সারাদেশ

বাংলাদেশে সৎ নেতার অভাব : এটিএম আজহার

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ গরিব দেশ নয়; বরং সৎ নেতৃত্বের অভাবই দেশের মূল সংকট—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম। তাঁর মতে, দেশের সম্পদের কোনো ঘাটতি নেই, ঘাটতি শুধু সৎ ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের নতুন টেপারহাট এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আজহারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ গরিব দেশ হলে হাজার লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হতো না। আমাদের গরিব বানিয়ে রাখা হয়েছে। সৎ নেতৃত্ব ক্ষমতায় থাকলে এই অর্থ দেশের কল্যাণে ব্যয় হতো এবং বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত হতে পারত।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। জামায়াতে ইসলামী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চায়। জনগণের সমর্থন পেলে কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, এতে শুধু মুসলিম নয়, অমুসলিম নাগরিকরাও উপকৃত হবে। সবাইকে সমান মর্যাদা দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রশিদ শাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের রংপুর–দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, জেলা জামায়াতের আমির ও নীলফামারী–১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ও নীলফামারী–৪ আসনের প্রার্থী হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম প্রমুখ।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সারাদেশ

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে সৎ নেতার অভাব : এটিএম আজহার

বাংলাদেশ গরিব দেশ নয়; বরং সৎ নেতৃত্বের অভাবই দেশের মূল সংকট—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম। তাঁর মতে, দেশের সম্পদের কোনো ঘাটতি নেই, ঘাটতি শুধু সৎ ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের। রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের নতুন টেপারহাট এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আজহারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ গরিব দেশ হলে হাজার লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হতো না। আমাদের গরিব বানিয়ে রাখা হয়েছে। সৎ নেতৃত্ব ক্ষমতায় থাকলে এই অর্থ দেশের কল্যাণে ব্যয় হতো এবং বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত হতে পারত। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। জামায়াতে ইসলামী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চায়। জনগণের সমর্থন পেলে কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, এতে শুধু মুসলিম নয়, অমুসলিম নাগরিকরাও উপকৃত হবে। সবাইকে সমান মর্যাদা দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রশিদ শাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের রংপুর–দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, জেলা জামায়াতের আমির ও নীলফামারী–১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ও নীলফামারী–৪ আসনের প্রার্থী হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম প্রমুখ।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা বাস। ছবি : সংগৃহীত

রংপুর-নীলফামারী রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনের দাবিতে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয়রা। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবরোধ

ছবি : সংগৃহীত

রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বাড়ছে

ছবি : সংগৃহীত
বিরতি ভেঙে আবারও বরিশালে নোঙর করল ঐতিহ্যবাহী স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’

দীর্ঘ তিন বছর বিরতির পর ঢাকা থেকে বরিশালে যাত্রী নিয়ে পৌঁছেছে দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের ঐতিহ্যবাহী ও শতবর্ষী স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’। যাত্রীবহন ক্ষমতা ৯৬০ জন হলেও শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে স্টিমারটি বরিশালে আসে প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে। তবে বরিশাল নদীবন্দরে ঘাট সংকট থাকায় এটি ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন টার্মিনালে নোঙর করে। স্টিমারের এই প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে ইতিহাস-ঐতিহ্য–প্রেমী মানুষের মাঝে।   প্রায় এক শতাব্দীর ইতিহাস বহনকারী এই স্টিমার অতীতে যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হলেও এবার এটিকে চালু করা হয়েছে পর্যটকবাহী নৌযান হিসেবে। এর আগে ১৫ ও ২১ নভেম্বর যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পর্যটক না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, পিএস মাহসুদ প্রতি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা থেকে এবং শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বরিশাল থেকে যাত্রা করবে। ঢাকা থেকে যাত্রা করার পর স্টিমারটি দুপুর ১টার দিকে চাঁদপুর ঘাটে অল্প সময়ের জন্য নোঙর করে, যদিও সেখান থেকে কোনো যাত্রী ওঠেনি। সন্ধ্যায় কীর্তনখোলা নদীতে পৌঁছানোর পর ঘাট সংকটের কারণে এটি ত্রিশ গোডাউন পন্টুনে থামে। সরকারি নৌযানটির নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রথম শ্রেণিতে ২,৬৬০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১,৬৫০ টাকা এবং ডেক শ্রেণিতে ৬০০ টাকা। যাত্রী ইমন খন্দকার স্টিমারে যাত্রার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, শত বছরের ইতিহাসের সঙ্গে ভেসে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা সত্যিই ছিল রোমাঞ্চকর। যথাযথ প্রচারণা হলে যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও তিনি মনে করেন। বরিশালের সংস্কৃতিজন শুভংকর চক্রবর্তী জানান, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্মৃতিবাহী এই স্টিমারের পুনরাগমন বড় এক আনন্দের বিষয়, যা নিয়মিত চালু রাখার জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।   ঐতিহ্যবাহী পিএস মাহসুদ নির্মিত হয় ১৯২২ সালে কলকাতার গার্ডেন রিচ ওয়ার্কশপে। পরে ১৯৮৩ সালে এটি ডিজেল ইঞ্জিনে এবং ১৯৯৫ সালে মেকানিক্যাল গিয়ার সিস্টেমে রূপান্তর করা হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা প্রায় ২৫ বছর এটি বিভিন্ন রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করেছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৯, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে জামায়াতের এমপি প্রার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত

