বিনোদন

মিস ইন্টারন্যাশনাল

কলোম্বিয়ার কাতালিনা জিতলেন সেরার মুকুট

আক্তারুজ্জামান নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

টোকিওতে শেষ হলো বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৫। ঝলমলে সেই মঞ্চে সংস্কৃতি, সৌন্দর্য আর মানবিক বার্তার মহামিলনে শেষ পর্যন্ত মুকুট জিতেছেন কলোম্বিয়ার কাতালিনা দুক। এই প্রতিযোগিতায় আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের জেসিয়া ইসলামও, পেয়েছেন বিশেষ খেতাব। সেই সাথে নজর কেড়েছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।

 

সৌন্দর্য, আত্মবিশ্বাস আর সামাজিক পরিবর্তনের অঙ্গীকার—এই তিনের মিলনেই তৈরি হয় মিস ইন্টারন্যাশনাল-এর মঞ্চ। প্রতি বছর এটি হয়ে ওঠে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, গল্প আর সংগ্রামের মিলনস্থল। ২০২৫ সালেও এর ব্যতিক্রম ছিল না।  

 

এ বছরের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু— কলোম্বিয়ার কাতালিনা দুক। মিয়ামিতে জন্ম হলেও শিকড় তার মেদেলিনে। ছোটবেলা থেকেই সামাজিক কাজে সক্রিয় কাতালিনা মঞ্চে শুধু সৌন্দর্য নয়, উপস্থাপন করেছেন ‘community care’—শিশু স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তার দীর্ঘদিনের কাজ।

 

রানওয়েতে তার আত্মবিশ্বাস, শান্ত উপস্থিতি আর প্রশ্নোত্তর পর্বে জাপানি সংস্কৃতি ও জীবনের ছোট খুশিগুলো নিয়ে উত্তর বিচারকদের মুগ্ধ করেছে। ৮০ প্রতিযোগীর মধ্যে Catalina তাই সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করে ৬৩তম মিস ইন্টারন্যাশনাল-এর গ্র্যান্ড ফিনালে জয়ী হন।

 

টপ ফাইভে এ জায়গা করেছেন আরও চার শক্তিশালী প্রতিযোগী। জিম্বাবুয়ের Yollanda Chimbarami, বলিভিয়ার Paola Guzmán, ইন্দোনেশিয়ার Melliza Xaviera Yulian ও ফিলিপাইনের Myrna Esguerra। এ যেন গ্লোবাল ডাইভার্সিটির এক অসাধারণ প্রতিচ্ছবি। 

 

বাংলাদেশের জেসিয়া ইসলামও মঞ্চে ঝলমলে উপস্থিতি দেখিয়েছেন। তার সিগনেচার গ্রেস ও গ্ল্যামার দর্শক ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজর কাড়ে। গালা নাইটে Best in Evening Gown টাইটেল জিতে প্রমাণ করেছেন, সৌন্দর্য ও উপস্থাপনায় বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

বিনোদন

আরও দেখুন
রবার্ট প্যাটিনসন ও জেন্ডায়া। ছবি: সংগৃহীত
হলিউডের নতুন জুটি

হলিউডে নতুন রোমান্টিক জুটি হিসেবে আলোচনায় উঠেছেন জনপ্রিয় দুই তারকা জেন্ডায়া ও রবার্ট প্যাটিনসন। ‘এ২৪’ প্রযোজিত নতুন চলচ্চিত্র ‘দ্য ড্রামা’র প্রথম ঝলক উন্মোচনের পর থেকেই শুরু হয়েছে ভক্তদের উন্মাদনা। ৯ ডিসেম্বর ইনস্টাগ্রামে ছবিটির পোস্টার প্রকাশ করেন জেন্ডায়া। পোস্টারে দেখা যায়—জেন্ডায়া প্যাটিনসনের কোলে হেলে আছেন, প্যাটিনসন তাকে আলতো করে জড়িয়ে রেখেছেন। জেন্ডায়ার হাতে ঝলমলে এনগেজমেন্ট রিং। ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘দ্য ড্রামা। শিগগিরই আসছে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র।’ ক্রিস্টোফার বর্গলি পরিচালিত ও রচিত এই রোমান্টিক কমেডি চলচ্চিত্রে দেখা যাবে এক সুখী বাগদত্ত জুটিকে, যাদের বিয়ের সপ্তাহে ঘটে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা। আইএমডিবির তথ্যমতে, এক চমকপ্রদ প্রকাশ তাদের সম্পর্ককে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দেয়। এ দুই তারকা ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন আলানা হাইম, মামুদু আথি, মাইকেল অ্যাবট জুনিয়র, হেইলি গেটস ও সিডনি লেমন। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ৩ এপ্রিল। এর গল্প ও পরিচালনার দায়িত্বে আছেন ক্রিস্টোফার বর্গলি।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ত্রিধা চৌধুরী I ছবি : সংগৃহীত

