খবর৭১ঃ টানটান উত্তেজনার ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের গোলে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া। আগামী ১৫ জুলাই মস্কোর লুঝনকি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে মড্রিচরা। এর আগে ১৪ জুলাই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৫ মিনিটেই কিরান ট্রিপিয়ারের দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এতে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম গোলের দেখা পান এই রক্ষণভাগের খেলোয়াড়।
১৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারত ইংল্যান্ড। কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বল হেড করেছিলেন মাগুইরি। কিন্তু বল চলে যায় সাইডবারের সামান্য পাশ দিয়ে। ২৯তম মিনিটে একেবারে সহজ সুযোগ মিস করেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। ৩১তম মিনিটে গোল পেতে পারতো ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু রেবিচের জোরালো শট দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে ম্যাচে ফেরালেন ইভান পেরিসিচ। সিমে ভারসালজিকোর ক্রস থেকে ডি বক্সের ভেতরে পা লাগিয়ে ইংল্যান্ডের রক্ষণদূর্গ ভাঙেন পেরিসিচ। জাতীয় দলের হয়ে এটি তার ২৮তম এবং চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় গোল।
পরের মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ভাগ্যদেবতা এবার মুখ তুলে তাকাননি, স্কোরশিটে নাম তোলা পেরিশিচের এবারের শট আঘাত করে পোস্টে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে কোনও দলই আর গোল করতে না পারায় মস্কোর সেমিফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের ১০৯ মিনিটে ইভান পেরিসিচের হেড থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পান মারিও মানজুকিচ। বাম পায়ের শট নিয়ে ইংল্যান্ডের গোলরক্ষককে বোকা বানান মানজুকিচ। তার গোলেই বেঁচে থাকে ক্রোয়েশিয়ার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার স্বপ্ন।