সর্বশেষ

অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলতে বাধা, পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা

Admin অক্টোবর ০৪, ২০২৫ 0

সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে  চাঁদা তুলতে বাধা দেওয়ায় নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা করেছে চাঁদাবাজরা। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার আরশিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ জানায়, সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৮ জন পুলিশ সদস্য সদর উপজেলার বীরপুর এলাকায় একটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে দেখতে পান আরশীনগর মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। এ সময় দুজনকে হাতেনাতে আটক করলে পেছন থেকে চাঁদা আদায়কারীসহ তাদের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

এ বিষয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে টাকা তুলছিল কয়েকজন। তখন সদর সার্কেলের এএসপি আনোয়ার হোসেন তাদেরকে বলেন- ‘আপনারা এভাবে সিএনজি থেকে টাকা তুলতেছেন কেন, এটা নিয়ম না।’ পরে দুইজনকে জিজ্ঞাসা করার জন্য সাইডে নিলে তখন যারা সিএনজি থেকে টাকা তুলছিল তাদের লোকজন হামলা চালিয়ে দুইজনকে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে  নিয়ে যায়। 

পুলিশ সুপার আরও বলেন, মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ আছেন আনোয়ার। এডিশনাল এসপিকে দিয়ে একটি টিম গঠন করেছি। যদি এ ঘটনায় কারও ব্যর্থতা থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেব। আর যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এটার বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।  

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সর্বশেষ

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
বিদেশি গবেষক আকর্ষণে কানাডার দেড় বিলিয়ন ডলারের মহাপরিকল্পনা

কানাডা শীর্ষ আন্তর্জাতিক গবেষকদের নিয়োগ দিতে ১.৭ বিলিয়ন কানাডীয় ডলার (প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয়ের একটি মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান ও গবেষণায় নীতি পরিবর্তনের কারণে দেশটি ছাড়তে আগ্রহী মেধাবীদের আকৃষ্ট করাও এই উদ্যোগের লক্ষ্যগুলোর একটি।   এর আগে কানাডার বৃহত্তম হাসপাতাল নেটওয়ার্ক এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শীর্ষ প্রতিষ্ঠান পৃথকভাবে কয়েক মিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা নেয়, যার লক্ষ্য ছিল গবেষণা খাতে বাজেট কাটছাঁটের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বিশেষজ্ঞদের কানাডায় আনা। এবার সেই প্রচেষ্টায় যুক্ত হলো ফেডারেল সরকারও। সরকার একে বলছে বিশ্বে এ ধরনের অন্যতম বৃহত্তম নিয়োগ কর্মসূচি। তবে পরিকল্পনাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি নয়। শিল্প ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ফরাসি ভাষাভাষীসহ বিদেশে থাকা এক হাজারেরও বেশি শীর্ষ আন্তর্জাতিক ও কানাডীয় গবেষককে আকৃষ্ট করা। সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী মেলানি জোলিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বিশ্বের কিছু দেশ একাডেমিক স্বাধীনতা থেকে সরে যাচ্ছে, কিন্তু কানাডা সে পথ অনুসরণ করবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অর্থায়ন সংকোচন ও নীতিগত পরিবর্তনের কারণে আন্তর্জাতিক মেধাবীদের নিয়োগ–বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা ও ফেডারেল তহবিলের কারণে এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে আসলেও সাম্প্রতিক কাটছাঁট বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য–সম্পর্কিত গবেষণাকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের টানতে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যাতে ২৭ সদস্যদেশকে গবেষকদের জন্য আকর্ষণীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। কানাডার শিল্পমন্ত্রী জানান, কানাডায় কাজ করছেন না এমন প্রতিভাবান কানাডিয়ান গবেষকদের ফিরিয়ে আনা হবে অগ্রাধিকার। তার ভাষায়, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ব্রেইন ড্রেইনের কথা বলেছি। এখন আমরা আশা করছি, আমাদের মানুষদের আবার ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারব।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0

মানুষ সমান মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, কিন্তু বাস্তবতা?

ছবি : সংগৃহীত

দেশের প্রথম নারী মহাকাশচারী হওয়ার দোরগোড়ায় সারাহ করিম

ছবি: সংগৃহীত

নখ কাটলে কি অজু ভেঙে যায়?

