খবর ৭১: আসামে আতঙ্কে কয়েক লাখ বাংলাভাষী। রাজ্যটি থেকে অবৈধ নাগরিকদের বিতাড়নের জন্য যে নীতি গ্রহণ করেছে সরকার তার কারণে এই আতঙ্ক। এই নীতির অধীনে প্রণয়ন করা হয়েছে ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি সিটিজেনস (এনআরসি)। আজ শনিবার ওই তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে। বিশেষ করে আসামে বসবাসকারী বাংলাদেশী মুসলিমদের লক্ষ্য করে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের ৬টি জেলের ভিতরেই বানানো হয়েছে বন্দিশিবির।
তাতে আটক রয়েছেন ৮৯৯ জন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও নিক্কি এশিয়ান রিভিউ। এ তালিকা প্রকাশের পর যারা এনআরসিতে থাকবেন না তাদেরকে আসাম থেকে বের করে দেয়ার কথা। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় যারা এনআরসিতে ঠাঁই পাবেন না সেইসব মানুষকে নিয়ে সরকার কি করবে? তাদেরকে কি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে? এমনিতেই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। নিক্কি এশিয়ান রিভিউ লিখেছে, এনআরসি সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে আসামের ৩ কোটি ২০ লাখ অধিবাসীর নাগরিকত্ব যাচাই করা হবে। এ রাজ্যটি তেল, চা ও ধান উৎপাদনের জন্য পরিচিত। ১৯৫১ সাল থেকে প্রতি ১০ বছর পর পর এখানে আদম শুমারি হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালে অভিবাসন বিরোধী সহিংস প্রচারণার পর অবৈধদের বিষয়ে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে। তার ভিত্তিতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হয়। ২০১৭ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর এনআরসিয়ের আওতায় এক কোটি ৯০ লাখ নাগরিকের প্রথম তালিকা প্রকাশ করেন রাজ্য সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলা। ২০১১ সালে আদমশুমারিতে সেখানে ঠিক এই সংখ্যক হিন্দু বসবাস করতেন। এর ফলে ওই রাজ্যে বাকি এক কোটি ৩৯ লাখ মানুষের নাগরিকত্বের তালিকা প্রকাশ করার কথা শনিবার। হাজেলা বলেন, এসব আবেদনকারীর বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে চূড়ান্ত তালিকায় কিছু নাম যুক্ত হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী’ মুক্ত করার প্রচারণা শুরু করেন। তার ভারতীয় জনতা পার্টি এই প্রচারণার ওপর ভিত্তি করে আসামে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়।
খবর ৭১/ই: