সর্বশেষ

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

মোঃ ইমরান হোসেন নভেম্বর ০৯, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রাজধানীর ধানমন্ডি থানার ভোটার হতে যাচ্ছেন।

 

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিসে (গ্রিন লাইফ হাসপাতালের পাশে) উপস্থিত থাকবেন। তিনি ধানমন্ডি থানার ভোটার হবেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে এই আসনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে মনোনয়ন দিয়েছে।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কয়েকদিন আগে জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগেই উপদেষ্টার পদ তিনি থেকে পদত্যাগ করবেন। তবে, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগের পর এনসিপিতে যোগ দেবেন, এমনটি ধরে নেওয়া উচিত নয়।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে কালবেলা জানতে পেরেছে, আসিফ মাহমুদ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন। আসিফের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। এই উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৩ আসন। তবে তিনি এই আসন থেকে নির্বাচন করবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন।

আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি-কলাবাগান-নিউমার্কেট-হাজারীবাগ) আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে এনসিপির হয়ে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রেও এনসিপির সমর্থন থাকবে তার প্রতি। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ওই আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি।

কয়েকদিন আগে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘উপদেষ্টা বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন, এমন যে কারও রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করার ইচ্ছা থাকলে তাদের সবার পদত্যাগ করা উচিত। যেন কোনোভাবেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। নির্বাচনে নিরপেক্ষতার স্বার্থে এমনটি করা উচিত।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা বারবারই বলছেন যে, আমরা ইতিহাসের একটা শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে চাই, আর সেটা আমরাও চাই। যেহেতু আমরা এই সরকারের অংশ। এই ঐতিহাসিক দায় তো আমাদের ওপরে থাকবে, যদি নির্বাচনটা সুষ্ঠু না হয়।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট অন্যদেরও পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সরকারে তো আরও অনেকে আছেন, যাদের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক পরিচয় আছে। এখনো হয়তো আছে এবং সামনেও রাজনীতি করবেন কিংবা নির্বাচনও করবেন। সরকারের বিভিন্ন জায়গায় হয়তো আরও অনেকে এ রকম আছেন। আমি মনে করি যে, সবারই তপশিলের আগে পদত্যাগ করা উচিত—একটা স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু, কোনো প্রকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আয়োজনের জন্য।’

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে আমি রাজনীতিতে যুক্ত। রাজনীতিতে আছে—এমন কারও নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত নয়। তাই নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগেই সরকার থেকে সরে যাব।’

 

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সর্বশেষ

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
দেশের প্রথম নারী মহাকাশচারী হওয়ার দোরগোড়ায় সারাহ করিম

বাংলাদেশের সারাহ করিম টাইটানস স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের মহাকাশচারী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় তিনি প্রথম বাংলাদেশি এবং সম্ভাব্যভাবে দেশের প্রথম নারী মহাকাশচারী হওয়ার পথে এগোচ্ছেন।   সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অনুভূতি জানিয়ে সারাহ লিখেছেন, ২০২৬–২০৩০ সময়কালের জন্য টাইটানস স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের মহাকাশচারী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। আনুষ্ঠানিকভাবে একজন মহাকাশচারী হওয়ার যাত্রা শুরু করলাম। সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশি হিসেবে আমিই প্রথম মহাকাশে দেশের পতাকা বহন করব। নয় বছর বয়সী একটি মেয়ের স্বপ্ন যে একদিন সুনিতা উইলিয়ামসকে মহাকাশ থেকে ফিরে আসতে দেখেছিল আজ বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, আগামী বছর তিনি মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ শুরু করবেন এবং ২০২৯ বা ২০৩০ সালে পৃথিবীর ৩০০ কিলোমিটার উপরে টাইটানস জেনেসিস মহাকাশযানে একটি ঐতিহাসিক কক্ষপথ অভিযানে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেবেন। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন নাসার প্রবীণ মহাকাশচারী বিল ম্যাকআর্থার। সারাহ করিম বলেন, এই অর্জন আমার একার নয় এটি প্রতিটি বাংলাদেশি মেয়ের জন্য, যারা নীরবে বড় স্বপ্ন দেখে; প্রতিটি শিশুর জন্য, যে আকাশের দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হয়; প্রতিটি মায়ের জন্য, যিনি তার কাঁধে বহন করেন একটি পুরো মহাবিশ্ব।   কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, আমার স্বামীকে ধন্যবাদ, যিনি আমার পৃথিবীকে ধরে রেখেছেন। যারা আমাকে সমর্থন করেছেন, আপনাদের দোয়া আমাকে এই অবস্থানে এনেছে। টাইটানস স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের পুরো টিমকে ধন্যবাদ একজন স্বপ্নবাজ মেয়ের ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য। মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা বহন করার সম্মান দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। এটি শুধু শুরু।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

নখ কাটলে কি অজু ভেঙে যায়?

