উজ্জ্বল রায় ,নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের পুলিশের নিয়মিত অভিযানে জেলা প্রায় মাদকশূন্য। মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা পালিয়েছে নড়াইল ছেড়ে। আর অধিকাংশই রয়েছে জেলখানার ভেতরে। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনের অব্যাহত অভিযানে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় রিপোটে জানা যায়, পুলিশের অব্যাহত মাদক বিরোধী অভিযানে সফলতার আলো দেখছে সচেতন মহল। গত কয়েকদিন যাবৎ নড়াইলের-৪টি থানার পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশের এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে নড়াইলের সুশীল সমাজ। এই অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছে নড়াইলের সচেতন মহল। একই সাথে থানা পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক তালিকায় জেলা সদরসহ বেশ কয়েকজন মাদক বিক্রেতার নাম উঠে এসেছে। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে এবং জেল হাজত থেকে আইনের দুর্বলতার কারনে ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবার ও চালিয়ে যায় মাদকের এই রমরমা ব্যবসা এবং কয়েকটি মাদক পরিবারের নাম উঠে এসেছে। আগামী প্রজন্মের নিরাপত্তার কথা ভেবে মাদকের সাথে কোন আপস নয় বরং প্রকৃত অপরাধীরা যেনো কোনক্রমেই ছাড় না পায়, তেমনি করে যেন কোন নিরপরাধ ব্যক্তি অভিযানে হয়রানীর শিকার না হয়। তার জন্য প্রশাসন সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করলে এই অভিযানে আরো সফলতা আসবে। ইতিমধ্যে পুলিশ মাদক নির্মুল অভিযানে প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নির্মুল না হওয়া পযন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে পুলিশ বেশকিছু মাদক সেবী ও মাদক বিক্রেতাদের ধরেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা বা সেবীদের কোন রকম ছাড় দেওয়া হবেনা বলে অভিপ্রায় ব্যাক্ত করে নড়াইলের পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের ধরিয়ে দেওয়া বা মাদকমুক্ত গড়ে তুলতে হলে সকল সচেতন মহলকে সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে। মাদকমুক্ত গড়তে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, মাদক নির্মূলে আমাদের ফর্মুলা আছে। সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ নয়, নির্মূলে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। সরকারের সদিচ্ছা আছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে নৈতিকতার পাঠ-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। মাদককে না বলার পাঠ থাকছে। আর মাদক নির্মূলে প্রয়োজন ‘শুট অন সাইট’ (দেখামাত্র গুলি করা)। তিনি বলেন, কে আ’লীগ, কে এমপি’র ছেলে, জজ না ব্যারিস্টারের ছেলে-এসব দেখার সুযোগ নেই। এক কথায়, মাদক নির্মূলে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করা। এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে কোনো দিনও মাদক নির্মূল সম্ভব হবে না। মাদক বিরোধী অভিযানে প্রশাসনকে আরো গতিশীল করে তুলবে, এই প্রত্যাশা নড়াইলের সর্বস্তরের সাধরন মানুষের। পুলিশ মাদক নির্মুল অভিযানে আরো সফলতার দ্বারে পৌঁছে যাক এবং সমাজ থেকে মাদক নির্মুল হোক এটাই কাম্য। সাথে থানা পুলিশ কে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল। অফিসার ইনচার্জ ও থানা সুত্রে জানা যায়, মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে নড়াইল জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে আটক করে মামলা করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা ও গাঁজা। যারা পলাতক রয়েছে তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে ।
খবর ৭১/ইঃ