ছবি : সংগৃহীত

১৩ ঘণ্টায় পরপর ৩ বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ

কালনী এক্সপ্রেস। ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের মনোবল ভাঙতে এবার পরিবারকে লক্ষ্য করে হুমকি

 আপনি থানার মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করছেন এমন অভিযোগ তুলে একজন ব্যক্তি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হাসানকে ফোনে হুমকি দেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ভাইব্রাদারকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করছেন, মিথ্যা মামলায় ঢুকাচ্ছেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো আচরণ করছেন। আপনাকে কিন্তু ৩০ বছর চাকরি করতে হবে, বাংলাদেশের মধ্যেই থাকতে হবে, পরিবার নিয়ে বের হতে পারবেন না এটা মনে রাখবেন।   একই ধরনের হুমকি রাজধানীর গুলশান থানার ওসিকেও দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পুলিশ সদস্যকে ফোনসহ নানা কায়দায় হুমকি দিচ্ছে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতাকর্মীরা। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পুলিশ কঠোর অবস্থান নেওয়ায় তাদের এ ধরনের হুমকি বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভারতীয় ফোন নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং এসব নম্বর কার নামে নিবন্ধিত তা জানার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে। সূত্র জানায়, মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের ভয় দেখাতে এবং মনোবল দুর্বল করতে পলাতক নেতাকর্মীরা তাদের টার্গেট করছে। অনেককে বলা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদেরও দেখা হবে, এমনকি চাকরি শেষ হওয়ার পরও ক্ষতি করা হবে। অনেক ক্ষেত্রেই ফোনালাপের রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এতে কর্মকর্তাদের নিজেদের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করছেন। একজন মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এ ধরনের হুমকি স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে হুমকির প্রভাব অনেকটাই কমে যায়। অন্যদিকে একজন সাবেক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হুমকি দেওয়া একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এ ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়া থানার এসআই মনির হাসানকে ফোন করা ব্যক্তি নিজেকে এলাকার সাধারণ নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেন। ৭ নভেম্বর একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেজে ৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের সেই কথোপকথনের অডিও প্রকাশ করা হয়, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। এসআই মনির জানান, তিনি সন্ত্রাস দমন আইনসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, আর মাঝেমধ্যে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি পান। পরে জানা যায়, হুমকিদাতার বাড়ি পাশের কোটালিপাড়া থানায়, নাম ইমরান হোসেন রাজিব। একইভাবে গুলশান থানার ওসিকেও ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। হুমকিদাতা বলেন, আপনি যে শহরে চাকরি করেন সেই শহরের হর্তাকর্তা আমরা। আজ হোক বা কাল, আমরা এমপি–মন্ত্রী হবো। চাকরি কয়দিন করবেন? আপনার চৌদ্দগোষ্ঠীর খবর আমাদের কাছে আছে। আপনারও পরিবার আছে আমরা ছাড়ব না। এই অডিওও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ওসি জানান, তিনি জিডি করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছেন এবং প্রায় প্রতিরাতেই বিদেশি নম্বর থেকে হুমকি পাচ্ছেন।   পুলিশ সদর দপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। মামলা প্রয়োজন হলে মামলা নেওয়া হয়, জিডির বিষয়েও তদন্ত করা হয়। বিদেশি সিম কারও নামে নিবন্ধিত তা জানতে আন্তর্জাতিকভাবে তথ্য সংগ্রহের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

বিজয়নগরের বহুতল ভবনে আগুন, ৫ ইউনিট কাজ করছে

আজও ১৪ ডিগ্রির ঘরে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা

বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন। ছবি : সংগৃহীত

আজ বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

0 Comments