রাজনীতি

ছবি : সংগৃহীত
ক্ষমতায় গেলে ফারাক্কা ও পানিবণ্টন ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামীতে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠন করতে পারলে পদ্মা ও তিস্তা নদীর ন্যায্য পানিবণ্টন এবং ফারাক্কা সংক্রান্ত ইস্যুগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে, যেখানে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকবে না।   শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিটি দেশই তার স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জনগণের নির্বাচিত সরকার না থাকলে দেশের ন্যায্য দাবি আদায়ে সফল হওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন-সংক্রান্ত বৈধ অধিকার আদায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার করা হবে। এদিকে ‘বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে একটি বড় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিবের। পদ্মার ন্যায্য পানিবণ্টন নিশ্চিতের দাবিতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২ নভেম্বর মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন উপজেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ জেলা পর্যায়ের বড় সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।   এ আয়োজনের সমন্বয় করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ। তাকে সহযোগিতা করছেন দলের চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
চরমোনাই পীরের কড়া হুঁশিয়ারি

চরমোনাই পীর সম্প্রতি এক ভাষণে বলেছে- ক্ষমতাপ্রেমিকদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করি, যা শুনে দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক ছড়িয়েছে। বক্তৃতায় পীর ক্ষমতার অপব্যবহার, অনৈতিক শাসন ও দায়িত্বহীন রাজনৈতিক আচরণের বিরুদ্ধে কড়া সুরে বিরোধিতা করে এমন উক্তি করেন বলে অনেকে জানাচ্ছেন; তার সমর্থকরা মন্তব্যটিকে চরম নেতিবাচক শক্তির প্রতীকী সমালোচনার ভাষা হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও অধিকাংশ নেতী অংশ ও নাগরিকরা এটি নিন্দার মধ্যে রেখেছেন।   বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মানুষের অধিকার সংগঠন ও নাগরিক সমাজের কিছু সংগঠন এই ধরনের হিংসাত্মক ভাষার নিন্দা জানিয়েছে এবং সামাজিক অস্থিরতা উসকে দিতে পারে এমন প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। আইনজীবি ও সংবিধানপ্রণেতারা মনে করাচ্ছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকলেও প্রকাশিত বক্তব্যে যদি কাউকে হেয় করা বা হিংসাত্মক কার্যকলাপ উৎসাহিত করার চেষ্টা থাকে তবে তার দায়-দায়িত্ব খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অপরদিকে পীরের অনুসারীরা বলেছেন, উক্তিটি আদতে প্রতীকী এবং সমাজে জমে থাকা অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ মাত্র; তারা দাবি করেছেন মন্তব্যের উদ্দেশ্য ভিন্নভাবে বোঝার চেষ্টা করা উচিত। সামাজিক মাধ্যম ও বিশ্লেষণচক্রগুলোতে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হওয়ায় শান্তি রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বানও উঠেছে বিশেষত এমন সময়ে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। ঘটনাস্থল ও বক্তৃতার সময় ও প্রসঙ্গে যে-পাঠ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়েও বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও বিরোধিতার পারস্পরিক মিলছে; সুতরাং ঘটনাটির যে কোনও আইনগত বা সামাজিক পরিণতি নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও সামাজিক প্রতিক্রিয়ার ওপর।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
বুধবার বিভাগীয় শহরে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় শিবিরের বিক্ষোভ কর্মসূচি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি প্রদান এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নাশকতার প্রতিবাদে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।   ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বুধবার (১২ নভেম্বর) সারাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে সংগঠনটি। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রীয় সংস্কার, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন। কিন্তু সরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানে সময়ক্ষেপণ করছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।   তিনি আরও বলেন, গণহত্যার বিচারে ধীরগতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতার সুযোগে আওয়ামী লীগ আবারও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। নিষিদ্ধ এই দলের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের সভাপতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং গণহত্যাকারীদের বিচার সম্পন্নের দাবি জানান।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
হেফাজত আমিরের ঘোষণা: জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘কওমি মাদ্রাসার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।   তিনি বলেন, আমি অতীতেও বহুবার এই আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখনো সেই ঐক্যের পরিবেশ তৈরি হয়নি। তাই আমার পরামর্শ হলো ইসলাম ও ইসলামের মূলধারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত কখনো গ্রহণ করবেন না। বাবুনগরী আরও বলেন, আমাদের দেশের মসজিদ, মাদ্রাসা, দাওয়াত-তাবলিগ, তাসাউফ ও সুলুকের কাজ যেন কোনো বিদেশি চাপ বা অভ্যন্তরীণ বিভাজনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমরা এমন এক কঠিন সময় অতিক্রম করছি, যখন একদিকে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধের ওপরও নানামুখী আঘাত আসছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের চুক্তি আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য এক অশনি সংকেত। তিনি চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান। আল্লামা বাবুনগরী বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদার মূলভিত্তি হলো কুরআন ও সুন্নাহ, এবং সাহাবায়ে কিরাম ও সালফে সালেহীনের পথ অনুসরণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ইসলামের এই বিশুদ্ধ ঐতিহ্য থেকে সরে গিয়ে নতুন নতুন মতবাদ প্রচার করছে।   সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দাওয়াতুল ইহসান বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আবদুল আউয়াল। এতে পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম আল্লামা ইলিয়াস গুম্মান, হেফাজত মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, উজানীর পীর মাওলানা মাহবুবে এলাহী, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ ও মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানীসহ অন্যান্য আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৯, ২০২৫ 0
তারেক রহমান
সময় এসে গেছে, শিগগির দেশে ফিরব : তারেক রহমান

খুব দ্রুতই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কিছু সংগত কারণে এখনো দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি, তবে সময় এসে গেছে। ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগির দেশে ফিরব।   সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে সাক্ষাৎকারটির প্রথম পর্ব বিবিসি বাংলার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে। যেখানে দেশে ফেরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।   নির্বাচনের আগে দেশে ফেরার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকবো? আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে জনগণের সঙ্গে জনগণের মাঝেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।   জুলাই আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আমাকে কখনোই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না। জুলাই আন্দোলন বলে যেটি বিখ্যাত বা যেটি সবার কাছে গৃহীত এই আন্দোলনটি সফল হয়েছে জুলাই মাসে। কিন্তু এই আন্দোলনটি প্রেক্ষাপট শুরু হয়েছে কিন্তু বহু বছর আগে থেকে।   তারেক রহমান আরও বলেন, এই আন্দোলনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা, যারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে।   তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসের আন্দোলনে জনগণ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছে। সেদিন শুধু রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাই মাঠে ছিল না। আমরা দেখেছি সেদিন মাদ্রাসাছাত্ররা ছিলেন আন্দোলনের মাঠে। আমরা দেখেছি গৃহিনীরা পর্যন্ত রাস্তায় নেমে এসেছেন সন্তানের পেছনে। কৃষক, শ্রমিক, সিএনজিচালক, ছোট দোকান কর্মচারী বা দোকান মালিক থেকে শুরু করে গার্মেন্টস কর্মীরাও নেমে এসেছিলেন। আমরা দেখেছিলাম সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরাও নেমে এসেছিলেন এই আন্দোলনে।   বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অনেক সাংবাদিক- যারা স্বৈরাচারের অত্যাচারে নির্যাতিত হয়ে দেশ থেকে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, তারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন এই আন্দোলনে। ফলে কারো ভূমিকাকেই আমরা ছোট করে দেখতে চাই না। সমাজের দল মত নির্বিশেষে প্রত্যেকটি মানুষের অবদান আছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।   তিনি বলেন, এই আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড। কোনো দল বা কোনো ব্যক্তি নয়, এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।  

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ০৬, ২০২৫ 0
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

Top week

ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ১৭ নভেম্বর

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0