বিশ্ব

ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে ‘খুবই আশাবাদী’ হোয়াইট হাউস

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০২, ২০২৫ 0

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে হোয়াইট হাউস আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। 

সোমবার হোয়াইট হাউস বলেছে, চুক্তির ব্যাপারে তারা খুবই আশাবাদী।

খবর এএফপি’র।

এদিকে একই সময়ে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে মস্কো যাচ্ছেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশাসনকে খুব আশাবাদী বলে মনে হচ্ছে।’

তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দল এ প্রচেষ্টায় কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং তারা সত্যিই চান এই যুদ্ধের অবসান ঘটুক।

তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক গতকালই তারা ফ্লোরিডায় ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা করেছেন। আর এখন বিশেষ দূত উইটকফ রাশিয়ার পথে রয়েছেন।’

ট্রাম্পের ব্যবসায়িক বন্ধু এবং তার বিশ্বব্যাপী সমস্যা সমাধানে নিয়োজিত স্টিভ উইটকফ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ রবি ও সোমবার ইউক্রেনীয় আলোচকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ইউক্রেনীয় আলোচক রুস্তেম উমেরভ বলেন, আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। তবে কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ট্রাম্পকে বিরক্ত না করার ব্যাপারে সতর্ক চেষ্টায় থাকলেও ইউক্রেনের ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এক সপ্তাহ আগে ইউক্রেনকে না জানিয়েই জেনেভায় একটি মার্কিন পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা অনুসারে, কিয়েভকে তাদের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে সরে যেতে বলা হয়। পাশাপাশি দোনেৎস্ক, ক্রিমিয়া ও লুহানস্ক অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিবে বলেও জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এক ধরনের নিশ্চয়তা দেবে। তবে এসব পদক্ষেপ ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে না। ন্যাটো এমন একটি সামরিক জোট, যেখানে একজনের ওপর আক্রমণ মানে সবার ওপর আক্রমণ।

কিয়েভ ও ইউরোপের সমালোচনার পর ওয়াশিংটন মূল পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। তবে বর্তমান প্রস্তাবের বিষয়বস্তু এখনো পরিষ্কার নয়।

এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সোমবার জেলেনস্কির সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলেন, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় শক্তির অংশগ্রহণ ছাড়া যুদ্ধ শেষের কোনো পরিকল্পনা চূড়ান্ত হতে পারে না।

জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, রাশিয়াকে এমন কিছু দেওয়া যাবে না যা তারা এ যুদ্ধের পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।

এদিকে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ সপ্তাহে ব্রাসেলসে বার্ষিক বৈঠকে বসবেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৈঠকে যাচ্ছেন না। তার বদলে তিনি সহকারী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউকে পাঠাচ্ছেন।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সৌদিতে অভিযান। পুরোনো ছবি
এক সপ্তাহে ১১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠাল সৌদি

সৌদি আরবজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। এ অভিযানে এক সপ্তাহে ১১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রোববার (০৭ ডিসেম্বর) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযানে গত এক সপ্তাহে ১৯ হাজার ৭৯০ অবৈধ বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছে। শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত যৌথ অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ে তল্লাশি চালায়। ওকাজ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ অভিযানে ১২ হাজার ২৫২টি আবাসন আইন লঙ্ঘন, ৪ হাজার ৩৮৪টি সীমান্ত নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং ৩ হাজার ১৫৪টি শ্রম আইন লঙ্ঘনের ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২১ হাজার ৮০৫ জনকে তাদের নিজ নিজ দূতাবাসে ভ্রমণ নথি সংগ্রহের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার ৩৭০ জনকে ভ্রমণ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সহায়তা করা হয়েছে। একই সময়ে ১১ হাজার ১৪৮ জনকে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সীমান্তসংক্রান্ত অপরাধ দমনে অভিযানটি বিশেষভাবে নজর দিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৬৬১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ৪৫ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৪ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং বাকিরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক। দেশত্যাগের চেষ্টা করার সময় আরও ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ প্রবেশকারীদের পরিবহন, আশ্রয় বা কর্ম দেওয়ার অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে ৩১ হাজার ২৯২ প্রবাসী আইনগত প্রক্রিয়ার অধীনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৪১০ পুরুষ এবং এক হাজার ৮৮২ নারী রয়েছেন।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0

হংকংয়ে ভোটগ্রহণ শুরু

গ্রিস উপকূলে অভিবাসী নৌকাডুবি, নিহত ১৮

লেবাননে জাতিসংঘ টহলদলের ওপর হামলার ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার

৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আলাস্কা

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্য এবং কানাডার ইউকন অঞ্চলের সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শনিবার শক্তিশালী ৭ দশমিক ০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ খবর জানায়। গ্রিনিচ মান সময় ২০৪১টায় হওয়া ওই ভূমিকম্পের পর তিন ঘণ্টার মধ্যে ৫.১ থেকে ৩.৩ মাত্রার অন্তত ৩০টিরও বেশি আফটারশক অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল কানাডার ইউকনের রাজধানী হোয়াইটহর্স থেকে প্রায় ১৫৫ মাইল পশ্চিমে ও আলাস্কার রাজধানী জুনাউ থেকে ২৩০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে। যুক্তরাষ্ট্র সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানায়, এই ভূমিকম্প থেকে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0

ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু

মধ্যপ্রাচ্য নীতি বদলে দিলেন ট্রাম্প প্রশাসন

বিশ্বের শীর্ষ ১০ মেগা সিটির অবস্থা

চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি

শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় চ্যালেঞ্জের মুখে দেশটির পর্যটনভিত্তিক অর্থনীতি। গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া দ্বীপজুড়ে তাণ্ডব চালানোর পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এতে প্রায় ৫০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাত পর্যটন। মূলত ছোট অপারেটরদের ওপরই নির্ভরশীল, যা জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশ। ২০২২ সালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পর্যটন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়ার ব্যাপক ক্ষতি আবারও নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি দেশের ২২ মিলিয়ন মানুষের প্রায় ১০ শতাংশ-এর ওপর প্রভাব ফেলেছে, হাজারো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে, মারা গেছেন অন্তত ৪৮৬ জন, নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক, বিদ্যুৎলাইন, টেলিকম সেবা এবং কৃষি খাত। এ বছর মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটক আগমন দুই মিলিয়ন ছাড়িয়েছে, আর সরকার আশা করছে, বছর শেষে এ সংখ্যা ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন হবে, যা কোভিড-পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী

প্রতীকী ছবি

ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক, যে কৌশলে বিয়ের অনুষ্ঠান সারলেন বর-কনে

ভারতে দুই বাংলাদেশিসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন

0 Comments