দ্রুত ওজন কমায় হলুদ-দুধ

0
789

খবর৭১: শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে অনেক আমাদের চেষ্টার কমতি থাকে না। তবুও বেড়েই চলেছে ওজন। তাই এবার দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে খাদ্য তালিকায় প্রথমেই রাখুন হলুদ-দুধ। দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করার পদ্ধতি নতুন কিছু নয়। প্রাচীনকাল থেকেই কাশি-ঠাণ্ডায় এবং ক্ষত সাড়াতে হলুদ-দুধ ব্যবহার করা হয়। অনেক ওষুধের বিকল্প তাই হলুদকে সুপারফুডও বলা হয়। তবে হলুদ-দুধের একটি গুন হয়তো অজানা। তা হলো ওজন কমানোর গুণ। হলুদ দুধ দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে।

প্রোটিনের উৎস: ওজন কমাতে হলে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন সরবরাহ করা উচিত। দুধে প্রচুর প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম আছে। তাই ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় শরীরের মাংসপেশি এবং হাড় সুস্থ রাখার জন্য দুধ খাওয়া জরুরি।

ডায়েটারি ফাইবার: হলুদে ডায়েটারি ফাইবার আছে যা ওজন বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে। আর দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করলে হলুদের কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।

মেটাবোলিজম বাড়ায়: হলুদের থারমোজেনিক প্রোপার্টি মেটাবোলিজম বাড়াতে সহায়তা করে। আদারই কাছাকাছি জাতের এই মশলাটিতে সোগাওল এবং জিনগারোল আছে যা মেটাবোলিজম বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে।

ফ্যাট জমতে দেয় না: মানব শরীরের অ্যাডিপোজ টিস্যুর বৈশিষ্ট্য হলো ফ্যাট জমিয়ে রাখা। ফ্যাট জমিয়ে রাখার ফলেই ওজনাধিক্য দেখা দেয়। হলুদে আছে সারকিউমিন যা অ্যাডিপোজ টিস্যুকে ফ্যাট আহরণ করতে দেয় না। ফলে নিয়মিত হলুদ দুধ পান করলে শরীরে মেদ জমতে পারে না।

হজমে সহায়তা করে: ওজন কমানোর সবচাইতে বড় বাধা হলো হজম সমস্যা। স্লিম হতে গিয়ে অনেক খাবারই বাদ দেয়া হয় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। হলুদ-দুধ এই সমস্যা সমাধানে কার্যকরী। নিয়মিত হলুদ দুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় এবং হজমের সমস্যা দূর হয়।

যেভাবে পান করতে হবে: কাঁচা হলুদের কার্যকারিতা গুড়া হলুদের চাইতে বেশি। তাই হলুদ-দুধ পান করার ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন কাঁচা হলুদের রস ব্যবহার করার। মেদ কমানোর জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সঙ্গে হলুদের রস মিশিয়ে পান করুন। সেই সঙ্গে সুষম খাবার খান এবং পর্যাপ্ত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন। খুব অল্প দিনেই দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন আপনি।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here