রাজনৈতিক মহলে আবারও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার ও জারা কিছু নেতা–কর্মীর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তব্য দেওয়ার আগেই সভা থেকে সরে দাঁড়ান।
সংবাদ সম্মেলনের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুরু থেকেই কিছু নেতা–কর্মীর অশোভন ও অসম্মানজনক আচরণ লক্ষ্য করা যায়। এর প্রেক্ষিতে আখতার ও জারা হঠাৎ করেই বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করে দেন এবং সভা ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় উপস্থিত অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে হতাশা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ ধরনের পরিস্থিতি অভ্যন্তরীণ অশান্তি ও নেতৃত্বের সঙ্গে অসঙ্গতি নির্দেশ করছে। তাদের মতে, নেতাদের এমন আচরণ দলীয় সমন্বয় ও কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
আখতার ও জারা সংবাদ সম্মেলন বর্জনের পরও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। তবে আশপাশের রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে এবং দলের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডে এর প্রভাব নিয়ে অনুমান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।
২০২৬ সালের মার্চ মাসে পাবনা থেকে সরাসরি ঢাকায় ট্রেন চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেল যোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন। আজ মঙ্গলবার সকালে পাবনার পাকশী বিভাগীয় রেল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। শেখ মইনউদ্দিন বলেন, বর্তমানে রেল বিভাগে কিছু কোচ সংকট রয়েছে। অল্পদিনেই তা নিরসনের মধ্য দিয়ে মার্চ মাস থেকে পাবনা থেকে ঢাকায় সরাসরি ট্রেন চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল বিভাগ। এ সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল পরিবহনে উদ্দেশ্যে নির্মিত রেলস্টেশনটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথাও জানান তিনি। সারাদেশে নৌ, রেল ও সড়ক পথে সমন্বিত আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ার পরিকল্পনা জানিয়ে শেখ মইনউদ্দিন বলেন, দেশের জেলা পর্যায়ের সংযোগকারী মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ ও প্রধান সড়কগুলো প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। পুরোনো জেলা হিসেবে পাবনার প্রধান আব্দুল হামিদ সড়ক প্রশস্তকরণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে সরকার। পাশাপাশি, আরিচা খাসচর ফেরী সংযোগ প্রকল্প, পাকশী-বাধেরহাট সড়ক প্রশস্তকরণ, কাশীনাথপুর-উল্লাপাড়া সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। একইসঙ্গে ঈশ্বরদী রেলগেটে যানজট নিরসনে ওভারপাস নির্মাণের আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও পাবনা সদর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, পাবনা ৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব শেখ মঈনুদ্দিনের কাছে পাবনাবাসীর পক্ষ থেকে যোগাযোগ উন্নয়নে দীর্ঘদিনের দাবিগুলো তুলে ধরেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন গতকাল সোমবার ঈশ্বরদী আসেন। মঙ্গলবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও উপদেষ্টার ছাত্রজীবনের স্মৃতি বিজড়িত নর্থ বেঙ্গল পেপারমিল স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ খান মন্টু, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির মহাসচিব আবু আহসান খান রেয়ন ও পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে বিএনপি জয়ী হবে বলে মনে করেন দেশের ৬৬ শতাংশ মানুষ। নির্বাচন নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিমেকারস কনসাল্টিং লিমিটেডের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের শিরোনাম ছিল, ‘গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ে জাতীয় জনমত জরিপ ২০২৫’। এতে বলা হয়েছে, বিএনপির পরই জনগণের পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জরিপে অর্ধেকের বেশি নাগরিকের মত, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পাশাপাশি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মনে করেন, জামায়াতে ইসলামী জিতলেও দেশ ভালোভাবে পরিচালিত হবে। ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসন পাবে’—এমন প্রশ্নে প্রায় ৬৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, বিএনপিই সবচেয়ে বেশি আসন জয়লাভ করবে। নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন বয়সশ্রেণির অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেও মতামতে তেমন পার্থক্য নেই। অন্যদিকে প্রায় ২৬ শতাংশের ধারণা, বেশি আসন পাবে জামায়াতে ইসলামী। একই প্রশ্নে ৭ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) বেছে নিয়েছেন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কথা বলেছেন শূন্য দশমিক ১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। আর মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা জাতীয় পার্টির (জাপা) কথা বলেছেন। নির্বাচনে কোন দল জয়ী হলে দেশের জন্য সবচেয়ে উপকার হবে—এমন প্রশ্নে প্রায় ৫৭ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে সর্বোত্তম বলে মনে করেছেন। সাড়ে ৩২ শতাংশ মানুষ মনে করেছেন, জামায়াতে ইসলামী জয়ী হলে দেশের জন্য ভালো হবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে দেশের ভালো হবে মনে করেন সাড়ে ৮ শতাংশ মানুষ। এনসিপি জয়ী হলে দেশ ভালো হবে বলে মনে করেছেন শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। পাশাপাশি জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন। উল্লেখ্য, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর উদ্যোগে এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছে। এতে দেশের ৫টি নগর এবং ৫টি গ্রাম বা আধা-শহর এলাকার ১৮-৫৫ বছর বয়সী মোট ১ হাজার ৩৪২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৭৪ জন এবং নারী ৬৬৮ জন ছিলেন। তথ্য সংগ্রহ করা হয় গত ২১-২৮ অক্টোবর। জরিপকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এটি নির্দিষ্টভাবে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে না। এখানে এমন মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা অনলাইন অথবা ছাপা পত্রিকা পড়তে পারেন। একই সঙ্গে তাদের আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরিপের ফলাফলের মাত্রা ৯৯ শতাংশ নির্ভরযোগ্য বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৮১টি দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার ইসির জনসংযোগ শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করে। এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ৭৩টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে ইসি। ওই তালিকা নিয়ে যেকোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ ২০ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছিল। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। দাবি–আপত্তি নিষ্পত্তির পর প্রথম ধাপে ৬৬টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন। এই সংস্থাগুলোকে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর থেকে ২০৩০ সালের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। পরে দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৫টি সংস্থাকে যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন দেওয়া হয়। তাদের নিবন্ধন কার্যকর হবে ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ২০৩০ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য। ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত ৯৬টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’-এর ধারা ১৬ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা চালু করা হয়। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধিত হয় এবং নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক মাঠে ছিলেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৬টির মধ্যে প্রায় ৮০টি সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন পর্যবেক্ষক ভোট আয়োজন পর্যবেক্ষণ করেন।