ছবি: সংগৃহীত
বাজার সিন্ডিকেটের দাপটে এখনো অসহায় সরকার

নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার প্রায়ই জরুরি উদ্যোগ নেয়। ব্যবসায়ীরা যখন কোনো পণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে দেয়, তখন বাজার চাপ কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির ঘোষণা আসে। পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ক্ষেত্রে এটি বারবার ঘটতে দেখা যায়। সাম্প্রতিক উদাহরণ—কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। পরে সরকার আমদানির ঘোষণা দিলে চট্টগ্রামে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে আসে, যার প্রভাব রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলেও পড়ে।   সরকার দাম নির্ধারণ করলে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আমদানির অনুমতি দিলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়ার কথা ভোক্তার। কিন্তু বাস্তবে এই সুবিধা ভোক্তার হাতে পৌঁছায় না, বরং বাজার সিন্ডিকেটই লাভবান হয়। সরকারের ঘোষণা ও তদারকি সত্ত্বেও বাস্তবে বাজারে কোনো পরিবর্তন না আসার একটি দায় সরকারকেও নিতে হয়। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, জনগণের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টার পরও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে পুরোনো সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। উৎপাদন, মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আড়তদারদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়িয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করছে। বছরের শেষ দিকে এসে পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের দাম ভোক্তাদের কঠিন অবস্থায় ফেলেছে। অসাধু চক্র নির্দিষ্ট সময়কে টার্গেট করে কয়েকটি পণ্যের দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়। সরকার দাম নির্ধারণ করলেও ব্যবসায়ীরা পুরোটা না মেনে অল্প কিছু কমিয়ে দেখিয়ে লাভ তুলে নেয়, আর ভোক্তারা থাকে ক্ষতিগ্রস্ত। তদন্তে উঠে এসেছে যে সেপ্টেম্বর থেকেই আড়তদার সিন্ডিকেট পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কারসাজি শুরু করে। ভরা মৌসুমে সংকটের অজুহাতে দুই দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪০–৫০ টাকা বাড়িয়ে খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এই কারসাজির মাধ্যমে সিন্ডিকেট কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়। একই সঙ্গে তারা আমদানির অনুমতি দিতে সরকারকে চাপ দেয়। অথচ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে কোনো সংকট নেই; নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসছে এবং এমন পরিস্থিতিতে আমদানির অনুমতি দিলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উৎপাদন ও আমদানির তথ্যও সংকটের দাবিকে সমর্থন করে না। গত অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে প্রায় ৩৩ লাখ টন বাজারে আসে। একই সময়ে ৪ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এত সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়। সরকার শেষ পর্যন্ত বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিদিন ৫০টি করে আমদানির অনুমতি ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে প্রতিটি অনুমতিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আনা যায়। তবুও বাজারে পেঁয়াজের দামে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসেনি। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম ১৪০–১৫০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে, যা কয়েক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬০–৭০ টাকার কাছাকাছি। মাঠ পর্যায়ের সূত্র নিশ্চিত করেছে যে বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। বরং পুরোনো পেঁয়াজ গুদামে আটকে রেখে সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে, যাতে সরকার আমদানি অনুমতিতে বাধ্য হয়। ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। ব্যবসায়ী সংগঠন অনুমতি ছাড়াই লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে তেলের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে বাজারে ছাড়ে। পরে সরকার ব্যবস্থা নিলে আলোচনার মাধ্যমে লিটারে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধির বৈধতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে ৯ টাকা বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত ৬ টাকা বাড়ানোই স্বীকৃতি পায়। এতে ভোক্তার পকেট থেকে বাড়তি টাকা গিয়েই যায়। গত কয়েক বছরের মূল্যবৃদ্ধির ইতিহাসও একই চিত্র দেখায়। ২০২৩ সালে আলুর দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে কয়েক মাসেই ৫০ টাকায় ওঠে। সরকার ৩৫–৩৬ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। পেঁয়াজের দাম কয়েক মাসে ৩০ টাকা থেকে ৯০ টাকায় পৌঁছে। সরকার দামে নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইলে বাজারে তা মানা হয়নি। ডিম ও চিনির ক্ষেত্রেও একই ধরনের অস্থিরতা দেখা গেছে, যেখানে সরকারি দাম নির্ধারণের পরেও বাজার নিজের গতিতে চলেছে।   বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্যকর নিয়ন্ত্রণ না থাকার সুযোগেই সিন্ডিকেট বাজার দখলে রাখে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে হলে আগে থেকেই সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে, অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই ভোক্তা সরকারের প্রচেষ্টার সুফল সত্যিকারে পাবে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর চালু–সিদ্ধান্তে অটল সরকার

ছবি: সংগৃহীত

আসছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’

ছবি: সংগৃহীত

বায়ুদূষণে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত
বিদেশি সিগারেট পাচারে ইউপি সদস্যসহ চারজন আটক

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির রাজস্থলীতে ২১ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট পাচারের সময় বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শিমুল দাসসহ চারজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের মিতিঙ্গ্যাছড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।   আটক অন্যরা হলেন সাজ্জাত ইসলাম, মহিবুল্লাহ হাসান ও রনি তঞ্চঙ্গ্যা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাপ্তাই সেনা জোনের অধীন রাজস্থলী উপজেলার মিতিঙ্গ্যাছড়ি সেনা ক্যাম্পের জেসিও মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে শিমুল দাসের ব্যবহৃত গাড়ি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয় এবং গাড়িতে থাকা চারজনকে আটক করা হয়। পরে জব্দ করা মালপত্রসহ তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাজস্থলী থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, আটক চারজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, মাদক ও অবৈধ পণ্য পাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রার পরিবর্তন নিয়ে পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় মেগা অভিযানে আটক ৮৪৩, আছে বাংলাদেশিও

জাতীয় চিড়িয়াখানার সিংহ ডেইজি। ছবি : সংগৃহীত

খাঁচায় ফেরানো হলো মিরপুর চিড়িয়াখানার সিংহটিকে

0 Comments