স্বাস্থ্য

ছবি : সংগৃহীত
সকালের বিশেষ মসলা : কমবে ওজন, কমবে সুগার, দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও আধুনিক জীবনযাপনের পরিবর্তনের ফলে অনেকের মধ্যেই ওজন বৃদ্ধি, রক্তে সুগার বেড়ে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা বাড়ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে বহু চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এসব সমস্যার সহজ সমাধানে ভেজানো মেথি হতে পারে কার্যকর উপায় এমনটাই জানাচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা।   মেথির দানায় থাকা দ্রবণীয় ফাইবার, অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিজিয়ে রাখলে আরও সক্রিয় হয় এবং শরীর সহজে শোষণ করতে পারে। নিয়মিত ভেজানো মেথি খাওয়া ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীরা যদি ৬০ দিন ধরে প্রতিদিন ১০ গ্রাম ভেজানো মেথি খান, তবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য উপকার পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে ভেজানো মেথির দানা চিবিয়ে খেলে বাড়তি ফোলাভাব কমে এবং ব্লাড সুগার স্থিতিশীল থাকে। মেথি খাওয়ার নিয়ম সহজ ১-২ চামচ মেথি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দানাগুলো চিবিয়ে খান এবং অবশিষ্ট পানি পান করুন। তবে দুই চামচের বেশি খাওয়া উচিত নয়, বেশি ফাইবার পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। হজম সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মেথি বিশেষভাবে উপকারী। পানিতে ভিজে মেথি জেলি জাতীয় রূপ ধারণ করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে, এসিডিটি কমায় এবং ব্লোটিং দূর করে। যাদের হজমে সমস্যা বা পেট খারাপের প্রবণতা রয়েছে, তাদের জন্য এটি কার্যকর এক প্রাকৃতিক সমাধান।   এ ছাড়া মেথির অন্যতম বড় উপকার হলো ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা। মেথির গ্যালাক্টোম্যানান নামক ফাইবার কার্বোহাইড্রেট ধীরে হজম করায়, ফলে সুগার আকস্মিকভাবে বাড়ে না এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, যা ওজন কমাতে সহায়ক। মোটকথা, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ভেজানো মেথি যুক্ত করলে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ, হজম শক্তি বৃদ্ধি ও ওজন কমাতে উল্লেখযোগ্য উপকার পাওয়া সম্ভব।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ডায়াবেটিস সচেতনতায় হাতিরঝিলে সাড়ে ৭ কিমি ম্যারাথন

১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো সাড়ে সাত কিলোমিটারের ম্যারাথন। সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের শীর্ষ এন্ডোক্রাইনোলজি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বয়সের প্রায় এক হাজার মানুষ অংশ নেন এই দৌড়ে।   আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি ডা. ফারিয়া আফসানা বলেন, সাধারণ মানুষকে শারীরিক ব্যায়াম ও নিয়মিত হাঁটার বিষয়ে উৎসাহিত করতেই এ আয়োজন। তিনি জানান, প্রতি বছর ডায়াবেটিস দিবসে এ ধরনের সচেতনমূলক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশিষ্ট এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট অধ্যাপক ফারুক পাঠান বলেন, ডায়াবেটিস রোগীই শুধু নয়, সুস্থ থাকতে হলে সবাইকে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়তে হবে। প্রতিদিন কিছুটা হাঁটাই পারে ডায়াবেটিসসহ নানা অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে। ম্যারাথন শেষে চিকিৎসক এবং সাধারণ দুই ক্যাটাগরিতেই চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপদের পুরস্কৃত করা হয়। অংশগ্রহণকারী সবাইকে দেওয়া হয় মেডেল ও সার্টিফিকেট।   এই সচেতনতা কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে অপসোনিন ফার্মা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করেছে আলট্রা ক্যাম্প রানার্স। দিনের এ আয়োজন শারীরিক ব্যায়ামের গুরুত্ব ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে দৈনন্দিন হাঁটার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
পায়ে যেসব পরিবর্তন ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেয়

ডায়াবেটিস এখন আর শুধু বয়স্কদের রোগ নয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়মিত রুটিন, কম শারীরিক পরিশ্রম ও মানসিক চাপের কারণে অল্প বয়সীদের মধ্যেও দ্রুত বাড়ছে এই রোগের ঝুঁকি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনি, হার্ট, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্রসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।   চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিসের বেশ কয়েকটি লক্ষণ পায়ে দেখা যায়—যা সময়মতো শনাক্ত করতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পায়ের ৭টি সাধারণ সতর্ক সংকেত চিহ্নিত করেছেন: ১. পায়ে ব্যথা বা অস্বস্তি জ্বালা, ঝিনঝিন ভাব, লালচে হওয়া বা অসাড়তা—এসবই ডায়াবেটিসের প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে। ২. ক্ষত বা ঘা দেরিতে সারা ডায়াবেটিসে রক্তপ্রবাহ ধীর হয়ে যায়, ফলে পায়ের ক্ষত দ্রুত সারতে চায় না। ৩. ফোসকা বা আলসার পায়ের নিচে বা আঙুলের তলায় ফোসকা, ঘা বা আলসার দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি। ৪. পায়ের আকৃতির পরিবর্তন ডায়াবেটিস পায়ের হাড়, জোড় ও নখের গঠনে প্রভাব ফেলতে পারে। ৫. ত্বকের সমস্যা পায়ের ত্বক শুষ্ক হওয়া, ফেটে যাওয়া, চামড়া ওঠা বা আঙুলের ফাঁকে ত্বক খসে যাওয়া—এসবই ডায়াবেটিস সম্পর্কিত সতর্ক সংকেত। ৬. ত্বকের রঙের পরিবর্তন পায়ের ত্বক ফ্যাকাশে, নীলচে বা অস্বাভাবিক গাঢ় হয়ে গেলে অবহেলা করা ঠিক নয়। ৭. ফোলাভাব গোড়ালি বা পায়ে অস্বাভাবিক ফোলা দেখা দিলে এটি রক্তসঞ্চালন সমস্যা বা ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত হতে পারে।   বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পায়ে এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সময়মতো যত্ন নিলে ভবিষ্যতের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ভাত খেয়েও কমবে ওজন, জানালেন পুষ্টিবিদ

ভরপেট খেয়েও মেদ ঝরাতে পারে সঠিক খাদ্যাভ্যাস বাঙালির জীবনে ভাত মানেই আবেগ। সকাল, দুপুর বা রাত—দিনের যে কোনো খাবারে ভাত না থাকলে যেন আহারই অপূর্ণ লাগে। কিন্তু ওজন কমানোর পথে অনেকেই ভাতকে মনে করেন ‘শত্রু’। তাই ডায়েট শুরু করলেই অনেকে ভাত বাদ দেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমাতে ভাত পুরোপুরি ছাড়াই সমাধান নয়—বরং কীভাবে, কতটা ও কার সঙ্গে খাচ্ছেন, সেটিই মূল কৌশল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় নিউট্রিশন কোচ জাস্টিন গিচাবা জানিয়েছেন, ভাত একা খেলে শরীরে ফ্যাট জমতে পারে, কিন্তু সঠিক খাবারের সঙ্গে খেলে তা ওজন কমাতেও সহায়ক হতে পারে। তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ভাত খুব সহজে হজম হয়, ফলে দ্রুত ক্ষুধা লাগে এবং মানুষ না বুঝেই বেশি খেয়ে ফেলেন। এতে ওজন বাড়ে। গিচাবা বলেন, ভাত থেকে পাওয়া এনার্জি দ্রুত শেষ হয়ে যায়, তাই শরীর আরও খাবার চায়। এই চক্রটাই মেদ বাড়িয়ে দেয়। অনেক জিমপ্রেমী ভাত ও চিকেনকে আদর্শ কম্বিনেশন মনে করলেও, গিচাবার মতে এটি যথাযথ নয়। বরং ফাইবারযুক্ত খাবার ভাতের সঙ্গে খেলে শরীরে ফ্যাট কমানোর প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। তার মতে, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার ধীরে হজম হয়, দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। এটি রক্তের চিনি ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। গিচাবা পরামর্শ দেন, প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় অন্তত ৩০ গ্রাম ফাইবার বা প্রতিমিলে কমপক্ষে ১০ গ্রাম ফাইবার রাখার। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে—বিনস, ছোলা, মসুর ডাল, সবুজ মটর, পালংশাক, ব্রকোলি ও অ্যাভোকাডো। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই তালিকা থেকে কয়েকটি খাবার ডায়েটে রাখুন। দেখবেন, ভাত বাদ না দিয়েও মেদ কমানো কত সহজ। নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি যোগ করেন, আমি নিজেও মাঝে মাঝে ভাত খাই, তবে বুঝেছি মিষ্টি আলুর মতো খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।   সংক্ষেপে, ভাতকে দোষারোপ না করে যদি খাবারের ভারসাম্য ও ফাইবারের পরিমাণে নজর রাখা যায়, তাহলে ভরপেট খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব। অর্থাৎ, মেদ ঝরানোর যুদ্ধে ভাত নয়, বুদ্ধিদীপ্ত খাদ্যাভ্যাসই আসল অস্ত্র। সূত্র: দ্য ওয়াল

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ডায়াবেটিসে কলা কাঁচা না পাকা কোনটি ভালো?

কলাকে বলা হয় সহজলভ্য ‘সুপারফুড’। এটি যেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর, তেমনই শরীরের প্রয়োজনীয় এনার্জিরও দারুণ উৎস। সবজি হিসেবেও যেমন খাওয়া যায়, তেমন ফল হিসেবেও পাকা কলা জনপ্রিয়। তবে প্রশ্ন হলো, ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কোন ধরনের কলা খাওয়া ভালো? কাঁচা, পাকা নাকি মজে যাওয়া?   বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলা যত পাকতে থাকে, ততই এর পুষ্টিগুণে পরিবর্তন আসে। কাঁচা অবস্থায় ফলটির মধ্যে থাকা স্টার্চ ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রাকৃতিক শর্করায়। যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজে। ফলে কাঁচা, পাকা ও অতিপাকা কলার গুণাগুণে যেমন পার্থক্য আছে, তেমনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও এর প্রভাব ভিন্ন। কাঁচকলা কাঁচকলা হলো ডায়াবেটিকদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং মিষ্টত্ব তুলনামূলকভাবে কম। এই ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের জন্যও উপকারী, কারণ কাঁচকলা প্রিবায়োটিক জাতীয় খাবার হিসেবে কাজ করে; যা হজমতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায় এবং প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। পুরোপুরি কাঁচা নয়, আবার পুরোপুরি পাকা নয়— এমন অবস্থার কলাও দারুণ উপকারী। এই পর্যায়ে কলায় পটাশিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে, যা পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রম সঠিক রাখতে সাহায্য করে। যাদের রক্তে শর্করার সমস্যা সামান্য বা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা এই ধরনের কলা পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন। হলুদ কলা যখন কলা একেবারে পেকে যায়, তখন মিষ্টত্ব বেড়ে যায়। কারণ এর স্টার্চ পুরোপুরি শর্করায় রূপ নেয়। এই কলা দ্রুত এনার্জি জোগায়, তাই যারা ব্যায়াম করেন বা শরীরচর্চার পর শক্তি চান, তাদের জন্য এটি ভালো বিকল্প। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নয়, কারণ এতে শর্করার মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি। মজে যাওয়া কলা যে কলায় কালচে বা খয়েরি দাগ পড়ে, সেটিই মজে যাওয়া কলা। এই অবস্থায় ফলটির মিষ্টত্ব সবচেয়ে বেশি এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ধরনের কলা একেবারেই পরিহারযোগ্য।   ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে ভালো হলো কাঁচকলা বা অল্প পাকা কলা, যেখানে ফাইবার বেশি ও শর্করা তুলনামূলকভাবে কম। আর মজে যাওয়া অতিপাকা কলা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। সূত্র : এই সময়

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
বাঁধাকপি-ফুলকপি কি থাইরয়েডের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর

অনেকে মনে করেন, থাইরয়েড হলে বাঁধাকপি ও ফুলকপি খাওয়া একেবারেই বারণ। তবে ভারতীয় পুষ্টিবিদ রাখি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অল্প পরিমাণে এই সবজি খেলে কোনো ক্ষতি হয় না।   তিনি বলেন, বাঁধাকপি ও ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস সবজিতে গোয়িট্রোজেনিক নামের একটি যৌগ থাকে, যা অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে গেলে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তবে সেদ্ধ করলে এর ক্ষতিকর উপাদান অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়, ফলে মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ। রাখি আরও জানান, থাইরয়েড রোগীদের সোয়াবিন ও কিছু বিনস খাওয়ায় সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত, কারণ এতে গোয়িট্রোজেনিক উপাদান বেশি থাকে। তবে সোয়া চাঙ্কস প্রক্রিয়াজাত হওয়ার সময় ক্ষতিকর উপাদান অনেকটাই কমে যায়, তাই এটি খাওয়া যেতে পারে। তার মতে, থাইরয়েডের রোগীদের জন্য আলাদা কোনো কঠোর খাদ্যনিয়ম নেই। হরমোনের ধরন বুঝে সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখাই সবচেয়ে জরুরি। হাইপোথাইরয়েডিজমে (হরমোন কম হলে): কম কার্বোহাইড্রেট ও নিয়ন্ত্রিত ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। হাইপারথাইরয়েডিজমে (হরমোন বেশি হলে): ব্যালেন্সড ডায়েট ও নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি।   অর্থাৎ, বাঁধাকপি ও ফুলকপি থাইরয়েড রোগীদের জন্য একেবারে নিষিদ্ধ নয়। পরিমাণ বুঝে, সেদ্ধ করে খেলে এগুলো নিরাপদ ও উপকারী। সূত্র: এই সময় অনলাইন  

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
এক মাস নিয়মিত হলুদ খেলে শরীরে যা ঘটে

বাঙালি রান্নায় হলুদ এক অনিবার্য উপকরণ। তরকারিতে রঙ, গন্ধ আর স্বাদের ছোঁয়া দিতে যেমন দরকার, তেমনি রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণও। আয়ুর্বেদ ও ঘরোয়া চিকিৎসায় হলুদ বহু বছর ধরে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু টানা এক মাস প্রতিদিন হলুদ খেলে শরীরে কী ঘটে—সে তথ্য জানিয়েছে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া।   নিয়মিত হলুদ খেলে শরীরের প্রদাহ কমে, হজম ভালো থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ব্যায়ামের পর মাংসপেশির ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। এর প্রধান উপাদান কারকিউমিন (Curcumin) প্রদাহনাশক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। তবে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। খালি পেটে বেশি হলুদ খেলে পেট জ্বালা, গ্যাস বা বমিভাব হতে পারে। এটি রক্ত পাতলা করে, ফলে যারা ব্লাড থিনার ওষুধ খান তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত গ্রহণে লিভারের ক্ষতি, ত্বকে অ্যালার্জি এবং শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতিদিনের রান্নায় অল্প পরিমাণে হলুদ ব্যবহারই সবচেয়ে ভালো। চাইলে গরম দুধ বা চায়ে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও খাওয়া যায়। তবে সাপ্লিমেন্ট নিতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।   হলুদ নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস শরীরের ভেতর-বাহির দুই দিক থেকেই উপকার দেয়। তবে পরিমিত মাত্রায় না খেলে উপকারের বদলে ক্ষতিও হতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৯, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণ ও প্রতিকার

যখন পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি কমে যায়; কিছু কিছু ক্ষেত্রে বীর্যে কোনো শুক্রাণু পাওয়া না যায় এবং পুরুষের সমস্যার কারণে যখন স্বামী-স্ত্রী এক বছর সহবাস করার পরও বাচ্চা কনসিভ হয় না, তখন তাকে পুরুষ বন্ধ্যত্ব বলা হয়। বন্ধ্যত্ব রোগীদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুরুষ বন্ধ্যত্ব রোগী। কারণ অতিরিক্ত ধূমপান করা, অ্যালকোহল, নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা, সেডেন্টারি লাইফস্টাইল, ওজনের আধিক্য, অতিরিক্ত স্ট্রেস, হরমোনাল সমস্যা—টেস্টোস্টেরন, থাইরয়েড, প্রোলাকটিন, জিনগত কারণ, ইনফেকশন—ক্ল্যামিডিয়া ও গনোরিয়া, শুক্রনালির ব্লকেজ, অণ্ডকোষের টিউমার, ভেরিকোসিলি, মামস অরকাইটিস, দীর্ঘ সময় গরম আবহাওয়ায় কাজ করার কারণে পুরুষ বন্ধ্যত্ব হতে পারে। রোগ নির্ণয় সামান্য একটা বীর্য পরীক্ষার মাধ্যমেই পুরুষ বন্ধ্যত্ব ডায়াগনোসিস সম্ভব, তিন দিন সহবাস বন্ধ রেখে বীর্য পরীক্ষা করতে হবে। একটি বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট যদি খারাপ আসে, তাহলে এক মাস পরে আরেকটি বীর্য পরীক্ষা করতে হবে। সেটিও যদি খারাপ আসে, তাহলে অণ্ডকোষের ইউএসজি এবং হরমোনাল পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসা লাইফস্টাইল মডিফিকেশন—ওজন কমানো, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করা, সবুজ শাকসবজি-ফলমূল খাওয়া, তৈলাক্ত ও চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা। স্ট্রেস কমানো এবং রাতে পর্যাপ্ত ঘুম, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা। শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতির উন্নতির জন্য চিকিৎসকরা কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট দিয়ে থাকেন। ওষুধ দেওয়ার পরে রোগীকে পরবর্তী সময় আরও তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। যদি শুক্রাণুর সংখ্যার উন্নতি হয়, তাহলে রোগী প্রাকৃতিক নিয়মে চেষ্টা করবে অথবা বিকল্প পদ্ধতির ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।   ওষুধ দেওয়ার পরও যদি শুক্রাণুর সংখ্যা উন্নতি না হয়, সেই ক্ষেত্রে আইভিএফ/আইসিএসআই করা যেতে পারে। ভেরিকোসিলি (অণ্ডকোষের শিরা ফুলে যাওয়া), শুক্রনালি বন্ধ—এসব সমস্যা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে সার্জারি লাগতে পারে। আইইউএই করা যেতে পারে যদি শুক্রাণুর সংখ্যা বা গতির মাঝারি ধরনের সমস্যা থাকে এবং আইসিএসআই করা হয়, যদি শুক্রাণুর সংখ্যা বা গতির অনেক বেশি সমস্যা থাকে। পুরুষ বন্ধ্যত্বে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বীর্যে কোনো শুক্রাণুই পাওয়া যায় না, যেটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে শুক্রাণু নিয়ে আইসিএসআই করাটাই ভালো। ডা. অবন্তি ঘোষ গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ চেম্বার: আলোক হেলথকেয়া, মিরপুর-১০

