খবর ৭১: মেয়েটির বয়স মাত্র ৮ বছর। তার নাম মায়া মেহরি। ছোট্ট এই শিশুটির দু’পায়ের বদলে রয়েছে টিনের কৌটা। দেখে মনে হয়, যুদ্ধের কারণেই পা দুটি হারিয়েছে সে। খবর এবেলার।
কিন্তু তা নয়, শিশুটি জন্ম থেকেই দুই পা নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয়, ‘কনজেনিটাল অ্যাম্পিউটেশন’।
সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে গৃহহারা মানুষকে সরকারের তরফ থেকে রাজধানী শহরের নানা রিফিউজি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। আলেপ্পো শহরের বাসিন্দা মায়া মেহরিকেও একদিন তার পরিবারের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় ইস্তানবুলে।
অপরদিকে মায়ার বাবাও একই শারীরিক অক্ষমতার শিকার। তিনিই এত দিন মায়ার জন্য তৈরি করে দিতেন ‘প্রসথেটিক’ পা। টিনের সঙ্গে দু’পায়ে স্পঞ্জের মতো নরম বস্তু জড়িয়ে। তার নিচে তিনি বসিয়ে দিতেন টিনের কৌটা। ফলে পায়ের সঙ্গে মাটির ঘর্ষণ হতো না। মায়াও নিজের মতো ঘুরে বেড়াতে পারত।
তুরস্কের এক চিকিৎসক কালকু সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, মায়ার ছবি দেখে তিনি ঠিক করে নিয়েছেন মেয়েটির চিকিৎসার সব ভার তিনিই নেবেন এবং টিনের কৌটা নয়, মায়ার জন্য আসল ‘প্রসথেটিক’ পায়ের ব্যবস্থা করবেন।
খবর ৭১/ই: