খবর ৭১ঃ ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটলো ইংল্যান্ডের। সুইডিশদের ২-০ গোলে হারিয়ে ১৯৯০ সালের পর সেমিফাইনালের স্বাদ পেয়েছে ইংলিশরা। সামারা অ্যারেনায় শেষ আটের লড়াইয়ে নেমে ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইরে ও মিডফিল্ডার ডেলে আলির গোলে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে ছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। অবশেষে গোল আসে সেট পিস থেকে। আধঘণ্টার মাথায় অ্যাশলি ইয়াংয়ের কর্নারে লাফিয়ে উঠে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার। জাতীয় দলের হয়ে লেস্টার সিটির ডিফেন্ডারের এটাই তার প্রথম গোল।
বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটা সুযোগ পেয়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে পেছন থেকে উড়ে আসা বল নামিয়ে গোলরক্ষককে কাটাতে চেয়েছিলেন। কোনোমতে হাত লাগিয়ে বল পার হতে দেননি রবিন ওলসেন। আবার বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট মেরেছিলেন স্টার্লিং কিন্তু সামনে শরীরটা নিয়ে ঠেকালেন আন্দ্রিয়াস গ্রাংকভিস্ত।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ম্যাচে ফিরতে লড়াই চালায় সুইডেন। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডি-বক্সে গোলের সুযোগও পেয়ে যান সুইডিশ স্ট্রাইকার মার্কাস বার্গ। তবে উড়ে আসা বল থেকে তার নেয়া হেড রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেলে আলি। ডি-বক্সে সতীর্থের বাড়ানো বল থেকে হেডে গোল করেন তিনি।
অপরপ্রান্তে ভিক্তর ক্লসনের শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে সুইডেনকে আবার হতাশ করেন পিকফোর্ড। হতাশ করেন ৭১তম মিনিটেও কাছ থেকে বার্গের শটে বলে আঙুলের ডগা ছুঁইয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন এই ম্যাচে গোল করা হ্যারি ম্যাগুইরে। এক মিনিট বাদে সুইডিশ দলের বদলি হিসেবে মাঠে নামা জন গুইদেত্তিও হলুদ কার্ড দেখেন।
শেষদিকে আর গোল না হওয়ায় ২-০ ব্যবধানে জয় তুলে শেষ চারে জায়গা করে নেন হ্যারি কেইনরা।