জাতীয়

টাইফয়েড টিকাদান শুরু রোববার থেকে

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ০৯, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রোববার, ১২ অক্টোবর থেকে দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনা মূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে। জন্মসনদ না থাকা শিশুরাও টিকাটি পাবেন।

 

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ বিষয়ক তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ক্যাম্পেইন চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। টিকাটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এবং গ্যাভি থেকে সরকার তা পেয়েছে।

 

সংবাদ ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, “টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত এবং নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরও আটটি দেশে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। এর বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো উদাহরণ নেই।” তিনি আরও বলেন, টাইফয়েড কমে এলে দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারও কমে আসবে।

 

তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিল, যার মধ্যে ৮ হাজার মারা গেছেন এবং নিহতের ৬৮ শতাংশ শিশু ছিল। এছাড়া, ওষুধ প্রতিরোধী টাইফয়েডের প্রকোপও দিন দিন বাড়ছে।

 

ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এছাড়া ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে, এবং শহর এলাকার পথশিশুরা টিকা পাবেন এনজিওদের মাধ্যমে।

 

সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে। জন্মসনদ না থাকা শিশুরাও নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নিয়ে নিবন্ধন করতে পারবে।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

ছবি : সংগৃহীত
খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল, বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত নেই

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, ধীরে হলেও তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। বয়স প্রায় ৮০ বছর হওয়ায় দ্রুত সেরে না ওঠা স্বাভাবিক বলে তারা মনে করছেন। দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং অতীতে যথাসময়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়টিও তার সুস্থতাকে প্রভাবিত করছে। তবে নতুন করে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি না হওয়া চিকিৎসকদের কাছে স্বস্তিকর দিক।   এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি সর্বোচ্চ চিকিৎসা পাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেই। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিদেশে গেলে অনেক পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হয়, যেখানে দেশে তিনি অত্যন্ত দ্রুত এবং উচ্চমানের চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্ত রয়েছেন দেশের শীর্ষ চিকিৎসকের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিশেষজ্ঞদের সমন্বিত একটি টিম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আগের মতোই স্থিতিশীল এবং কোনো নতুন জটিলতা দেখা দেয়নি। এটি ইতিবাচক একটি দিক। তার একান্ত সচিবও জানিয়েছেন যে তিনি নিয়মিত চিকিৎসকদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং অবস্থার অবনতি হয়নি। ২৩ নভেম্বর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও চোখের বিভিন্ন সমস্যাসহ দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। ২৭ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। প্রায় দুই ডজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড প্রতিদিন তার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।   সামগ্রিকভাবে, ধীরগতিতেই হলেও তার অবস্থার স্থিতিশীলতা চিকিৎসকদের আশাবাদী করছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ নিয়েই ঘোষণা করা হচ্ছে তফসিল

ছবি : সংগৃহীত

গৃহকর্মী নিয়োগে পরিচয় যাচাইয়ের আহ্বান, সতর্ক থাকার অনুরোধ

ছবি : সংগৃহীত

জরুরি প্রেস ব্রিফিং ডেকেছেন উপদেষ্টা আসিফ, পদত্যাগের গুঞ্জন

ছবি : সংগৃহীত
নরসিংদীতে অবৈধ দুই ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় অনুমোদনহীন দুটি ইটভাটা ভেঙে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার আকানগর গ্রামের একেএফ ব্রিকস ও চুলা গ্রামের মা ব্রিকসে এই অভিযান চালানো হয়।   জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, অভিযানে মা ব্রিকসের মালিককে দেড় লাখ টাকা এবং একেএফ ব্রিকসের মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।   পরিবেশ অধিদফতর জানায়, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও সংশ্লিষ্ট অনুমোদন ছাড়া এই দুটি ইটভাটা ইট উৎপাদন করে আসছিল। এস্কেভেটর দিয়ে ভাটাগুলোর গোল চিমনি, ইট পোড়ানোর গোল প্রাচীর এবং কাঁচা ইট ভেঙে দেয়া হয়। পাশাপাশি বৈধ অনুমোদন ব্যতীত ভাটা চালানো যাবে না এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। এ সময় মালিকরা ভবিষ্যতে ভাটা পরিচালনা না করার মুচলেকা দেন।   ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী বিচারক মো. সজিব মিয়া বলেন, মনোহরদীতে যেসব ইটভাটা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলো অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। পরিবেশরক্ষা ও আইন প্রয়োগে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।  

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0

ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প পেল ইউনেসকোর ঐতিহ্য স্বীকৃতি

ছবি: সংগৃহীত

‌শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা‌নে বর্জ্য ও পাতা পোড়া‌নো ব‌ন্ধের নি‌র্দেশ

বাজারে থাকা মোবাইল ফোন ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্তির নির্দেশ

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিটিআরসিতে মোবাইল ফোন আমদানি ও ভেন্ডর লাইসেন্স তালিকাভুক্তিকরণ সহযোগিতার বিষয়ে বিটিআরসি ও মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সভায় মোবাইল হ্যন্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রদানের বিদ্যমান প্রক্রিয়া কিভাবে সহজীকরণ করা যায় সে বিষয়ে বিশদ আলোচনার প্রেক্ষিতে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১. ন্যূনতম কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রদান এবং বিদেশ থেকে ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিশড মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধকল্পে শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর (অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর) প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি থেকে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন করা হবে। ২. একই সঙ্গে, ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিশড মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে আমদানি প্রক্রিয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে সুস্পষ্ট লিখিত প্রস্তাব দেয়ার জন্য বিটিআরসির পক্ষ হতে ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’র প্রতিনিধিদের আহ্বান জানানো হয়। ৩. ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’র চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান অবিক্রিত সকল মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশে এ সংশ্লিষ্ট তথ্য নির্ধারিত ছকে জমা দিলে বিটিআরসি হতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সর্বোপরি, ‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে মর্মে আশ্বস্ত করা হয়। মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ এবং বিটিআরসি বলছে, বর্তমানে দেশের বাজারে প্রায় ৫০ লাখ অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট রয়েছে। দেশের বাজারে অবৈধ মোবাইল ফোন ঠেকাতে বিটিআরসির পক্ষ থেকে এনইআইআর চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর বিটিআরসিতে সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হলে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বা নকল মোবাইল সেট ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে। এর ফলে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজত্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশে মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে। এনইআইআর চালুর উদ্যোগে দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছিলেন, এই ব্যবস্থা ব্যবসায়ীদের বিশাল ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে। এ নিয়ে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিটিআরসি ভবনের সামনে দিনভর অবস্থান করে রাখেন তারা। অপর দিকে, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি) সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, বর্তমানে ১৮টি কোম্পানি উৎপাদন লাইসেন্সধারী, যারা মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারে কাজ করছে।  সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এনইআইআর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এনইআইআর বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। 

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫ 0

পূর্বাঞ্চলে বাড়ছে রেলের ভাড়া, ২০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, ঘটনার বিবরণে যা লিখেছেন বাদী

বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ কাফির’ বললেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

0 Comments