অবশেষে প্রকাশ পেল মেগাস্টার শাকিব খানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘সোলজার’-এর প্রথম টিজার। মাত্র ৩৩ সেকেন্ডের ঝলকেই দর্শকমহলে তৈরি হয়েছে তুমুল আলোড়ন।
ভক্তদের মতে, শাকিবের দেওয়া আগাম ইঙ্গিত এবার সত্যি হতে চলেছে— সিনেমাটিতে দেখা মিলবে এক “অচেনা শাকিব খানের।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে টিজারটি শেয়ার করে শাকিব লেখেন—
“পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করে প্রস্তুত... এসে গেল #SOLDIER-এর প্রথম ঝলক!!”
টিজারটি শুরু হয় ঘড়ির কাঁটার শব্দ ও জাতীয় পতাকার পটভূমি দিয়ে। তার ওপরে উড়ে যাচ্ছে সামরিক হেলিকপ্টার। এরপর আসে ধারাবাহিক অ্যাকশন দৃশ্য, এবং শেষে দেখা যায় শাকিব খানের নতুন লুক।
শেষে শোনা যায় এক শক্তিশালী সংলাপ—
“তোমার জন্য দেশ নাকি দেশের জন্য তুমি।”
এই সংলাপেই যেন ইঙ্গিত মেলে দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও ত্যাগের গল্পের।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেন,
“আগ বাড়িয়ে বলতে চাই না যে একদম আলাদা শাকিব খান দেখতে পাবেন, তবে এটুকু বলতে পারি— এমন গল্পে আমি আগে কখনও কাজ করিনি।”
টিজার প্রকাশের পর নেটিজেনরা বলছেন, শাকিবের সেই কথাই যেন সত্যি হচ্ছে।
একজন মন্তব্য করেছেন—
“শাকিব খান, আপনি মানুষ নন, আপনি দিনে দিনে এলিয়েনে পরিণত হচ্ছেন! আপনার অভিনয় নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে।”
তরুণ নির্মাতা সাকিব ফাহাদ পরিচালিত এই সিনেমাটি প্রযোজনা করছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড।
নির্মাতা জানান,
“সোলজার কেবল যুদ্ধ বা দেশপ্রেমের গল্প নয়। এটি নতুন প্রজন্মের গল্প— যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় এবং দেশের জন্য কিছু করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা চাই, শাকিব ভাই যেন সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠুন। আমাদের গল্পটা আশার— যত সংকটেই পড়ি, আমরা আশাবাদী থাকব।”
‘সোলজার’-এ শাকিব খানের বিপরীতে আছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা।
এছাড়াও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, তৌকির আহমেদ, এবিএম সুমন, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীসহ একঝাঁক তারকা।
চিত্রগ্রহণে রয়েছেন কামরুল হাসান খসরু।
ইতোমধ্যে শুটিং শুরু হয়েছে, এবং সংশ্লিষ্টদের ধারণা—
সব কিছু পরিকল্পনামতো চললে ‘সোলজার’ বাংলা চলচ্চিত্রে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।
ঢাকাই সিনেমার অন্যতম আলোচিত জুটি আরিফিন শুভ ও জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। পর্দায় তাদের রসায়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাস্তবেও তাদের প্রেমের গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। এরই মাঝে রায়হান রাফি নির্মিত ‘নূর’ সিনেমায় তাদের একটি চুম্বন দৃশ্য ফাঁস হওয়ার পর নেট দুনিয়ায় নতুন করে চর্চা শুরু হয়। অবশেষে সিনেমাটি মুক্তির দিনে নিজেদের প্রেম ও সেই অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন আরিফিন শুভ। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘নূর’। এ উপলক্ষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শুভ স্পষ্ট করেছেন তার অবস্থান। প্রেমের গুঞ্জন প্রসঙ্গে সহশিল্পী ঐশীর সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন কতটা সত্যি—এমন প্রশ্নের জবাবে শুভ বেশ কৌশলী ও সাফ উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “গুঞ্জন সত্য হলে আপনি প্রশ্ন করার সময় এটাকে ‘গুঞ্জন’ বলতেন না। শোবিজে কাজ করলেই সহশিল্পীদের নিয়ে এ ধরনের কথা ছড়ায়—এটা নতুন কিছু নয়। আমি এগুলোকে কখনো গুরুত্ব দিই না, প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজনও দেখি না। এটা তারকা জীবনের অংশ, এর বেশি কিছু নয়।” অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে ব্যাখ্যা শুভকে এর আগে পর্দায় এতটা সাহসী বা অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখা যায়নি। ঐশীর সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘গল্প যদি ডিমান্ড করে, একজন অভিনেতা হিসেবে প্রয়োজনীয় যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত। কিন্তু সেটা শুধু আলোচনার জন্য বা সিনেমা বিক্রির জন্য হলে হবে না—চরিত্রের ভেতরে তার স্পষ্ট প্রয়োজন থাকতে হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘নূর-এর গল্পে যেটা প্রয়োজন ছিল, আমি সেটা করেছি। চরিত্র যেদিকে নিয়ে গেছে—আমিও সেভাবে অভিনয় করেছি।’ আলোচিত সেই দৃশ্যের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে শুভ বলেন, এটা আসলে ‘কিস’ নয়, এটা আসলে একটা ‘মোমেন্ট’। আমরা কখন যে সিনটা করলাম, আদৌ কি কোনো কিছু হলো? আমরা নিজেরাও বোধ হয় বুঝতে পারি নাই। সত্যি বলতে আমার অস্বস্তি লাগে নাই। কারণ সেই মোমেন্টে আরেকটা চরিত্র আমার মধ্যে বসবাস করছিল। উল্লেখ্য, রায়হান রাফি পরিচালিত ‘নূর’ সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। ওটিটিতে মুক্তির পর শুভ-ঐশী জুটির এই কেমিস্ট্রি দর্শকদের কতটা মুগ্ধ করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বলিউডের সীমানা ছাড়িয়ে এখন তিনি গ্লোবাল আইকন। মার্কিন মুলুক থেকে মুম্বাইয়ে পা রেখেই সোজা জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা কপিল শর্মার উদ্দেশে ছুড়লেন চ্যালেঞ্জ। তিনি আর কেউ নন, ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সাতসকালেই মুম্বাইয়ে পা রেখেছেন তিনি। তবে এবার তার দেশে ফেরার মূল কারণ সিনেমার শুটিং নয়, বরং ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর নতুন সিজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়া। বিমানবন্দরে নেমেই প্রিয়াঙ্কা যেন বুঝিয়ে দিলেন, এবার তিনি প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন। শোতে যাওয়ার আগেই সঞ্চালক কপিল শর্মার উদ্দেশে একরকম ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে রাখলেন এই অভিনেত্রী! কপিলকে প্রিয়াঙ্কার চ্যালেঞ্জ সাধারণত কপিল শর্মার শোতে তারকারা আসেন ভয়ে ভয়ে, কখন না জানি কপিলের তীর্যক কৌতুক বা রোস্টিংয়ের শিকার হতে হয়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যেন স্রোতের বিপরীতে। সঞ্চালকের ভয়ে কুঁকড়ে না গিয়ে উল্টো তাকেই ‘তৈরি থাকার’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি এবার ‘দেশি গার্ল’-এর ভয়ে ‘জুুজু’ দেখবেন কপিল? নাকি এই আন্তর্জাতিক তারকার সামনে এবার ভিন্ন কিছু ঘটতে চলেছে? তা জানা যাবে শো সম্প্রচারের পরেই। কপিলের শোতে নতুন চমক ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর চতুর্থ সিজন নিয়ে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শোয়ের প্রোমোতে দেখা গেছে, কপিল শর্মা এবার হাজির হচ্ছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন সব অবতারে—কখনও ‘জেন-জি বাবা’, কখনও ‘তাউজি’, আবার কখনও রাজা কিংবা মন্ত্রীর বেশে। শোয়ের অন্যান্য চরিত্রগুলোতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। এই নতুন সেটআপেই অতিথি হিসেবে থাকছেন প্রিয়াঙ্কা। দক্ষিণী সিনেমায় প্রিয়াঙ্কার জয়জয়কার একসময় বলিউডে কোণঠাসা হয়ে পড়া প্রিয়াঙ্কা এখন পশ্চিমা দুনিয়া জয় করে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রিয় পাত্রী হয়ে উঠেছেন। পরিচালক এস এস রাজামৌলীর বিগবাজেট সিনেমা ‘বারাণসী’তে তার কাজের কথা শোনা যাচ্ছে। এরপর থেকেই তার কাছে একের পর এক বড় বাজেটের দক্ষিণী ছবির প্রস্তাব আসছে। এই কাজের সুবাদেই এখন মার্কিন মুলুক থেকে ঘন ঘন ভারতে আসা-যাওয়া করছেন এই অভিনেত্রী।
কাজাখস্তানের কঠিন আবহাওয়া, দুর্গম লোকেশন আর শারীরিক ঝুঁকি- সবকিছু পেরিয়ে ‘দম’ সিনেমার প্রথম পর্বের শুটিং শেষ করেছেন আফরান নিশো। দেশে ফিরে ভক্তদের আয়োজিত জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তিনি শেয়ার করলেন সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ের প্রথম লট সম্পন্ন হয়েছে কাজাখাস্তানে। শুরুতে সৌদি আরব ও জর্ডানকে লোকেশন হিসেবে বিবেচনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা বদলে যায়। ছবির পরিচালক রেদওয়ান রনি ও পুরো টিম টানা কয়েকদিন শুটিং করে গত ৬ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন। এরপর ৮ ডিসেম্বর নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিশো জানান সেই কষ্টসাধ্য যাত্রার গল্প। তীব্র ঠান্ডা, টাইট শিডিউলের চাপ; সব মিলিয়ে শুটিং যেন ছিল অভিনেতার কাছে যুদ্ধ। নিশো বলেন, ‘দম–এর মতো সিনেমার দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য আশীর্বাদ। আমরা চাই ভালো গল্প, ভালো কাজ।’ এই সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে হাত-পা ও কেটেছে অভিনেতার; তবুও শুটিং থামেনি। অভিনেতার কথায়, ‘শুটিংয়ের সময় হাত কাটবে, পা কাটবে— এসব ভাবলে কাজই করা যেত না। ১০ মিনিট বিরতিই মানে পুরো দিনের শিডিউল ফেল করা ছিল। তাই যাই হোক, চালিয়ে যেতে হয়েছে।’ আবহাওয়ার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কাজাখস্তানে দুপুর দুইটার পর সূর্যের আলো থাকে না। তাই সকাল থেকেই দৌড়াতে হয়েছে। প্রতিবন্ধকতা অনেক ছিল, কিন্তু গর্বের বিষয়; একটাও অতিরিক্ত দিন লাগেনি।’ তবে, ছবির গল্প বা নির্মাণ নিয়ে বিস্তারিত জানাননি নির্মাতা বা শিল্পীরা। তবে নিশোর ইঙ্গিত—বাংলাদেশি মূলধারার সিনেমায় এমন নির্মাণশৈলী আগে হয়নি। এই সিনেমায় আফরান নিশো ছাড়াও রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী; নায়িকা হিসেবে আছেন পূজা চেরি। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে ‘দম’।