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৯, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
রম না ঠান্ডা কোন কফি শরীরের জন্য ভালো

শীতের সকালে এক কাপ গরম কফির চেয়ে আরামদায়ক কিছুই নেই। অনেকে ভাবেন, কোল্ড কফির তুলনায় গরম কফি শুধু পছন্দের ব্যাপার; কিন্তু আসলে শরীর দুটো কফিতে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। পাচন, রক্তসঞ্চালন, এমনকি মুড—সব ক্ষেত্রেই কিছু পার্থক্য দেখা যায়। চলুন দেখে নিই, গরম ও ঠান্ডা কফির প্রভাব কেমন ভিন্ন হতে পারে।   গরম কফি শুধু আরাম দেয় না, হজমেও সাহায্য করে। এর উষ্ণতা অন্ত্রের পেশি শিথিল করে, ফলে খাবার সহজে হজম হয় ও মেটাবলিজম বাড়ে। বিশেষজ্ঞ ডা. অর্চনা বাত্রা জানান, শীতকালে গরম পানীয় পেট ফাঁপা বা হালকা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। ঠান্ডা কফির তুলনায় গরম কফি শরীরের ভেতর থেকে উষ্ণতা বাড়ায়। এটি রক্তনালিগুলোকে প্রশস্ত করে, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীর উষ্ণ রাখে। তাই সকালে এক কাপ গরম কফি মন ও শরীর—দুটোই সতেজ রাখে।   গরম কফিতে অম্লীয় উপাদান কিছুটা বেশি থাকে, যা সংবেদনশীল ব্যক্তিদের পেটে জ্বালা বা হার্টবার্ন তৈরি করতে পারে। তবে ঠান্ডা কফিও কখনো কখনো হজমে অস্বস্তি আনতে পারে। তাই গরম কফি ধীরে ধীরে পান করাই ভালো—এতে শরীর সহজে মানিয়ে নেয় এবং অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমে।   গবেষণায় দেখা গেছে, গরম পানীয় সেরোটোনিন ও অক্সিটোসিনের মতো ‘ভালো লাগার’ হরমোন বাড়ায়। তাই এক কাপ গরম কফি শুধু শরীর নয়, মনকেও সতেজ করে তোলে। গরম কফি শরীর থেকে তরল বের করে দেয়, অর্থাৎ এটি হালকা ডাইইউরেটিক। তাই কফির সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি বা হারবাল চা পান করা জরুরি, যাতে শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় থাকে।   ঠান্ডা কফিতে সাধারণত সিরাপ, ক্রিম বা ফ্লেভার মেশানো হয়, যা ক্যালরি ও চিনি বাড়ায়। অন্যদিকে গরম কফি অনেকেই কালো বা সামান্য দুধ দিয়ে পান করেন—ফলে চিনি গ্রহণ কম হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গরম কফি সাধারণত ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে পান করা হয়। ফলে একবারে বেশি কফি খাওয়া হয় না, ক্যাফেইনের পরিমাণও স্বাভাবিক থাকে এবং তৃপ্তিও বেশি মেলে।   গবেষণায় দেখা গেছে, গরম কফিতে ঠান্ডা কফির তুলনায় সামান্য বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং ত্বক ও কোষের বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে। শীতের সকালে এক কাপ গরম কফি মন ও শরীর দুটোই জাগিয়ে তোলে। তবে পরিমাণে সংযমী থাকা জরুরি। অতিরিক্ত চিনি বা ক্রিম এড়িয়ে চলুন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন—তাহলেই কফি হবে আপনার স্বাস্থ্যকর সঙ্গী। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

খবর৭১ ডেস্ক নভেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
পায়ের ফাঁকে বালিশ দিয়ে ঘুমাচ্ছেন? কী হয় জেনে নিন

ঘুম মানুষের শরীর ও মনের জন্য ভীষণ জরুরি। তবে সবার ঘুমানোর ভঙ্গি এক নয়—কেউ একটিমাত্র বালিশে ঘুমাতে পছন্দ করেন, কেউবা মাথার নিচে উঁচু বালিশ ছাড়া ঘুমোতে পারেন না। আবার অনেকের অভ্যাস ঘুমের সময় পায়ের ফাঁকে বালিশ রাখা। অনেকের কাছে এটি নিছক আরামদায়ক ভঙ্গি মনে হলেও চিকিৎসকদের মতে এই অভ্যাসের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা।   বিশেষজ্ঞদের মতে, কাত হয়ে ঘুমালে পায়ের ফাঁকে বালিশ রাখলে শিরদাঁড়া সোজা থাকে এবং দেহভঙ্গি ঠিক থাকে। এতে কোমর ও পেলভিস অঞ্চলে বাড়তি চাপ পড়ে না। ফলে দীর্ঘমেয়াদে শিরদাঁড়ার বেঁকে যাওয়া বা পেশিতে অতিরিক্ত টান লাগার ঝুঁকি কমে যায়। ভারতের পারস হেলথের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. আর আর দত্ত বলেন, স্পাইনে চাপ পড়লে এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। কিন্তু পায়ের ফাঁকে বালিশ রেখে ঘুমালে শিরদাঁড়া সোজা থাকে এবং পেশির ওপর চাপ কমে। এতে কোমর ও গাঁটের ব্যথাও অনেকটা লাঘব হয়।   অন্যদিকে ডা. দীপক কুমার মহারানা জানান, স্পাইন জার্নাল অব ভাসকুলার সার্জারি ও দ্য স্পাইন জার্নালের গবেষণায়ও বলা হয়েছে পায়ের ফাঁকে বালিশ রেখে ঘুমালে শরীরের সঠিক ভঙ্গি বজায় থাকে এবং ঘুম হয় আরও আরামদায়ক। চিকিৎসকেরা বলছেন, যাদের কোমরের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস বা শিরদাঁড়ার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই অভ্যাস বিশেষভাবে উপকারী। তাই অভ্যাসে থাকলে ভালো, না থাকলেও চাইলে আজ থেকেই শুরু করা যেতে পারে।

