বিশ্ব

মধ্যপ্রাচ্য নীতি বদলে দিলেন ট্রাম্প প্রশাসন

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাদের ২০২৫ ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি প্রকাশ করেছে। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ শিরোনামের এ নথিতে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটন আর বিদেশে সামরিক হস্তক্ষেপ বা সরকার পতনের অভিযানে জড়াবে না। বরং মধ্যপ্রাচ্যকে সংকট নয়, বিনিয়োগের নতুন অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলাই হবে মূল লক্ষ্য।

২৯ পৃষ্ঠার কৌশলগত নথি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান নিরাপত্তা অগ্রাধিকার হবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, অভিবাসন রোধ, দেশীয় শিল্পভিত্তি রক্ষা এবং প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা। এর পাশাপাশি পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন প্রভাব পুনঃস্থাপনকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

নথিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আর অতীতের মতো ‘অন্তহীন যুদ্ধ’ চালাবে না; তবে কোনো শত্রুভাবাপন্ন শক্তিকে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণের সুযোগও দেবে না। নতুন নীতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যগত গুরুত্ব—বিশেষ করে তেলের ওপর নির্ভরতা—হ্রাস পেয়েছে। এখন অঞ্চলটিকে পারমাণবিক জ্বালানি, এআই, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন বিস্তারের জায়গা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কৌশলে সিরিয়াকে ‘স্থিতিশীলতার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে শান্তির জন্য চারপক্ষীয় কাঠামো—যুক্তরাষ্ট্র, আরব মিত্র, তুরস্ক ও ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে নথিতে উল্লেখ আছে। ইসরায়েলের সিরিয়ায় হামলা স্থগিতের আহ্বান জানালেও ওয়াশিংটন দামেস্কের নতুন নেতৃত্বকে প্রশংসা করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকের অন্যতম বড় ফাইল ছিল ইরাক। কিন্তু নতুন কৌশলে দেশটিকে কার্যত অগ্রাধিকারের বাইরে রাখা হয়েছে, যা ওয়াশিংটনের নীতি পরিবর্তনের বড় ইঙ্গিত।

গালফ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। ট্রাম্প প্রশাসন প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে এই ‘চাপের কূটনীতি’ কার্যকর হয়নি। নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন অঞ্চলের নেতৃত্বকে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে যে কোনো সংস্কার চাপিয়ে না দিয়ে স্থানীয়ভাবে শুরু হলে তাতে সহযোগিতা করবে।

তথ্যসূত্র : শাফাক নিউজ

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

হংকংয়ে ভোটগ্রহণ শুরু

নতুন আইনপ্রণেতা বাছাই করতে আজ রোববার ভোটগ্রহণ শুরু করেছে হংকং। তবে, শহরটিতে সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভোটার উপস্থিতি কম। হংকং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। আজ বেলা ১২টার দিকে ভোটার উপস্থিতি ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ ছিল। আগের নির্বাচনে একই সময়ে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। হংকংয়ের নেতা জন লি জনগণকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। লি নিজের ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, আপনার ভোট সংস্কার প্রক্রিয়া সামনে এগিয়ে নেওয়ার ভোট এবং এই দুর্যোগে (ভবনে অগ্নিকাণ্ড) ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষার ভোট। হংকংয়ের উত্তরে ওয়াং ফুক কোর্টের আবাসিক ভবনে গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং কমপক্ষে ১৫৯ জনের প্রাণ ঝরে যায়, তার পরই রাজনৈতিক প্রচারণা হঠাৎ থমকে যায়। পুন নামে এক নারী বলেন, অগ্নিকাণ্ডটি সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করতে হবে এবং তিনি বিশ্বাস করেন—  সরকার দ্রুত সাড়া দিয়েছে। যে-ই দোষী হোক, তাকে দায় নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  ৫৬ বছর বয়সী শিক্ষক জ্যাকি লাম বলেন, সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত সঠিকভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।  শহরের নেতা লি আগেই ঘোষণা করেছেন, একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি ‘স্বাধীন কমিটি’ অগ্নিকাণ্ডটি তদন্ত করবে। মানুষ হত্যার অভিযোগে গত বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ বিভিন্ন নির্মাণ কোম্পানির ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0