পর্ন সাইটে দৃশ্য ছড়িয়ে পড়া নিয়ে অভিনেত্রীর ক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ট্রাইব্যুনাল-এ চার নায়িকা, থাকছেন কে কে?

ছবি: সংগৃহীত

কাজাখস্তান থেকে ফিরে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শোনালেন নিশো

ছবি: সংগৃহীত
আগুনে পোড়ার পর কেমন আছেন আরিফিন শুভ?

ঢাকাই চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। আগামী ১১ ডিসেম্বর ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত ‘নূর’ সিনেমাটি। এছাড়াও নতুন সিনেমার শুটিং করেছেন- এমন খবরও মেলে একটি দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরালের পর। সে সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন আরিফিন শুভ। তাই সমসাময়িক নানা কাজ ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এই নায়ক।    কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় শুভর গায়ে আগুন লাগে এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় শুভকে হাত দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। শোনা যাচ্ছিল, তিনি বেশ আহত হয়েছেন।   এবার সেই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে নিজেই মুখ খুললেন আরিফিন শুভ। বলেন, ‘হ্যাঁ, আগুনে আমার পা অনেকটাই পুড়ে গিয়েছিল। তবে এখন আগের চেয়ে ভালো আছি। হাঁটতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। হয়তো আরও কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।’   ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নেটিজেনরা ‘মালিক’ সিনেমার শুটিং বলে দাবি করলেও শুভ এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিংয়ের মুহূর্ত। এটি কোন সিনেমা বা অন্য কিছুর দৃশ্য, তা আপাতত রহস্য হিসেবেই থাকুক। তবে, কোনো শুটিংয়ের দৃশ্য এভাবে ফেসবুকে চলে আসাটা একেবারেই অনুচিত। আমি সবাইকে এসব করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’   শুভ যে সিনেমার শুটিং করছিলেন, তা নিয়ে চলছিল গোপনীয়তা। এই প্রসঙ্গে শুভ বলেন, ‘আমি তো শুধু সিনেমার শিল্পী। প্রযোজক নই। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয়টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই দেখছে। তবে যতটুকু জানি, এখনও সিনেমাটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় আসেনি। আশা করি, শিগগিরই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সব জানাবে।’

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

ভিকির বিপরীতে দীপিকা, মহাকাব্যে নতুন জুটি?

ছবি: সংগৃহীত

‘কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না’

ছবি: সংগৃহীত

হার্টে জটিল অসুখ, কেমন আছেন প্রেম চোপড়া?

