আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি পুকুর থেকে ১৫০ মন মাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। চুরিকৃত মাছ পিকআপ ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় পিকআপ ভ্যানের চালক মোর্শেদ আলম (২৮) সহ প্রায় সাড়ে ৬মন মাছ উদ্ধার করেন প্রজেক্টের মালিক আলহাজ্ব শাহ আলম। এ ব্যাপরে প্রজেক্ট মালিক আলহাজ্ব শাহ আলম ১৫জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার (৬ জুলাই) বিকেলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাপারহাট বত্রিশহাজারী এলাকায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। শনিবার (৭জুলাই) দুপুরে আটককৃত পিকআপ চালক মোর্শেদ আলমকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
মামলার বিবরনে জানা যায়, মাছের প্রজেক্ট মালিক আলহাজ্ব শাহ আলমের সাথে তার বিমাতা ভাই আফাজ উদ্দিন, মাহা আলম ও রুবেল মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক ও জমিজমার বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে আলহাজ্ব শাহ আলম তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নীলফামারীর ডিমলায় থাকার সুযোগে শনিবার বিকেলে তার বিমাতা ভাই আফাজ উদ্দিন, মাহা আলম ও রুবেল মিয়া ৪০/৫০ জন ভাড়া করে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জে সজ্জিত হয়ে তার মাছের প্রজেক্ট থেকে খেতা জাল দিয়ে ১৫০ মন মাছ তোলে। যার আনুমানিক মুল্য ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। পরে চুরিকৃত মাছ কয়েকটি পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে প্রজেক্ট মালিক আলহাজ্ব শাহ আলম ঘটনাস্থলে পৌছার পথিমধ্যে উপজেলার বুকশুলা ব্রীজ এলাকা হইতে মাছসহ একটি পিকআপ আটক করে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগীতায় পিকআপ ভ্যানের চালক মোর্শেদ আলমকে আটক করে। পরে কালীগঞ্জ থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ এসে পিকআপ ভ্যানসহ চালককে থানায় নিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত মাছ গুলো পচনশীল হওয়ায় তাৎক্ষনিক পুলিশ সেগুলো ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে বিক্রিকৃত টাকা থানায় জমা দেন।
ওইদিন রাত সাড়ে ১১টায় মাছের প্রজেক্ট মালিক আলহাজ্ব শাহ আলম তার বিমাতা ভাই আফাজ উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রজেক্ট মালিক আলহাজ্ব শাহ আলম বলেন, হিংসা ও জমিজমার বিরোধের জেরে এর আগেও একবার তারা তার বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেছিল। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছিল। বর্তমানে সেই মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। শনিবার আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নীলফামারী জেলার ডোমারে থাকার সুযোগে তারা আমার ৯ একর জমির মাছের প্রজেক্ট থেকে ১৫০ মন মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় একটি পিকআপ ভ্যান থেকে মাত্র সাড়ে ৬ মন মাছ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মকবুল হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে। আটককৃত পিকআপ ভ্যানের চালককে আজ শনিবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।