনা অমান্য করায় বোলিং করতে দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘আমাদের অনুশীলন ম্যাচে মঞ্জু ভাই ওয়াকিটকিতে বলেন জাহানারাকে ইয়র্কার বল করতে বলো। আমি ইয়র্কার চেষ্টা করে লেগ মিডলে পড়ল। পরের বল গুড লেন্সে হল কেন, উনার কথা শুনিনি তাই আবার ওয়াকিটকিতে অসম্ভব জোরে চিৎকার করে বললেন, ‘খবরদার জাহানারাকে আর যেন বল না দেওয়া হয়। অন্য যে কেউ করবে জাহানারা নয়! সালমা দেখ ব্যাপারটা।’ মাঠে আম্পায়ারসহ সবাই থ হয়ে যায়। ১৩ পৃষ্ঠার পুরো চিঠিতে এভাবে দলের মধ্যকার গ্রুপিং, নিজের সঙ্গে ঘটা বঞ্চনার কথাগুলো তুলে ধরেন তিনি।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি : সংগৃহীত
পুনরায় অধিনায়কত্ব নেওয়ার মূল কারণ জানালেন শান্ত

গত জুনে টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে হুট করে সরিয়ে দেওয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সে সময় জানিয়েছিলেন, দলের স্বার্থেই অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন তিনি। তবে এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে আবারও লাল বলের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব নিয়েছেন তিনি।   সোমবার (১০ নভেম্বর) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন শান্ত। সেখানে প্রথম টেস্টের পাশাপাশি পুনরায় অধিনায়কত্ব নেওয়ার কারণও জানান তিনি। একইসঙ্গে মন্তব্য করেন আশরাফুল ও সালাহউদ্দিনকে নিয়েও । নতুন করে আবারও অধিনায়কত্ব নেওয়ার কারণ হিসেবে শান্ত বলেন, ‘কিছু দিন অধিনায়ক ছিলাম না। ওই সময় রিল্যাক্স ছিলাম, উপভোগ করেছি। ক্রিকেট বোর্ড আমার সঙ্গে যেভাবে যোগাযোগ করেছে, সবার সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। একটা সময় মনে হয়েছে, ব্যক্তি নাজমুল হোসেন শান্তর চেয়ে বাংলাদেশ দল অনেক বড়। আমার চিন্তা থেকে বড় চিন্তা হলো যে, আসলে বাংলাদেশ দলের কী প্রয়োজন। অনেক এক্স ক্রিকেটাররা বোর্ডে আছেন, তাদের কথাবার্তা আমার ভালো লেগেছে তাই ফিরে এসেছি।’ শান্ত কথা বলেন সদ্য ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পাওয়া আশরাফুলকে নিয়েও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আশরাফুল ভাইয়ের খেলা আমরা টিভিতে দেখেছি। উনাকে নিয়ে আমরা খুশি। তার অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’   কোচ সালাউদ্দিনের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘সালাউদ্দিন ভাই কেন দায়িত্ব ছাড়লেন আমি জানি না। এটা বোর্ড আর তার বিষয়। আমার সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা খুব ভালো। উনি সব ক্রিকেটারকে সমানভাবে দেখেন। বাইরের আলোচনা সব সত্যি নয়।’

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
বিপিএলে খেলার প্রশ্নে ফিক্সিং অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের নিয়ে বুলবুলের বক্তব্য

