চীনা ‘টু সু ছু পা’ থেকে আধুনিক ফুটবল!

0
334

খবর ৭১ঃ ২২ জন একটি ছোট্ট গোলক নিয়ে কাড়াকাড়ি। এমন খেলাটি বিশ্বে তার আধিপত্য বিস্তার করছে। এ খেলাটির জনক ইংল্যান্ড। জি, খেলাটির নাম ফুটবল, যা এখন রাশিয়া থেকে পুরো বিশ্ব মাতাচ্ছে।
ফুটবলের নিয়মকানুন কবে তৈরি হয়েছে, তা জানতে পাড়ি দিতে হবে ইংল্যান্ডে। প্রাচীন চীন ও গ্রিসে বল নিয়ে খেলা হতো। এ রকম নানা উদাহরণ মিললেও আধুনিক ফুটবল খেলা শুরু করেন ব্রিটিশরা।
আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগের কথা। ঐতিহাসিক চীনসভ্যতার যুগে পুরনো সামরিক নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, চীনে আড়ম্বরপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উৎসবের আয়োজন করা হতো। সেখানে খেলা হতো আজকের ফুটবলসদৃশ একটি খেলা। চীনা ভাষায়, এ খেলার নাম- টু সু ছু পা। ওই ভাষায় ‘টু সু’ কথার অর্থ-পা দিয়ে লাথি মারা। ‘ছু’ অর্থ- চামড়া তৈরি বল। পুরো অর্থ বোঝায়- ‘চামড়ায় তৈরি বলকে পা দিয়ে লাথি মারো’।

চীনা সংস্কৃতির আদলে জাপানেও রয়েছে এমন একটি খেলা, নাম- কিমারী। প্রায় ১৪ স্কয়ার মিটার পরিমাণমতো মাঠের নানা কোণে ভিন্ন ভিন্ন গাছ লাগানো থাকত। খেলোয়াড় সংখ্যা ৮ জন। এই বলটি নিয়ে ৮ জন কিক করে। একে অন্যকে বলে পাস দেয়। এটিই কিমারী খেলা।

ইতিহাস বলে, প্রাচীন রোমান যোদ্ধারাও নিজেদের মধ্যে ফুটবলের মতো একটা খেলাকে বেশ জনপ্রিয় করে তোলেন। তারা এই খেলার নাম দেয় ‘হারপাস্টাম’। রোমানরা এই ‘হারপাস্টাম’ ইউরোপে নিয়ে আসেন। একসময় তা ফুটবলে পরিণত হয়ে ব্রিটিশদের রক্তে মিশে যায়।

তবে আধুনিক ফুটবলের নিয়মকানুন প্রথম তৈরি হয় ১৮৬৩ সালে, ক্যামব্রিজে। ফুটবলের ইতিহাসে যা বিখ্যাত ক্যামব্রিজ রুলস নামে।

যদিও তাতে কতক্ষণ খেলা হবে, এ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিতে পাওয়া যায় ফুটবল খেলার জন্য নির্ধারিত সময়ের কিছু তথ্য। সেখানে এক ঘণ্টা করে দুই অর্ধে দুই ঘণ্টার ফুটবল খেলার কথা বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে বলা হয় প্রতিটি দলের সদস্য সংখ্যা হবে ২০ জন করে। অর্থাৎ খেলার সময় মাঠে থাকবেন ৪০ ফুটবলার।
১৮৬৬ সালে প্রথম ৯০ মিনিটের ফুটবল খেলার প্রামাণ্য নথি পাওয়া যায়। মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ডেরই দুটি দল লন্ডন ও শেফিল্ড।
এটিই প্রথম ৯০ মিনিটের ফুটবল ম্যাচ। এর পর থেকেই চলে আসছে এই ট্রাডিশন। সঙ্গে বিরতি ১৫ মিনিটের।
এ ছাড়া ৯০ মিনিটের বেশি ফুটবল খেলা হয় কোনো টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে। নির্ধারিত সময়ে ফল না হলে দুই অর্ধে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট করে ৩০ মিনিট খেলা হয়।
এ ছাড়া চোট, আঘাত, খেলোয়াড় বদলে যে সময় নষ্ট হয়, তার জন্যও কিছু সময় ‘ইনজুরি টাইম’ হিসেবে যোগ করেন রেফারি। ওয়েবসাইট।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here