খবর৭১ ডেস্ক নভেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
কিডনি ভালো রাখতে দিনে কতটুকু পানি খাওয়া জরুরি

দেহের সুস্থতার অন্যতম শর্ত হলো কিডনি ভালো থাকা। কিন্তু অজান্তেই আমরা এমন অনেক ভুল করি, যা সরাসরি প্রভাব ফেলে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির সবচেয়ে বড় শত্রু হলো পানির ঘাটতি। নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফল হতে পারে গেঁটে বাত, কিডনিতে পাথর কিংবা হার্টের জটিলতা পর্যন্ত। তাই শরীর সুস্থ রাখতে জানতে হবে—দিনে কতটা পানি খাওয়া উচিত, আর কেন তা এত জরুরি।   রক্তে ইউরিক অ্যাসিড থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে এর মাত্রা বেড়ে যায়। সাধারণত এই অ্যাসিড রক্তে মিশে কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু যখন এর পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে যায়, তখনই শুরু হয় বিপত্তি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘হাইপারইউরেসেমিয়া’।   চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, দীর্ঘদিন ধরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে তা থেকে গেঁটে বাত, কিডনিতে স্টোন, এমনকি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় হলো শরীরকে আর্দ্র রাখা, অর্থাৎ পর্যাপ্ত পানি পান করা। শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে এবং কিডনি কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। তারা বলেন, পানি হলো শরীরের প্রাকৃতিক ‘ডিটক্সিফায়ার’। এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডকে পাতলা করে দেয়, ফলে অতিরিক্ত অ্যাসিড সহজেই কিডনির ছাঁকনি পেরিয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে রক্তে অ্যাসিডের ঘনত্ব বেড়ে যায়, যা জোড়ায় জোড়ায় বা কিডনিতে জমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ‘চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর তথ্যমতে, যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি এবং গেঁটে বাতের সমস্যা রয়েছে, তাদের দিনে অন্তত ২০০০ থেকে ৩০০০ মিলিলিটার (প্রায় ৮–১২ গ্লাস) পানি পান করা উচিত। একইভাবে দ্য জার্নাল অব নেফ্রোলজি-এর গবেষণায়ও দেখা গেছে, নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান ইউরিক অ্যাসিডজনিত কিডনি রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়। চিকিৎসকদের মতে, পানির প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। তবে গড়ে পুরুষদের দিনে ৮–৯ গ্লাস, আর নারীদের ৭–৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে একসঙ্গে অনেক পানি না খেয়ে সারা দিনে অল্প অল্প করে সিপ করে খাওয়াই সবচেয়ে কার্যকর। দিনের শুরুতে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানি খাওয়া দারুণ উপকারী। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলে শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয়, আর দিনের শুরুটাও হয় সতেজভাবে।

খবর৭১ ডেস্ক নভেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
শিশুদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের সাধারণ কিছু লক্ষণ

লিউকেমিয়া হলো এক ধরনের রক্তের ক্যান্সার, যেখানে হাড়ের মজ্জায় রক্তের কোষ এবং প্লেটলেট তৈরির প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। এতে কিছু নতুন সাদা রক্তকণিকা ঠিকভাবে পরিপক্ব হতে পারে না। এসব অসম্পূর্ণ কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক রক্তকোষগুলিকে ঠেলে দেয় এবং নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি করে। শিশুদের মধ্যে লিউকেমিয়া সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সারগুলোর একটি। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়।   শিশুদের লিউকেমিয়ার সঠিক কারণ সাধারণত জানা যায় না। তবে লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে বা হঠাৎ করেও প্রকাশ পেতে পারে। ক্রনিক লিউকেমিয়ার উপসর্গ সময় নিয়ে দেখা দেয়, কিন্তু অ্যাকিউট লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণ দ্রুত প্রকট হয়ে ওঠে। অনেক সময় এগুলো সাধারণ অসুস্থতার সঙ্গে মিলে যেতে পারে—তবে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ আছে যা গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।   সহজে রক্ত পড়া বা দাগ পড়া: লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা সাধারণ চোটেও অতিরিক্ত রক্তপাত করতে পারে। নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা শরীরে সহজে নীলচে দাগ পড়া হতে পারে। ত্বকে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা দেওয়াও সাধারণ। রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এসব লক্ষণ দেখা দেয়, কারণ প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যায়।   পেট ব্যথা ও খিদে কমে যাওয়া: লিউকেমিয়ার কোষ যকৃৎ, প্লীহা বা কিডনিতে জমে অঙ্গগুলো বড় করে দেয়, ফলে শিশুরা পেট ব্যথা অনুভব করতে পারে। অনেক সময় ডাক্তার পরীক্ষার সময় এসব অঙ্গ স্পর্শ করে বুঝতে পারেন। শিশুরা ঠিকমতো খেতে চায় না, খিদে কমে যায় এবং ওজন দ্রুত হ্রাস পেতে পারে।   শ্বাসকষ্ট বা কাশি: লিউকেমিয়ার কোষ থাইমাস গ্রন্থির আশেপাশে জমে শ্বাসনালিতে চাপ ফেলতে পারে। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, কাশি হয়, এমনকি ফুসফুসের নোড ফুলে উঠতে পারে। মুখ, ঘাড় বা বুকে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে।   বারবার সংক্রমণ হওয়া: লিউকেমিয়ার কোষগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। ফলে শিশুরা বারবার জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা বা সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকেও এসব সংক্রমণ সহজে কমে না।   শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা অংশ: রক্ত ছাঁকতে সাহায্যকারী লিম্ফ নোডে ক্যান্সার কোষ জমে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। সাধারণত গলা, বাহুর নিচে, কলারবোনের উপরে বা কোমরের অংশে ফোলা দেখা যায়। থাইমাস ফোলা থাকলে মুখ বা বুকের রঙ নীলচে হয়ে যেতে পারে, সাথে মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা হতে পারে।   হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা: লিউকেমিয়ায় হাড়ের ম্যারোতে কোষ দ্রুত বাড়তে থাকে, ফলে হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা দেখা দেয়। কিছু শিশু নিচের পিঠে বা পায়ে ব্যথা অনুভব করে এবং হাঁটতে কষ্ট হয়।   রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া): লাল রক্তকণিকা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে। কিন্তু কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি RBC-এর ঘাটতি তৈরি করে। এর ফলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, ফ্যাকাশে ত্বক, দ্রুত শ্বাস নেওয়া এবং মাথা ঘোরা হতে পারে।   সব লক্ষণ দেখলেই শিশুর লিউকেমিয়া আছে এমন নয়। এটি নির্ভর করে রোগের ধরন, কোষের প্রকৃতি ও চিকিৎসার সময়ের ওপর। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু হলে শিশুদের বেঁচে থাকার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে এখন লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত অনেক শিশু সম্পূর্ণ সেরে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছে। সূত্র: Healthline