পাঁচ দল নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে বিপিএলের ১২তম আসর। প্লেয়ার্স ড্রাফট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ নভেম্বর, এরপর টুর্নামেন্টটি শুরু হবে ১৯ ডিসেম্বর এবং সম্ভাব্য ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়াতে পারে ১৬ জানুয়ারি যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে গঠনতন্ত্র সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।   তবে বিপিএল শুরুর আগেই ব্যস্ততা তৈরি হয়েছে গত আসরের ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের লিস্ট নিয়ে ক্রিকেট অঙ্গনে প্রশ্ন রেখেছে নানা মহল। এই বিষয়ে গতকাল বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল মন্তব্য করেছেন। বুলবুল বলেন, আমরা এক চুলও নড়িনি। কোনো রিপোর্ট গায়েব করে দিয়েছি সেরকম কিছু নেই। এটার আউটকাম, শাস্তি, মওকুফ যা আছে তারা নেবে, আমরা তাদের পূর্ণ এখতিয়ার দিয়েছি। একটা কমিটি কাজ করছে। যেহেতু কাজ চলছে, এ সময় আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। নামগুলো তো আমি বলতে পারব না। তবে তারা কাজ করছে। তিনি জাহানারা সম্পর্কিত ইস্যু নিয়েও বলেন, বিসিবি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এটি সমাধান হতে পারে। বুলবুল আরও তুলে ধরেন, যারা তদন্তে কাজ করছেন তাদের উপর কোনো প্রভাব তোলে না বোর্ড। নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে বুলবুল বলেন, উইমেন ক্রিকেট সবসময় অবহেলিত মনে হয়। ৭ তারিখ প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলাম, আমাদের মহিলা ডিরেক্টর নেই, মহিলা উইংয়ে মহিলা নেই। আমাদের টার্গেট আছে। কন্সটিটিউশন চেঞ্জ করার ক্ষমতা আমার নেই। চেঞ্জ করা গেলে আমি খুব খুশি হবো যদি নারী পরিচালক কয়েকজন আসে। আমরা যেসব কোর্স করাব এক্স্যাক্টলি এই শব্দ ইউজ করেছিলাম জেন্ডার ইকুইলিটি।   বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের এই মন্তব্যগুলোয়ে উঠে এল যে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে এবং ফলের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে  বিপিএলের সূচি নির্ধারণের পাশাপাশি ক্রিকেট পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও লিঙ্গভিত্তিক সমতার দিকে বোর্ডের লক্ষ্য স্পষ্ট করছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
অলিম্পিক ক্রিকেটে খেলতে বাংলাদেশের সামনে কঠিন সমীকরণ

লম্বা সময় পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট। আসন্ন লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই ৬টি করে দল অংশ নেবে। যেখানে সবমিলিয়ে মোট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৮টি। দুবাইয়ে সভা শেষে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।    আইসিসির প্রধান নির্বাহী সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, ‘অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্তি আমাদের জন্য বিশাল পরিবর্তন। এতে সরকারি তহবিল পাওয়ার সুযোগ বাড়বে, যা উন্নয়ন ও অবকাঠামো বিনিয়োগে বড় সহায়তা দেবে।’   ‘এশিয়ান গেমস, প্যান-আমেরিকান গেমস, আফ্রিকান গেমসের মতো বহুমুখী ক্রীড়াযজ্ঞে ক্রিকেট নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত হলে নতুন অঞ্চলে খেলাটি জনপ্রিয়তা পাবে। এতে হাই-পারফরম্যান্স ও গ্রাসরুট পর্যায়ে বিনিয়োগ বাড়বে।’-যোগ করেন তিনি।    মোট ৬ দলের ৫টি আসবে পাঁচটি মহাদেশীয় অঞ্চলের (এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ ও ওশেনিয়া) শীর্ষ দেশ। তবে এর মধ্যেই আয়োজক তাদের অঞ্চল থেকে সরাসরি খেলবে। বাকি দলটি নির্ধারিত হবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে।   র‌্যাংকিং অনুযায়ী পুরুষ দলের মধ্যে ভারত (এশিয়া), অস্ট্রেলিয়া (ওশেনিয়া), ইংল্যান্ড (ইউরোপ), দক্ষিণ আফ্রিকা (আফ্রিকা), যুক্তরাষ্ট্র (আমেরিকা ও আয়োজক দেশ) খেলার কথা।   বাছাই পর্বের জন্য খেলতে পারে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের মধ্য থেকে সেরা দল সুযোগ পাবে মূল পর্বে খেলার।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৯, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
তামিমের সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। সিরিজের শেষ ম্যাচে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২–২ সমতায় শেষ হলো।   বৃষ্টিতে দ্বিতীয় ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর টানা দুই হারে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। তাই শেষ ম্যাচটি ছিল মরিয়া লড়াই। সেই চাপে নেতৃত্বে সামনে থেকে দারুণ ইনিংস খেললেন তামিম।   প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে তোলে ২০৮ রান। জবাবে ৪৫.৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।   শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৪১ রানে ২ উইকেট হারালেও তামিম দলের হাল ধরেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে ধীরে ধীরে এগিয়ে নেন দলকে জয়ের পথে। তার ব্যাট থেকে আসে ১১৮ বলে দারুণ ১০০ রান।   শেষ দিকে স্বাধীন এসে প্রথম বলেই চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন।   এর আগে আফগানিস্তানের হয়ে ওসমান সাদাত করেন ৬৮ রান ও মাহবুব খান ৪০ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ২ উইকেট নেন বশির।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৯, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের সেরা ৫ ফ্র্যাঞ্চাইজির তালিকায় আইপিএলের ৩ দল