ছবি: সংগৃহীত
সেলিম হায়দারের সাথে ভুল বোঝাবুঝি থেকে শুরু, পরবর্তীতে প্রেম: টুলু

স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে হাতে গোনা যে কজন বাংলা ব্যান্ড মিউজিককে শীর্ষে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের একজন আশিকুজ্জামান টুলু। তার হাত দিয়েই প্রথম অডিও ‘ব্যান্ড মিক্সড’ অ্যালবাম ধারণার সূচনা হয়েছিল। ‘চাইম’ গড়েছেন, ছেড়েছেন। পরবর্তীতে ‘আর্ক’কে শ্রোতাপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে গেছেন। সেই জনপ্রিয়তার মধু না খেয়ে চলে গেলেন 'দূর পরবাসে'। অনেক দিন ধরেই তিনি বসবাস করেন কানাডাতে।   সম্প্রতি প্রয়াত বরেণ্য গিটারিস্ট সেলিম হায়দারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন আশিকুজ্জামান টুলু। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে একটি পোস্ট দেন তিনি।   সেলিম হায়দার সম্পর্কে টুলু বলেন, সিনেমার নায়ক-নায়িকার মতো সেলিম ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্কের শুরু হয়েছিল একটা ছোট্ট ভুল বোঝাবুঝি দিয়ে। ঠিক ভুল বোঝাবুঝি বলব না, তবে 'ডিজআরগুমেন্ট' বলা যায়। পরবর্তীতে এই লোকটার সাথে এতো প্রেম হয়ে গেল, যা বলার মতো নয়। উনি আমার কথায় প্রচন্ড হাসতেন। হাসতে হাসতে বলতেন, 'ধুরো মিয়া, আর কাম পাও না!'   তিনি ফেসবুকে লেখেন, ছিয়াশি কি সাতাশি সাল হবে। এল্ভিস স্টুডিও। চার ট্র্যাকের মেশিন। একটি সিনেমার গানে বেইজ গিটার বাজাচ্ছি। মিউজিক ডিরেক্টর প্রয়াত আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। স্কিল্ড মিউজিশিয়ান ছাড়া ঐ সময়টায় সিনেমার গানে বাজানোর সুযোগ পাওয়া কঠিন ছিল, যদিও কিছু নেপোটিজম ও 'গেটিসে'র লেনদেন তখনও ছিল।   সেদিনের গানে আমার সাথে এক ভদ্রলোক লিড গিটার বাজাচ্ছেন। গানটির ট্র্যাক রেকর্ডিংয়ের সময় আমাকে এবং লিড গিটারিস্টকে সিঙ্গার বুথে বসতে দেয়া হয়। লিড গিটারিস্ট ভদ্রলোক খুব সুন্দর শার্ট-প্যান্ট পরা, সুন্দর একটা পারফিউম দিয়েছেন। অন্যান্য মিউজিশিয়ানরা হলে বসে বাজাচ্ছেন আমাদের সাথে। মাঝে মাঝে কাট হচ্ছে অর্থাৎ যেখানে ভুল হচ্ছে, সেখান থেকে টেক নেয়া হচ্ছে। আমাকে বুলবুল ভাই যে প্যাটার্নটা বাজাতে বলেছেন, আমি সেটা বাজাচ্ছি।   টুলু বলে চলেন– হঠাৎ লিড গিটারিস্ট ভদ্রলোক আমাকে বললেন, কী বাজাচ্ছো! এই গানে কি এটা যায়? এইটা তো 'বনিএম'র প্যাটার্ন হইয়া গেল। আমি ছোট্ট করে হেসে ফেললাম এবং বললাম, বুলবুল ভাই বলেছেন, এটা বাজাতে। উনি আবার বললেন, ঠিকঠাক মতো বাজাও। আমিও বুঝতে পারছিলাম যে, প্যাটার্নটা একটু পুরোনো কিন্তু মিউজিক ডিরেক্টরের নির্দেশমতো আমি বাজাচ্ছিলাম। কথা বলতে দেখে বুলবুল ভাই রেকর্ডিং বন্ধ করে জিজ্ঞাসা করলেন, কী হয়েছে? আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, প্যাটার্নটা ঠিক আছে? বুলবুল ভাই বললেন, হ্যাঁ, চলবে। তুমি বাজাও। আমি বাজাতে থাকলাম। ভদ্রলোকের দিকে আর তাকালাম না।   এই গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক আরও বলেন– একটা মৃদু ডিজআরগুমেন্ট দিয়ে পরিচয়টা শুরু হলো আমাদের। ঐ ভদ্রলোকই ছিলেন আমাদের ভীষণ প্রিয় সেলিম হায়দার ভাই। আমার প্রায় প্রতিটা রেকর্ডিংয়ে সেলিম ভাই লিড বাজাতেন। আমার ভীষণ ভালো লাগতো ওনাকে। সবসময় ফিটফাট ও প্রফেশনাল লুকে থাকতে ভালোবাসতেন। ঐ সময়কার সিনেমার মোটামুটি ৬০% থেকে ৭০% গানে তার বাজানো লিড থাকতো। অসাধারন গিটার বাজাতেন।   প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ফিডব্যাক ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বরেণ্য গিটারিস্ট সেলিম হায়দার।   অন্তর্মুখী এই শিল্পী মূলত লিড গিটারিস্ট হলেও বেজ, রিদম ও কি-বোর্ড বাজানোতেও সমান পারদর্শী ছিলেন।

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫ 0
কেয়া পায়েল I ছবি : সংগৃহীত

কবে বিয়ে করছেন কেয়া? নিজেই জানালেন

ওমর সানী ও আসিফ আকবর। ছবি : সংগৃহীত

আসিফের মন্তব্যের কড়া জবাব ওমর সানীর

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডে প্রেমের গল্প: তিন দশকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে যেসব তারকা

0 Comments