খবর ৭১: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নিজ এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার গণভবনে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের ২য় দফার বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, যেসব নেতা দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে এলাকায় কাজ করেছেন, সরকারের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন, তারাই মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন।
তিনি আরো জানান, তৃণমূল থেকে জরিপের রিপোর্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হাতে এসে পৌঁছেছে। যারা বড় নেতা হয়েও নিজ এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে, যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসিয়েছে তাদের সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নেই।
২০১৩ সালে সংলাপের জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন এবং বিএনপি নেত্রীর দুর্ব্যবহারের কথাও তুলে ধরেন সেতুমন্ত্রী।
বলেন, মনে আছে টেলিফোনের সেই সংলাপ কী নির্মমভাবে, নির্দয়ভাবে শেখ হাসিনাকে অপমান করে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন খালেদা জিয়া।
২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর বিএনপি নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে গেলে গুলশান কার্যালয়ে তাকে ঢুকতে না দেয়ার কথাও তুলে ধরেন কাদের। তিনি বলেন, এই নিষ্ঠুরতা যারা করে তাদের সঙ্গে কি সংলাপ হয়? সেদিন দরজা বন্ধ করে বাংলাদেশে সংলাপের দরজাই তারা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, রংপুর, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধীন প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দলীয় চেয়ারম্যান এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দলীয় নির্বাচিত কাউন্সিলাররা।