ছবি: সংগৃহীত

বাজার সিন্ডিকেটের দাপটে এখনো অসহায় সরকার

ছবি: সংগৃহীত

১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর চালু–সিদ্ধান্তে অটল সরকার

ছবি: সংগৃহীত
আসছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’

অগ্রহায়ণ মাস শেষ হতে আর কয়েক দিন বাকি। এরই মধ্যে দেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের দাপট স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। এমন সময় মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’ আসছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সংস্থাটির ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। বিডব্লিউওটির তথ্যমতে, শৈত্যপ্রবাহ পরশ ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে সক্রিয় থাকতে পারে। এ সময় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটিই হবে চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়—১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১১ ডিগ্রি, কুমিল্লা, বদলগাছী, গোপালগঞ্জ ও রাজারহাটে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং রাজশাহী, কুমারখালী ও ঈশ্বরদীতে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বেশিরভাগ স্থানে রাতের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে, যা আসন্ন শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা তার নিচে নামলেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। ৮–১০ ডিগ্রি হলে মৃদু, ৬–৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি, ৪–৬ ডিগ্রি হলে তীব্র এবং ৪ ডিগ্রির নিচে নামলে অতিতীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মাসে এক থেকে দুটি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে, যার মাত্রা হবে মৃদু থেকে মাঝারি। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে নেমে আসতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও তা স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। তার মতে, ১৫ ডিসেম্বরের পর শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে এবং গত বছরের তুলনায় তাপমাত্রার তারতম্য খুব বেশি হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী পাঁচ দিন আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা ও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত-দিনের তাপমাত্রায় তেমন পরিবর্তন হবে না। ভোরবেলায় দেশের কিছু এলাকায় হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া আগামী কয়েক দিনের মধ্যে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এসব অঞ্চলে শীতের প্রভাব তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

বায়ুদূষণে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি সিগারেট পাচারে ইউপি সদস্যসহ চারজন আটক

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রার পরিবর্তন নিয়ে পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়ায় মেগা অভিযানে আটক ৮৪৩, আছে বাংলাদেশিও

মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্যের সেলায়াং বারু এলাকায় বড় ধরনের অভিযানে আটক হয়েছে বাংলাদেশিসহ ৮৪৩ জন অবৈধ অভিবাসী। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টা থেকে সেলায়াং বাজার ও তানি মার্কেটে এ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।   মোট ১ হাজার ১১৬ জনের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। বৈধ নথি না থাকায় ৮৪৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তানের নাগরিকও আছেন। তবে কতজন বাংলাদেশি— তা এখনো জানায়নি কর্তৃপক্ষ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সেলানগরের মুখ্যমন্ত্রী আমিরুদিন শারি। তিনি বলেন, রাজধানীর কাছে হওয়ায় এলাকায় অনেক বিদেশি শ্রমিক অবৈধভাবে থাকছিলেন এবং অনেকে রাস্তার পাশে অনুমতি ছাড়া ব্যবসা করছিলেন। জননিরাপত্তার জন্য ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করেই অভিযান চালানো হয়েছে। আটকদের মধ্যে ৩৫ জন নারী রয়েছেন। সবার বয়স ২১ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে। তাদের বিরুদ্ধে ওভারস্টে, বৈধ পরিচয়পত্র না থাকা ও জাল কাগজ ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৩৫৮ সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত এ অভিযানে ইমিগ্রেশন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের সদস্যরা অংশ নেন। এছাড়া মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দু’জন মালয়েশীয়ও আটক হয়েছেন।   সব আটক অভিবাসীকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, অবৈধ কর্মী নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
জাতীয় চিড়িয়াখানার সিংহ ডেইজি। ছবি : সংগৃহীত

খাঁচায় ফেরানো হলো মিরপুর চিড়িয়াখানার সিংহটিকে

ছবি: সংগৃহীত

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ বিমান

ছবি: সংগৃহীত

বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ নগরীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা

0 Comments