খবর৭১ ডেস্ক নভেম্বর ০৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
তরুণ বয়সেও কেন বাড়ছে স্ট্রোক? যেসব অভ্যাসে বাড়ে এর ঝুঁকি

স্ট্রোক এখন আর কেবল বয়স্কদের সমস্যা নয়। সম্প্রতি তরুণদের মধ্যেও এর হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। অনেক সময় একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপন করা তরুণরাও স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা আরও বেশি। তবে সুখবর হলো, কিছু সচেতনতা আর নিয়ম মেনে চললেই এই ভয়াবহ বিপদ থেকে নিজেকে অনেকটাই সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।   অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের নিউরোসার্জন ডা. দেবর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্ট্রোক মূলত দুই ধরনের—ইস্কেমিক স্ট্রোক ও হেমারেজিক স্ট্রোক। ইস্কেমিক স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে। আর হেমারেজিক স্ট্রোক ঘটে দুর্বল রক্তনালি ছিঁড়ে মস্তিষ্কে রক্তপাত হলে। দুই ক্ষেত্রেই দ্রুত চিকিৎসা না পেলে রোগীর জীবন গুরুতর ঝুঁকিতে পড়ে।   ডা. দেবর্ষির মতে, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন থাকলে স্ট্রোকের আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রেশারের ওষুধ একদিনও বাদ দেওয়া উচিত নয়। এমনকি গর্ভাবস্থা বা সাময়িক অসুস্থতার সময়ও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, তখন বাড়তি সতর্কতা জরুরি।   বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যেও স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ছে। এর প্রধান কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অলস জীবনযাপন, অনিয়মিত ঘুম ও শরীরচর্চার অভাব। সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং ব্যায়াম না করাও বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত।   স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় এমন কিছু অভ্যাস হলো—উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখা, অতিরিক্ত লবণ ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া, শরীরচর্চার অভাব, ধূমপান ও মদ্যপান। এসব অভ্যাস রক্তনালিকে দুর্বল করে এবং মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের ভারসাম্য নষ্ট করে।   নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খান, অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করুন, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক বিশ্রাম নিন এবং নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন। কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।   মনে রাখবেন, সময়মতো সচেতনতা ও সঠিক অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব। নিজের যত্ন নিন, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সুস্থ থাকুন।  

খবর৭১ ডেস্ক নভেম্বর ০৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কোন খাবারগুলো খাওয়া জরুরি

আমাদের ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত বেশিরভাগ উপকরণই আসে রান্নাঘর থেকেই। হলুদ, দুধ থেকে আমলকির রস—এসব প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রেখেই আমরা বিশ্বাস করে আসছি যে আসল সৌন্দর্য শুরু হয় ভেতর থেকে। এমনই এক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো গ্লুটাথিয়ন, যা নীরবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।   ‘মাস্টার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’ নামে পরিচিত গ্লুটাথিয়ন শরীরের গভীরে কাজ করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে, বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং ত্বককে করে তোলে সতেজ ও দীপ্তিময়। এটি শরীরের এক ধরনের ডিটক্স বন্ধু হিসেবে কাজ করে—দূষণ, সূর্যের আলো কিংবা অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি মেরামতে সহায়তা করে।   ত্বকের যত্নে দামি সিরাম বা চিকিৎসার পরিবর্তে শুরু করা যেতে পারে খাবারের থালা থেকেই। গ্লুটাথিয়ন সমৃদ্ধ কিছু খাবার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষভাবে সহায়ক।   পালং শাক: গ্লুটাথিয়নের অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস। এটি ক্লোরোফিল ও ভিটামিনে ভরপুর, যা নিস্তেজ ত্বক মেরামত করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। প্রতিদিন এক বাটি পালং শাক বা গ্রিন স্মুদি ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। রান্নার সময় লেবুর রস যোগ করলে ভিটামিন সি শোষণ বাড়ে ও গ্লুটাথিয়ন অক্ষুণ্ণ থাকে।   হলুদ ও রসুন: রান্নাঘরের সহজলভ্য দুটি শক্তিশালী গ্লুটাথিয়ন-বর্ধক উপাদান। হলুদের কারকিউমিন প্রদাহ কমিয়ে শরীরে গ্লুটাথিয়ন উৎপাদন বাড়ায়, আর রসুনের সালফার যৌগ লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এক গ্লাস হলুদ দুধ বা রান্নায় রসুনের ফোড়ন ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে।   পেঁপে: ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন ও গ্লুটাথিয়নে সমৃদ্ধ ফল। এটি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং ত্বকের পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক বাটি পাকা পেঁপে খাওয়া উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সহজ ও কার্যকর উপায়।   শেষ পর্যন্ত, ভালো ত্বক আসে ভেতর থেকে যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে। তাই দামি প্রসাধনীর পরিবর্তে প্রকৃতির দেওয়া এই গ্লুটাথিয়নসমৃদ্ধ খাবারগুলো রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়—আপনার ত্বক আপনাকে ধন্যবাদ দেবে।

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ৩১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
জীবনযাপনে পরিবর্তন না আনলে ক্যানসার ঠেকানো কঠিন : বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন না আনলে ক্যানসার প্রতিরোধ করা কঠিন হবে বলে সতর্ক করেছেন দেশ-বিদেশের ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে অনকোলোজি ক্লাব আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ক্যানসার কংগ্রেস-২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন।   এবারের কনফারেন্সে বিশ্বের ১৬টি দেশের ৩১ জন খ্যাতনামা ক্যানসার বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ১২০০ জন অনকোলজিস্ট, চিকিৎসক ও গবেষক অংশ নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ভেজাল খাদ্য ও বায়ুদূষণ ক্যানসার বৃদ্ধির মূল কারণ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় আড়াই লাখ মানুষ নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।   অনকোলোজি ক্লাব বাংলাদেশ ও ক্যানসার কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ হাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ চিকিৎসার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, দেশে ক্যানসার চিকিৎসার আধুনিকায়নে মানসম্পন্ন ও দক্ষ জনবল তৈরি করা এখন জরুরি। ক্যানসার জয় করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।   ডা. হাই সরকারের প্রতি জেলায় ক্যানসার ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগের প্রশংসা করে তরুণ চিকিৎসকদের ক্যানসার চিকিৎসায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এ বছরের কনফারেন্সে একাডেমিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে ইতালির বলোনিয়া ইউনিভার্সিটি, সিংহেলথ সিঙ্গাপুর এবং গ্লোবাল হেলথ ক্যাটালিস্ট। এছাড়া যুক্তরাজ্যের রয়েল মডার্ন হাসপাতাল, সেন্ট বার্থোলোমিউস হাসপাতাল, হুইপস ক্রস ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের ইউপিএমসি হিলম্যান ক্যানসার সেন্টার, ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ স্কুল অব মেডিসিন, পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটি সহ বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত আছেন।   কনফারেন্সে অনকোলোজি ক্লাব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ হাই ও জেনারেল সেক্রেটারি ডা. এ এম এম শরীফুল আলমের নেতৃত্বে দেশের শীর্ষ ক্যানসার বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন একাডেমিক সেশনে।  

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ৩০, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ওজন কমাতে হাঁটার সেরা সময় কোনটি – সকাল না বিকেল?

 ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন অনেকেই। কেউ জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান, কেউ যোগব্যায়ামে ভরসা রাখেন। আবার অনেকে আছেন, যাদের কাছে সবচেয়ে সহজ ও স্বস্তির ব্যায়াম হলো হাঁটাহাঁটি। অফিসে টানা চেয়ারে বসে কাজের ফাঁকে একটু হাঁটা হোক বা রাতে খাওয়ার পর ছাদে কয়েক পাক ঘোরা – হাঁটার এই সহজ অভ্যাসই অনেকের ফিটনেস মন্ত্র।   চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রতিদিন সময় না পেলেও অন্তত কিছুটা হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, দ্রুত মেদ ঝরাতে কোন সময় হাঁটা বেশি ফলদায়ক – সকালে না বিকেলে? চিকিৎসকদের একাংশের মতে, সকালে হাঁটার রয়েছে বাড়তি কিছু সুফল। ভোরের নির্মল বাতাসে হাঁটলে ফুসফুস পরিষ্কার থাকে, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। সেই সঙ্গে হৃৎস্পন্দনের হারও থাকে স্বাভাবিক। তাদের দাবি, সকালে হাঁটাহাঁটি করলে হজমশক্তি উন্নত হয়, ফলে গ্যাস, অম্বল বা হজমজনিত অস্বস্তি দূর হয়। হজম ঠিক থাকলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া দিনের শুরুতে হাঁটলে শরীর ও মন দুই-ই সতেজ থাকে, কাজের উদ্যম বাড়ে। এমনকি অনিদ্রায় ভুগলেও সকালের দিকে হাঁটাহাঁটি উপকারী হতে পারে।   তবে বিশেষজ্ঞদের আরেকাংশের মতে, শীতকালে ভোরের দিকে হাঁটা সব সময় উপযুক্ত নয়। এই সময় বাতাসে ধুলাবালি, পোলেন ও দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়, যা অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই অনেকে পরামর্শ দেন, রোদ উঠলে বা কিছুটা বেলা বাড়লে হাঁটা ভালো। এতে সূর্যের হালকা উষ্ণতা পাওয়া যায়, শরীরও থাকে চনমনে। অন্যদিকে বিকেল বা সন্ধ্যার হাঁটারও রয়েছে নিজস্ব উপকারিতা। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে হাঁটাহাঁটি মানসিক চাপ কমায়, মনকে শান্ত করে এবং ক্লান্ত শরীরে আনে নতুন উদ্যম। রোদ না থাকায় দীর্ঘ সময় হাঁটলেও ক্লান্তি কম হয়। অনেকের অভিজ্ঞতা বলছে, বিকেল বা রাতে নিয়মিত হাঁটলে ঘুম ভালো হয় এবং ধীরে ধীরে শরীরের বাড়তি চর্বিও গলে যায়।   তাহলে ওজন কমাতে আদর্শ সময় কোনটি – সকাল নাকি সন্ধ্যা? গবেষকেরা বলছেন, এর কোনো নির্দিষ্ট উত্তর নেই। দিনে যে সময়টায় হাঁটতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেটাই আপনার জন্য সেরা সময়। মূল বিষয় হলো হাঁটা, সময়ের হিসাব নয়। নিয়মিত হাঁটলে শরীরচর্চার সুফল পাওয়া যায়ই, সেটা সকাল হোক বা বিকেল।   বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সময় নিয়ে দ্বিধায় না পড়ে আজ থেকেই হাঁটা শুরু করুন। নিয়মিত হাঁটলে মেদ ঝরবে, শরীরও থাকবে চাঙা।  

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ২৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
অফিসে বাড়ছে ‘বোরআউট সিনড্রোম’, বিশেষজ্ঞরা কি বলছে

দীর্ঘ সময় অফিসে বসে থাকা, একঘেয়ে কাজের চাপ ও কর্মজীবনে আগ্রহ হারানোর কারণে অনেক পেশাজীবী এখন ভুগছেন ‘বোরআউট সিনড্রোমে’। মানসিক ক্লান্তি, উদ্যমহীনতা ও অনুপ্রেরণার অভাব এই সমস্যার মূল বৈশিষ্ট্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আধুনিক কর্মজীবনের এক নীরব সংকট, যা উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিচ্ছে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।   মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘বোরআউট’ মূলত তখনই দেখা দেয় যখন কর্মীরা নিজেদের কাজের সঙ্গে মানসিকভাবে সংযুক্ত থাকতে পারেন না। তারা কাজের প্রতি আগ্রহ হারান, দায়িত্বকে যান্ত্রিকভাবে পালন করেন এবং ধীরে ধীরে মানসিক চাপ ও হতাশায় ভোগেন। অনেকের ক্ষেত্রে ঘুমের সমস্যা, উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ও কাজ ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়।   করোনার পরবর্তী সময়ে রিমোট ও হাইব্রিড কাজের ধরণ বাড়ার পর এই প্রবণতা আরও তীব্র হয়েছে। অনেক কর্মী নির্দিষ্ট দায়িত্বের বাইরে নতুন কিছু করার সুযোগ না পেয়ে একঘেয়েমিতে ভুগছেন। তাছাড়া অনেকে অফিসের পরিবেশে সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ না পেয়ে মানসিকভাবে দূরে সরে যাচ্ছেন।   একজন সংগঠন মনোবিজ্ঞানী জানান, “অতিরিক্ত কাজের চাপ যেমন বার্নআউট তৈরি করে, ঠিক তেমনই পর্যাপ্ত কাজের অভাব বা অর্থহীন দায়িত্ব ‘বোরআউট’ ঘটায়। দুটোই মানসিকভাবে ক্ষতিকর।”    প্রতিকার কী?  বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অফিসে মানসিক উদ্দীপনা ধরে রাখতে প্রয়োজন নতুন চ্যালেঞ্জ ও শেখার সুযোগ। কর্মীদের উচিত নিজের পছন্দের কাজে যুক্ত থাকা এবং কাজের লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা। পাশাপাশি, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষেরও দায়িত্ব কর্মীদের মতামত শোনা ও তাদের দক্ষতা অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টন করা।   মানসিক স্বাস্থ্যের চর্চা যেমন মেডিটেশন, নিয়মিত ব্যায়াম, বিশ্রাম নেওয়া এবং পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোও ‘বোরআউট সিনড্রোম’ প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই সিনড্রোম অবহেলা করলে তা দীর্ঘমেয়াদে হতাশা ও পেশাগত অযোগ্যতায় রূপ নিতে পারে। তাই প্রাথমিক পর্যায়েই সচেতনতা ও মানসিক সহায়তা নেওয়া জরুরি।   অফিসে মনোবল ও আগ্রহ ধরে রাখতে ইতিবাচক কাজের পরিবেশ, স্বাধীনতা এবং পারস্পরিক যোগাযোগই হতে পারে ‘বোরআউট সিনড্রোম’ মোকাবিলার মূল চাবিকাঠি।

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ১৯, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
কর্মক্ষেত্রে চাপ কমানোর ৫ মূল পদ্ধতি

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক কর্মপরিবেশে অনেকেই অফিসের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অতিরিক্ত কাজ, সময়সীমার চাপ, সহকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা কিংবা ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য হারানো—সব মিলিয়ে মানসিক ক্লান্তি এখন কর্মজীবনের সাধারণ চিত্রে পরিণত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সচেতন পদক্ষেপ নিলে এই চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।   ১. সময় ব্যবস্থাপনা করুন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। কোন কাজটি আগে শেষ করা জরুরি, আর কোনটি অপেক্ষা করতে পারে—তা নির্ধারণ করুন। অনেক সময় সব কাজ একসঙ্গে শুরু করলে দক্ষতা কমে যায় ও মানসিক চাপ বাড়ে। সময় ব্যবস্থাপনা শুধু কাজের চাপ কমায় না, বরং আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়।   ২. বিরতি নিন নিয়মিতভাবে টানা কাজ করলে মস্তিষ্ক দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর ছোট বিরতি নেওয়া দরকার। হাঁটাহাঁটি করা, পানি পান, কিংবা কয়েক মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ রাখা—এসব ছোট অভ্যাসই মনোযোগ ফেরাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট বিরতি উৎপাদনশীলতা বাড়ায় এবং মানসিক স্বচ্ছতা বজায় রাখে।   ৩. ‘না’ বলতে শিখুন সব অনুরোধ বা অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করলে কাজের ভার অপ্রয়োজনীয়ভাবে বেড়ে যায়। তাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ বেছে নেওয়া এবং প্রয়োজন হলে ভদ্রভাবে ‘না’ বলতে শেখা অত্যন্ত জরুরি। সীমা নির্ধারণের মাধ্যমে নিজের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা রক্ষা করা সম্ভব।   ৪. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখুন পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে মানসিক স্বস্তি ও একাগ্রতা বাড়ে। পাশাপাশি, ধূমপান ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকাও চাপ কমাতে সহায়ক।   ৫. প্রয়োজন হলে সহায়তা নিন যদি অফিসের চাপ সহনীয়তার সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে সহকর্মী, পরিবার বা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন। অভিজ্ঞদের পরামর্শ বা মানসিক সহায়তা নেওয়া দুর্বলতার নয়, বরং সচেতনতার পরিচায়ক। সময়মতো সাহায্য চাইলে দীর্ঘমেয়াদে মানসিক সুস্থতা রক্ষা করা সহজ হয়।   বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, কর্মক্ষেত্রে চাপ সম্পূর্ণ এড়ানো সম্ভব নয়, তবে সঠিক কৌশল অবলম্বন করলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করতে পারলেই পেশাগত জীবনে স্থিতি ও সাফল্য আসে।  

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ১৯, ২০২৫ 0
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

Top week

ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ১৭ নভেম্বর

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0