সারাদেশ

তিন দশকেও বাসযোগ্য নয় পূর্বাচল, আরও ৯ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্পে প্রশ্ন

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর পাশে ‘আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৫ সালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প শুরু হয়। তবে প্রায় তিন দশক পরও এলাকা পুরোপুরি বসবাসযোগ্য হয়নি। ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সড়কসহ মৌলিক সুবিধার অভাবে ভোগান্তিতে পড়ছেন প্লট মালিকরা।

পূর্বাচলকে বাসযোগ্য করতে রাজউক নতুন করে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ‘পূর্বাচল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে ডিপিপি পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। তবে ব্যয়, ক্রয় পরিকল্পনা, নতুন করে ভূমি উন্নয়নসহ নানা প্রশ্নে কমিশন ডিপিপি ফেরত পাঠিয়েছে সংশোধনের জন্য।

নগর বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্বাচল প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সমস্যা ভুল বরাদ্দ নীতি। তাদের দাবি, যাদের আবাসনের প্রয়োজন নেই—সেসব সচিব, আমলা, রাজনীতিবিদদের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্লটগুলো দীর্ঘ সময় খালি পড়ে আছে। অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদের মতে, বিকল্প আবাসন থাকা ব্যক্তিদের প্লট বাতিল করলে দ্রুত মানুষ বসবাস শুরু করবে; কিন্তু রাজউক তা করছে না।

প্রাক্কলিত ডিপিপিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮৭০ কোটি টাকা। ভূমি উন্নয়ন, সড়ক প্রশস্তকরণ, নতুন রাস্তা, স্লুইচগেট, বক্স কালভার্ট, স্ট্রিট লাইট, মসজিদ-মন্দির, কাঁচাবাজারসহ ১২টি খাতে এসব অর্থ ব্যয় হবে। এছাড়া ২৮৮ কোটি টাকায় নির্মাণের প্রস্তাব আছে ‘রাজউক পূর্বাচল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর, যা নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন।

বিশেষজ্ঞদের আরেক অভিযোগ—রাজউক প্লট বিক্রি না করে ফ্ল্যাট নির্মাণ করলে ঢাকার আবাসন সংকট কিছুটা কমত। কিন্তু প্লট বরাদ্দের কারণে এখানে জমির সবচেয়ে বড় বাজার তৈরি হয়েছে। কাঠাপ্রতি যে জমি অধিগ্রহণ হয়েছিল ১৪ হাজার টাকার কমে, সেটিই এখন বিক্রি হচ্ছে ১–১.৫ কোটি টাকায়। ফলে প্লট হাতবদলেই অনেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন।

জমির অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যই পূর্বাচলে আবাসন গড়ে না ওঠার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন প্লট মালিক ও জমি ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হলেও এত বেশি দামে আবাসন কার্যত অসম্ভব।

নতুন প্রকল্প নিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পুরোনো অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতেই নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এখানে শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মাণ ও অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।

 
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সারাদেশ

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
তিন দশকেও বাসযোগ্য নয় পূর্বাচল, আরও ৯ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্পে প্রশ্ন

রাজধানীর পাশে ‘আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৫ সালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প শুরু হয়। তবে প্রায় তিন দশক পরও এলাকা পুরোপুরি বসবাসযোগ্য হয়নি। ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সড়কসহ মৌলিক সুবিধার অভাবে ভোগান্তিতে পড়ছেন প্লট মালিকরা। পূর্বাচলকে বাসযোগ্য করতে রাজউক নতুন করে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ‘পূর্বাচল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে ডিপিপি পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। তবে ব্যয়, ক্রয় পরিকল্পনা, নতুন করে ভূমি উন্নয়নসহ নানা প্রশ্নে কমিশন ডিপিপি ফেরত পাঠিয়েছে সংশোধনের জন্য। নগর বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্বাচল প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সমস্যা ভুল বরাদ্দ নীতি। তাদের দাবি, যাদের আবাসনের প্রয়োজন নেই—সেসব সচিব, আমলা, রাজনীতিবিদদের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্লটগুলো দীর্ঘ সময় খালি পড়ে আছে। অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদের মতে, বিকল্প আবাসন থাকা ব্যক্তিদের প্লট বাতিল করলে দ্রুত মানুষ বসবাস শুরু করবে; কিন্তু রাজউক তা করছে না। প্রাক্কলিত ডিপিপিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮৭০ কোটি টাকা। ভূমি উন্নয়ন, সড়ক প্রশস্তকরণ, নতুন রাস্তা, স্লুইচগেট, বক্স কালভার্ট, স্ট্রিট লাইট, মসজিদ-মন্দির, কাঁচাবাজারসহ ১২টি খাতে এসব অর্থ ব্যয় হবে। এছাড়া ২৮৮ কোটি টাকায় নির্মাণের প্রস্তাব আছে ‘রাজউক পূর্বাচল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর, যা নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। বিশেষজ্ঞদের আরেক অভিযোগ—রাজউক প্লট বিক্রি না করে ফ্ল্যাট নির্মাণ করলে ঢাকার আবাসন সংকট কিছুটা কমত। কিন্তু প্লট বরাদ্দের কারণে এখানে জমির সবচেয়ে বড় বাজার তৈরি হয়েছে। কাঠাপ্রতি যে জমি অধিগ্রহণ হয়েছিল ১৪ হাজার টাকার কমে, সেটিই এখন বিক্রি হচ্ছে ১–১.৫ কোটি টাকায়। ফলে প্লট হাতবদলেই অনেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন। জমির অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যই পূর্বাচলে আবাসন গড়ে না ওঠার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন প্লট মালিক ও জমি ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হলেও এত বেশি দামে আবাসন কার্যত অসম্ভব। নতুন প্রকল্প নিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পুরোনো অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতেই নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এখানে শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মাণ ও অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।  

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে সৎ নেতার অভাব : এটিএম আজহার

সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা বাস। ছবি : সংগৃহীত

রংপুর-নীলফামারী রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনের দাবিতে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয়রা। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবরোধ

ছবি : সংগৃহীত
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বাড়ছে

দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টার্গেট কিলিংয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসেই রাজনৈতিক কারণে অন্তত ১০৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যার মধ্যে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী।   আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪ মাসে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর কমপক্ষে ১৭১টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১২০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বড় অংশ বিএনপির নেতা-কর্মী। একই সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট ২৮১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অধিকাংশ ঘটনা দলীয় অন্তঃকোন্দলে সংঘটিত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ আমলেও রাজনৈতিক সহিংসতা ও দুর্বৃত্তদের হামলায় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। তখন নিহতের তালিকায় এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেশি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় বিএনপির অন্তঃকোন্দলগুলোতে ৫৭৭টি ঘটনার মধ্যে ৮৮ জন নিহত হয়েছেন। বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে ২২১ জনের মধ্যে ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মধ্যে নিহত ৩৮ জনের মধ্যে ১২ জনই অন্তঃদলীয় সহিংসতায় মারা গেছেন। জামায়াত কর্মীরা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় ১২১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশ (৭৪ জন) ছিলেন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার।   জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম মহিউদ্দিন বলেছেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষমতায় টিকে থাকতে খুন-খারাবির ঘটনা সাধারণ। যারা ক্ষমতায় আসার জন্য প্রস্তুত, তাদের নেতা-কর্মীরা নিজেদের অবস্থান শক্ত রাখতে নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একই কারণে টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটতে পারে। এটি পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পিতভাবেও করা হতে পারে, যাতে নির্বাচন পিছিয়ে যায়। এই ধরনের ঘটনা গুরুত্ব সহকারে তদন্তের দাবি রয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৯, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

বিরতি ভেঙে আবারও বরিশালে নোঙর করল ঐতিহ্যবাহী স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে জামায়াতের এমপি প্রার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত

ছবি : সংগৃহীত

১৩ ঘণ্টায় পরপর ৩ বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ

কালনী এক্সপ্রেস। ছবি : সংগৃহীত
সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

হবিগঞ্জের মাধবপুর ইটাখোলা স্টেশন এলাকায় কালনী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকাগামী ট্রেনটি মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলায় পৌঁছলে ইঞ্জিন হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। বিস্তারিত আসছে..

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মনোবল ভাঙতে এবার পরিবারকে লক্ষ্য করে হুমকি

ছবি : সংগৃহীত

বিজয়নগরের বহুতল ভবনে আগুন, ৫ ইউনিট কাজ করছে

আজও ১৪ ডিগ্রির ঘরে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা

0 Comments