খবর ৭১: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোটা সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে সচিবদের সমন্বয়ে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কোটার বিষয়ে আবারও বৈঠকে বসবে এই কমিটি।
রোববার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে কোটা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির কর্মকৌশল নির্ধারণে প্রথম বৈঠক শেষে এ কথা জানান কমিটির মুখপাত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।
তিনি জানান, কোটা ইস্যুতে গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক আজ (রোববার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোটা সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি তথ্য, পত্রিকার প্রতিবেদন, পিএসসির প্রতিবেদনসহ যাবতীয় প্রতিবেদন সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। এগুলো হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু করব।
বেধে দেয়া ১৫ দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
কোটা ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের বিষয়ে মো. মহিউদ্দিন বলেন, অনেকেই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন। আবার অনেকেই প্রকৃত বিষয় না জেনে আন্দোলন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইছেন শৃঙ্খলা আনতে। তাই বাস্তবধর্মী ও সার্বিক তথ্যগত দিক বিবেচনায় এনেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা/বাতিল অথবা সংস্কারের লক্ষ্যে সাত সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে সরকার। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেবে এ কমিটি।
রোববার (২ জুলাই) রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নির্দেশক্রমে জনপ্রশাসন বিভাগের সচিব ফয়েজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ কমিটি গঠন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে কমিটির প্রধান করা হয়। এছাড়া জনপ্রশাসন বিভাগের সচিব ফয়েজ আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব মনজুরুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের সচিব আক্তারি জাহান, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে নিয়ে এ কমিটি গঠন হয়।