খবর ৭১: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারের পর ৩রা জুলাই সারারাত আটক ছিলেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তাকে ৪ঠা জুলাই আদালতে হাজির করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করার পর তাকে মালয়েশিয়া এন্টি করাপশন কমিশনের (এমএসিসি) কমলা রঙের টি-শার্ট পরানো হয়। কিন্তু নাজিব রাজাককে সেই পোশাকে আদালতে উপস্থিত করা হয় নি। বরং তাকে আদালতে তোলা হয়, গাঢ় নীল রঙের স্যুট ও সাদা শার্ট পরা অবস্থায়। কেন এমন ব্যত্যয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অনলাইন দ্য স্টার এ নিয়ে লিখেছে, কমলা রঙের ওই পোশাক ওইসব ব্যক্তিকে পরানো হয় যাদেরকে তদন্তের জন্য রিমান্ডে রাখা হয়, এমন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে। এর আগে আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য উপস্থিত করা হয়েছিল সাবেক ফেলদা চেয়ারম্যান ইসা সামাদ ও পার্টি ওয়ারিশান সাবাহ’র প্রধান শাফি আপদালকে। তখন তাদেরকে এই নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরানো হয়েছিল। রিমান্ড প্রক্রিয়ায় একজন সন্দেহজনককে উপস্থাপন করা হয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। ওই ম্যাজিস্ট্রেটই সিদ্ধান্ত দেন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সন্দেহজনকভাবে আটক রাখতে পারবে কিনা। সাধারণত তথ্য বের করতে এবং সম্ভাব্য বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করতে একজন ব্যক্তিকে লম্বা সমং রিমান্ড দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু নাজিব রাজাকের ক্ষেত্র ভিন্ন। তাকে রিমান্ড দেয়া হয় নি। উল্টো তাকে মঙ্গলবার পুরো রাত আটক করে রাখা হয়। বুধবার তার বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জ গঠন করা হয়। একইভাবে লিম গুয়ান ইঞ্জ’কে কখনো কমলা রঙের ওই টি-শার্ট পরতে বরা হয় নি, যখন তাকে দুর্নীতির বিচার করতে চার্জ গঠনের জন্য আদালতে তোলা হয়েছিল। আইনজীবী এন সুরেন্দ্রন বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি অপরাধে অভিযুক্ত না হবেন ততক্ষণ তাকে কোনো রঙিন পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না।
খবর ৭১/ই: