সারা দেশে তাপমাত্রা কমার প্রবণতা দেখা দিতে পারে আগামীকাল শুক্রবার থেকে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে এবং এ প্রবণতা শনিবারও অব্যাহত থাকতে পারে। চলতি মাসের শেষ দিকে দেশে শীতের অনুভূতি আরও কিছুটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, আগামী দুই দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এরপর কিছুদিন তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মাসের শেষ দিকে আবার স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা কমার ফলে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
এদিকে দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় আগামীকালের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাংলাদেশের ওপর এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। শুক্রবার ভোরের দিকে দেশের কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের আমবাগানে ৩৩.৫ ডিগ্রি। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৯ এবং সর্বনিম্ন ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।
সারাদিন ডেস্কে বসে কাজ করেন, অথচ খাওয়াদাওয়া তেমন না বদলালেও কি হঠাৎ ওজন বাড়তে শুরু করেছে? শরীর ভারী লাগে, ক্লান্তি পিছু ছাড়ে না? অনেকেই ভাবেন, শুধু ব্যায়াম করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আসল সমস্যা লুকিয়ে আছে দিনের বেশিরভাগ সময় একই ভঙ্গিতে বসে থাকার মধ্যেই। কেন ডেস্কে বসে কাজ করলে ওজন বাড়ে? ডায়েটিশিয়ান ও ডায়াবেটিস এডুকেটর কানিকা মালহোত্রা বলেন, দীর্ঘসময় বসে থাকলে শরীরের মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। ফলে শরীর কম ক্যালরি পুড়ায়, ফ্যাট জমতে থাকে, আর শক্তির ব্যবহার কমে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে শরীরের ‘মেটাবলিক ফ্লেক্সিবিলিটি’ কমে- মানে শরীর কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাটের মধ্যে শক্তির উৎস বদলাতে পারে না। এর ফলে- - রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট হয় ডেস্কে বসে কাজ করছেন? যেসব লক্ষণে বুঝবেন ওজন বাড়ছে অ্যালার্মে ঘুম ভাঙে? অজান্তেই বাড়াচ্ছেন শরীরের চাপ - ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে - হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে তাই তিনি পরামর্শ দেন, ২০-৩০ মিনিট পর পর কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকা বা হাঁটা খুব জরুরি। ডেস্কে বসে কাজেই ওজন বাড়ছে, এটা বুঝবেন যেভাবে বিশেষজ্ঞরা জানান, নিচের ৬টি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হোন— পেটের চারপাশে চর্বি জমছে সারাদিন বসে থাকার কারণে ক্যালরি পোড়ে কম, আর ফ্যাট জমে পেটের আশপাশে। রক্তচাপ বাড়ছে অনেকক্ষণ এক ভঙ্গিতে বসলে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়, রক্তচাপ বাড়তে পারে। রক্তে শর্করা বেড়ে যাচ্ছে নড়াচড়া কম হলে শরীর গ্লুকোজ ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না—ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। কোলেস্টেরল বৃদ্ধি লম্বা সময় বসে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ায়, হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে। সবসময় ক্লান্তি লাগে ধীর মেটাবলিজমের কারণে সারাদিন শরীর ভারী লাগে, শক্তি কমে যায়। মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়া পা ও কোমরের পেশি ব্যবহার না হলে সেগুলো দুর্বল হয় - ফলাফল, আরও ধীর বিপাকক্রিয়া। সমাধান : ছোট অভ্যাসেই বড় পরিবর্তন কানিকা মালহোত্রার মতে, ডেস্ক জব থাকলেই যে অসুস্থ হতেই হবে, তা নয়—অল্প কিছু অভ্যাস পাল্টালেই অনেক সুবিধা : - প্রতি ঘণ্টায় ৫ মিনিট হাঁটুন বা স্ট্রেচ করুন - রাতের ভারী খাবার কমান, সকালে পুষ্টিকর খাবার খান - ঠিক ভঙ্গিতে বসুন, পিঠ সোজা রাখুন ডেস্কারসাইজ করুন : চেয়ার স্কোয়াট, সিটেড লেগ লিফট, হালকা হ্যান্ড এক্সারসাইজ আজকের কর্মজীবনে দীর্ঘসময় ডেস্কে বসে থাকা এড়ানো কঠিন। কিন্তু সচেতন থাকলে এই অভ্যাসের ক্ষতি কমানো সম্ভব। দিনের মাঝে ছোট হাঁটা, নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাবার আর ভালো ঘুম - এগুলোই আপনার শরীরের বিপাক ঠিক রাখবে, আর ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ব্যস্ত জীবন, কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের চাপ, মানসিক ক্লান্তি এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এখন অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী। কথায় কথায় রেগে যাওয়া বা সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা নতুন কিছু নয়। কিন্তু আপনি কি এই উপসর্গগুলোকে অবহেলা করছেন? কারণ এর আড়ালেও লুকিয়ে থাকতে পারে গুরুত্বপূর্ণ কোনো রোগের ইঙ্গিত। ডায়াবেটিসের মতোই থাইরয়েডের সমস্যাও আজকাল বাড়ছে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন আমাদের শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো কারণে এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে এবং নানা সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism) একটি খুব সাধারণ সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, থাইরয়েডের লক্ষণগুলো শুরুতে খুব স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। অনেক সময় রোগীরা বুঝতেই পারেন না যে সমস্যার মূল কারণ থাইরয়েড। কারণ এসব উপসর্গ অন্য কারণেও দেখা দিতে পারে। তাই শরীরে ছোটখাটো পরিবর্তন এলেই সতর্ক হওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যে লক্ষণগুলো অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয় বিশ্রামের পরেও ক্লান্তি পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রামের পরেও যদি ক্লান্তিভাব না কাটে, কিংবা সামান্য পরিশ্রমেই যদি হাঁপিয়ে ওঠেন—তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এটি থাইরয়েডের সমস্যার একটি লক্ষণ হতে পারে। হঠাৎ মেজাজ বদল মানসিক চাপ থাকলে মেজাজ খারাপ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু হঠাৎ করে কথায় কথায় খিটখিটে হয়ে উঠলে, বা সামান্য কারণেও রাগ বেড়ে গেলে এবং এই অবস্থা কয়েকদিন ধরে চলতে থাকলে থাইরয়েড পরীক্ষা করানো জরুরি। ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি ডায়েট না করেও যদি হঠাৎ ওজন কমে যায় বা বেড়ে যায়, তবে এটি অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে। শুধু থাইরয়েড নয়, ডায়াবেটিসের কারণেও এমনটা হতে পারে। তাই এই উপসর্গ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত চুল পড়া হঠাৎ করে গোছা গোছা চুল পড়া শুধু অযত্নের কারণে হয় না। চুল পড়া এবং ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া থাইরয়েডের সমস্যার অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। অনিয়মিত মাসিক (ঋতুস্রাব) মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের কারণ হতে পারে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া। ওজন বাড়া বা কমা, চুল পড়া এবং অনিয়মিত মাসিক এই লক্ষণগুলো একসঙ্গে দেখা দিলে দেরি না করে থাইরয়েডের মাত্রা পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। গলার স্বর এবং তাপমাত্রা সংবেদনশীলতা বয়ঃসন্ধিকালে গলার স্বর বদলানো স্বাভাবিক হলেও, অন্য সময় হঠাৎ গলা ভেঙে যাওয়া বা স্বরের পরিবর্তন হলে সতর্ক হতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ আবহাওয়াতেও যদি অস্বাভাবিকভাবে খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা লাগে, সেটিও স্বাভাবিক নয়। এই লক্ষণগুলোর যেকোনোটি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে থাইরয়েডের মাত্রা যাচাই করুন। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে সুস্থ থাকা সম্ভব।
ধর্মীয় গ্রंथে ইতিহাস কখনো কখনো প্রতীকী ভাষায় তুলে ধরা হয়। কিন্তু কোরআনের কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা নিখুঁতভাবে পরবর্তী সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। ফেরাউনের দেহ সংরক্ষণ কোরআনে বলা হয়েছে— “আজ আমি তোমার দেহকে সংরক্ষণ করবো, পরবর্তী যুগের জন্য নিদর্শন হিসেবে।” মিশরের ফেরাউন মুমিনাহ ছিল অজানা, কিন্তু ১৮৯৮ সালে মমি আবিষ্কার হলে— •শরীর অক্ষত •লাল সাগরে ডুবে মৃত্যুর প্রমাণ •কোরআনের বক্তব্যের যথার্থতা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি হয় রোমানদের পরাজয়–বিজয় ভবিষ্যদ্বাণী সূরা রূম–এ বলা হয়— “রোমানরা পরাজিত হলেও শীঘ্রই বিজয়ী হবে।” ইতিহাস দেখায়— •পারসিকদের কাছে রোমানরা পরাজিত হয়েছিল •ঠিক নয় বছরের মাথায় তারা আবার বিজয় অর্জন করে এ ঘটনাটি কোরআনের বর্ণনার সাথে বিস্ময়করভাবে মিলে যায়। লোহা—মহাজাগতিক উৎস থেকে আগত কোরআনে বলা হয়েছে— “লোহা নাযিল করেছি”—অর্থাৎ আনা হয়েছে। বিজ্ঞান দেখায়— • পৃথিবীর কেন্দ্রের লোহা উল্কাপিণ্ড থেকে এসেছে • সুপারনোভার বিস্ফোরণে লোহা উৎপন্ন হয় • স্পেস ডাস্ট হয়ে পৃথিবীতে পড়ে এটি সপ্তম শতকের জ্ঞানের বাইরে। ফুটনোট: ১. British Museum Egyptology Papers ২. Roman–Persian War Chronicles ৩. Journal of Astrophysics লেখক : এম. ইমরান, বিশ্লেষক ও গবেষক