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের। এমনকি ক্রিকেটারদেরও আগ্রহ বাড়ছে এ ধরনের টুর্নামেন্টে। অনেক ক্রিকেটারই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত করে মনযোগ দিচ্ছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলাতে। এসব লিগের প্রতি ক্রিকেটারদের এমন আগ্রহের বড় কারণ আর্থিক সুবিধা।   আইপিএল, বিগ ব্যাশ কিংবা পিএসএলের মতো টুর্নামেন্টগুলোতে খেললে বড় অঙ্কের অর্থ পান ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশি সময় খেলার চেয়ে অল্প সময়েই এসব লিগ থেকে বেশি উপার্জন করা যায়। তাই অনেক তরুণ তারকা ক্রিকেটাররাও ঝুঁকছেন এসব লিগে।   আর তারকা ক্রিকেটারদের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ব্যবসা করে লিগগুলো। যেখানে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো প্রতি বছরই মোটা অঙ্কের আয় করে। ফলে তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালুও দিন দিন বাড়ছে।   ব্র্যান্ড ভ্যালু বিবেচনায় ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের এই দলটির ব্র্যান্ড ভ্যালু ১৫০ মিলিয়ন ডলার। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি শিরোপার মালিক তারা। ৫বার শিরোপা জিতেছে মুম্বাই। এ ছাড়া দলটির প্রচুর সমর্থকও ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।   দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চেন্নাই সুপার কিংস। তাদের ব্যান্ড ভ্যালু ১৩৫ মিলিয়ন ডলার। তারাও আইপিএলে সর্বোচ্চ ৫বার শিরোপা জিতেছে। তাদেরও সমর্থক আছে পুরো বিশ্বজুড়ে।     তৃতীয় অবস্থানে আছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তাদের ব্যান্ড ভ্যালু ১২০ মিলিয়ন ডলার। বেঙ্গালুরু মাত্র একবার শিরোপা জিতলেও তাদের প্রচুর দর্শক আছে। বিশেষ করে বড় বড় তারকাদের দলে ভিড়িয়ে তারা চমক দেয় বরাবরই।   প্রথম তিনটি দলই আইপিএলের হলেও চারে আছে বিগ ব্যাশের দল সিডনি সিক্সার্স। তাদের ব্যান্ড ভ্যালু ৬৫ মিলিয়ন ডলার। একই লিগের দল মেলবোর্ন স্টারস আছে পাঁচে। তাদের ব্যান্ড ভ্যালু ৬০ মিলিয়ন ডলার।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৮, ২০২৫ 0
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

Top week

ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ১৭ নভেম্বর

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0