খবর৭১: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মো. তারেক রহমানকে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের দাবি, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত থাকার জন্যই তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
তারেকের পরিবারের সদস্যরা জানান, তারেকের বন্ধুরা জানিয়েছেন, গত শনিবার রাত আটটার দিকে তারেক ফকিরাপুলের একটি দোকানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ব্যানার ও কিছু কাগজ প্রিন্ট করতে গিয়েছিলেন। তিনি যে দোকানে গিয়েছিলেন, তারা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর থেকে তারেককে পাওয়া যাচ্ছে না, তাঁর মুঠোফোন বন্ধ।
তারেক রহমান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে ঢাকায় বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন। কোটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একজন যুগ্ম আহ্বায়ক তিনি।
ছেলের খোঁজ না পেয়ে গতকাল রোববার রাতে তারেকের মা মোছাম্মৎ শাহানা বেগম মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান। কিন্তু তারেকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাস্থল ওই থানাধীন না হওয়ায় পরে তাঁরা রাত সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থানায় যান। থানা থেকে তাঁদের এক দিন অপেক্ষা করতে বলে তারিকের নাম–ঠিকানা লিখে রাখা হয়।
এ প্রসঙ্গে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, এ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তবে তাঁদের থানায় জিডি বা মামলা করা হলে তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করবেন।
তারেকের বোন তানজিলা ইয়াসমিন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই তারেককে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। শনিবার বেলা তিনটার দিকে তাঁর সঙ্গে তারেকের সর্বশেষ কথা হয়। সন্ধ্যার পর বন্ধুদের মারফত তিনি জানতে পারেন, তারেক নিখোঁজ। তারেকের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ছেলেকে ফিরে পেতে আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারেকের বাবা ও মা।