গ্রিস উপকূলে অভিবাসী নৌকাডুবি, নিহত ১৮

লেবাননে জাতিসংঘ টহলদলের ওপর হামলার ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার

৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আলাস্কা

ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু

ভারতের গোয়ায় একটি জনপ্রিয় নাইটক্লাবে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। শনিবার রাত মধ্যরাতের দিকে উত্তর গোয়ার আরপোরা এলাকার একটি ক্লাবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।  প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) তথ্য অনুযায়ী, হতাহতদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘আজ গোয়ার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি দিন। আরপোরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, মৃতদের মধ্যে তিন জন মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ও অন্যান্যরা শ্বাসরোধে প্রাণ হারিয়েছেন।  সাওয়ান্ত সাংবাদিকদের বলেন, নিহতদের মধ্যে তিন থেকে চারজন পর্যটক ছিলেন। গোয়া সমুদ্র সৈকত, প্রাণবন্ত নাইটলাইফ ও পর্যটনের জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক পর্যটক আকর্ষণ করে।  তবে দুর্বল নির্মাণব্যবস্থা, অতিরিক্ত ভিড় ও নিরাপত্তাবিধি না মানার কারণে, ভারতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড প্রায়ই ঘটে থাকে। স্থানীয় গণমাধ্যম ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ক্লাবটিতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে, তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে। স্থানীয় বিধায়ক মাইকেল লোবো পিটিআইকে বলেন, রাতভর দমকল ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন।  অনুরূপ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে শিগগিরই অগ্নিনিরাপত্তা অডিট করা হবে বলে জানান তিনি। সম্প্রতি ভারতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো বাড়ছে। গত মে মাসে হায়দরাবাদের একটি তিনতলা ভবনে আগুন লেগে ১৭ জন প্রাণ হারান। তার আগের মাসে কলকাতার একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৫ জন মারা যান।  এছাড়াও গত বছর গুজরাটের একটি বিনোদন কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন, যেখানে অনিয়মিত নিরাপত্তাব্যবস্থা ও জরুরি বহির্গমনপথ না থাকাকে বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0

মধ্যপ্রাচ্য নীতি বদলে দিলেন ট্রাম্প প্রশাসন

বিশ্বের শীর্ষ ১০ মেগা সিটির অবস্থা

চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি

ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিল অভিযোগ করেছে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ‘প্রস্তাব ১৭০১’-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। বৃহস্পতিবার মারাউনাহ, মাজাদেল ও বারাশিত এলাকায় এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় মিশনটি। শুক্রবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এক বিবৃতিতে ইউনিফিল জানায়, এই হামলাগুলো নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ১৭০১-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে বিদ্যমান লিয়াজোঁ ও সমন্বয় ব্যবস্থাগুলো পুরোপুরি মেনে চলার আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে লেবাননের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সতর্ক করে বলা হয়— এমন কোনো উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। ২০০৬ সালে গৃহীত প্রস্তাব ১৭০১-এ হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে বৈরিতা বন্ধ, এবং ব্লু লাইন থেকে লিতানি নদী পর্যন্ত এলাকায় একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। গত বছরের অস্ত্রবিরতির শর্ত অনুযায়ী দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতেই। তবে দেশটি এখনও পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে সেনা উপস্থিতি বজায় রেখেছে। ইউনিফিল আরও জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে বিন্ত জবেইল এলাকায় টহল চলাকালে তিনটি মোটরবাইকে করে ছয় ব্যক্তি তাদের একটি গাড়ির কাছে আসে। তাদের একজন গাড়ির পেছনের দিকে তিনটি গুলি ছোড়ে। সৌভাগ্যক্রমে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। মিশনটি লেবানন কর্তৃপক্ষকে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৫ 0
প্রতীকী ছবি

ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক, যে কৌশলে বিয়ের অনুষ্ঠান সারলেন বর-কনে

ভারতে দুই বাংলাদেশিসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন

ভারতকে জ্বালানি সরবরাহ দিতে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন

0 Comments