পাগল সাজিয়ে সম্পত্তি হাতিয়ে নিলে শাস্তি: মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব অনুমোদন

0
333

খবর৭১: কাউকে মানসিক রোগী বা পাগল সাজিয়ে মিথ্যা সনদ দিলে এবং সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করলে চিকিৎসক ও অভিভাবকদের জরিমানাসহ কারাদণ্ডের বিধান রেখে প্রস্তাবিত আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদরে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সংস্কার ও সমন্বয়) সচিব টি এম এম জিয়াউল আহসান।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৮-এর খসড়ায় নতুন এ বিধান উল্লেখ করা হয়েছে।

জিয়াউল আহসান বলেন, বৈঠকে মানসিক রোগী বা পাগলদের অধিকার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অভিভাবকহীন কেউ মানসিক রোগী চিহ্নিত হলে, সরকার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। মানসিক রোগ চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত। চিকিৎসক বা কেউ যদি কাউকে মানসিক রোগী দেখিয়ে মিথ্যা সার্টিফিকেট দেয়, তাহলে তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা অথবা এক বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ ছাড়া মানসিকভাবে অসুস্থ বা পাগল সাব্যস্ত করে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে অভিভাবকদের বা ব্যবস্থাপকদের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছর কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।

সচিব আরো বলেন, সাধারণত মানসিক রোগী বা পাগল সাব্যস্ত করে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয় অনেককে। আবার অনেককে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে। এটা রোধ করতেই এই আইন করা হয়েছে। তিনি জানান, ১৯১২ সালের একটি আইন দ্বারা মানসিক রোগ নির্ণয় চিকিৎসা সেবা চলে আসছে। আইনটিকে হালনাগাদ করা হয়েছে এবং ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে। আইনটিকে বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা, ২০১৮-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে-বিদেশে ই-কমার্স ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এ ব্যবসাকে আরো সুচারুরূপে পরিচালনা করতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ নীতিমালা করা হয়েছে বলেও জানান সচিব জিয়াউল আহসান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here