এক সপ্তাহেও উন্নতি হয়নি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতির। ওপারে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ কিছুটা কমলেও থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও আতঙ্ক কাটেনি সীমান্ত এলাকায়।
এদিকে গতাকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও বান্দরবানের ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে কোন ধরণের অস্থিরতা না থাকলেও সন্ধ্যা ৭ টার পর টেকনাফের হোয়াইক্যং ও তুমব্রু সীমান্তে প্রায় ঘণ্টাখানেক গোলাগুলি চলে।
গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনী, কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য তুমব্রুতে রাখা ১শ’ বিজিপি সদস্যকে টেকনাফের হ্ণীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
গত শনিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এপারে চলে এসেছে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনী, কাস্টমস অফিসারসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ জন সৈনিক। এদের মধ্যে ২ শিশু ও ২ নারী রয়েছে। এদিকে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য তুমব্রুতে রাখা ১০০ জন বিজিপি সদস্যকে নিয়ে যাওয়া হয় টেকনাফের হৃীলা উচ্চবিদ্যালয়ে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে চলা সংঘর্ষে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে এখন পর্যন্ত ২ জন নিহত ও ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।