বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
উপকূলীয় লবনাক্ত এলাকায় স্থানীয় জাতের (লাল মোটা ও সাদা মোটা) ধানের পরিবর্তে উফশী জাতের ব্রি-৭৬ ও ব্রি-৭৭ ধানের জাত সম্প্রসানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, উফশী জাতের এই ধানের ফলন হেক্টর প্রতি সাড়ে চার থেকে ৫ টন। যা স্থানীয় জাতগুলোর তুলনায় দ্বিগুন। তাই চাষীরা এই ধানের আবাদ করলে বেশি লাভবান হবে।বাগেরহাটের উপকূলীয় রামপাল উপজেলায় এই ব্রি ৭৬ ও ব্রি ৭৭ ধানের জাত সম্প্রসানের লক্ষ্যে বিনামূল্যে চাষীদের মাঝে এই জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে রামপাল উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষে ৮০ জন কৃষকের মাঝে ৪০০ কেজি বীজ বিতরণ করা হয়।বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আফতাব উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বীজ বিতরণ করেন। একই পরিবেশে বেশি ফলনশীল, রোগবালাই ও লবণ সহিষ্ণু এই জাতের আবাদ সঠিক ভাবে করতে পারলে আগামী বছর এই ধান উপজেলার সকল চাষীদের হাতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে স্থানীয় জাতের বিলুপ্তি ঘটবে এমন ধারনা করছেন সংশিষ্টরা।
রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবু সাঈদের সভাপতিত্বে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায়, রামপাল উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাছরুল মিল্লাত প্রমুখ।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশনায় জাত সম্প্রসারনের লক্ষ্যে রামপাল উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এই বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। উপকূলীয় উপজেলা রামপালের যে জমিতে স্থানীয় জাতের (লাল মোটা ও সাদা মোটা) ধানের আবাদ করা হতো সেখানে উফশী জাতের (ব্রি ধান ৭৬ ও ব্রি ধান ৭৭) আবাদ করলে ধানের উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পবে। এবছর পরিক্ষামূলকভাবে কিছু জমিতে এই দুটি ধানের আবাদ করা হয়েছিল। ওইসব জমিতে ধান দুটির বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষীদের দেয়া তথ্যমতে, সে ফলন স্থানীয় জাতের থেকে দেড় থেকে দুইগুন। তাছাড়া এই জাতের ধান স্থানীয় জাতের ধানের থেকে চিকুন হওয়ায় এর বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামী আমন মৌসুমে বিনামূল্যে বীজ পাওয়া এই ৮০ জন কৃষকের মাধ্যমে গোটা রামপালের সকল কৃষকের মাঝে এই জাতের ধান ছড়িয়ে পড়বে এমনটাই প্রত্যাসা কৃষি কর্মকর্তাদের।
খবর ৭১/ইঃ