গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল

0
374

খবর৭১:  পাওলিনহো ও থিয়াগো সিলভার গোলে সার্বিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ ষোলোয় পা রাখলো ব্রাজিল। ম্যাচের ১০ মিনিট পার হতেই ইনজুরি আক্রান্ত মার্সেলোকে তুলে নেন ব্রাজিল কোচ তিতে। বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন ফিলিপে লুইস। এর খানিক পরেই লিড পায় ব্রাজিল।

২৫ মিনিটে দারুণ একে সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। বক্সের মধ্যে বল নিয়ে প্রবেশ করেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তিনি বল দেন নেইমারকে। দারুণ এক শট নিয়েছিলেন পিএসজি তারকা। কিন্তু সার্বিয়া গোলরক্ষক স্টোজকোভিক ঝাঁপিয়ে পড়ে এই যাত্রায় দলকে রক্ষা করেন।

২৯ মিনিটে গ্যব্রিয়েল হেসুসের দারুণ একটি চেষ্টা ব্লক করে দেয় সার্বিয়া। ৩৪ মিনিটে আক্রমণ করে সার্বিয়া। দুজান তাদিকের কাছ থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের শট নেন আলেকজান্ডার মিতরোভিক। কিন্তু সেটা পোস্টের অনেক ওপর দিয়ে চলে যায়। এরপর দুই মিনিট পরই গোল। পওলিনহোর পা থেকে।

৪০ মিনিটে গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল সার্বিয়া। কিন্তু দুজান তাদিকের শট ডান কর্নারের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে নেইমার একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। ফিলিপ লুইজের কাছ থেকে বল পেয়ে অনেক দুর থেকে শট নেন তিনি। কিন্তু সেটা মিস হলো।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সার্বিয়ানরা। একর পর এক আক্রমণে ব্যস্ত করে তোলে তারা। এ সময় বেশ কিছু গোলের সৃষ্টি করে সার্বিয়ানরা। তবে তাদের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন। চারটি নিশ্চিত গোল থেকে ব্রাজিলকে বাঁচিয়ে দেন তিনি।

৬১ মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে সার্বিয়া। এলজাজিক বিপজ্জনক একটি ক্রস করেন ব্রাজিল গোল লক্ষ্যে। অ্যালিসন পাঞ্চ করে দলকে রক্ষা করেন। মিত্রোভিক ছিলেন শুধু বক্সে। তিনি হেড করার চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন। দারুণ সুযোগটা মিস হয় সার্বিয়ার।

এক মিনিট পরই আবারও গোলের দারুণ সুযোগ তাদিক বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান। চিপ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্ত বল চলে যায় বাইরে। পরের মিনিটেই মিলিনকোভিক-সাবিক নিজের ভাগ্যটার পরিবর্তনের একটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পোস্টের সামনে থেকে শট নিয়ে বলটি বারিয়ে পাঠিয়ে দেন তিনি। এ সময়ই পওলিনহোকে তুলে ফার্নান্দিনহোকে মাঠে নামায় ব্রাজিল। শক্তি বাড়ায় ডিফেন্সে।

৬৫ মিনিটে আরও একটি দারুণ সুযোগ পায় সার্বিয়া। এলজাজিক দারুণ এক ক্রস দেন মিত্রোভিককে। ফ্যাগনারকে পাশ কাটিয়ে দারুণ এক হেড নেন তিনি। কিন্তু অ্যালিসন ছিলেন একেবারে সামনে। বলটি থামিয়ে তিনি ধরে ফেলেন। বেঁছে যায় ব্রাজিল।

৬৭ মিনিটে অনেকদুর থেকে বল নিয়ে ছুটে আসেন নেইমার। সার্বিয়া ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে মাটি কামড়ানো শট নেন তিনি। কিন্তু বক্সের সামনে সেটিকে কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করে দেন মিলেনকোভিক। কর্নার কিক নেন নেইমার নিজে। কিকটা ছিল অসাধারণ। বল ফেলেন একেবারে পোস্টের মাঝে। লাফিয়ে উঠে সেটিতে মাথার সংযোগ ঘটান থিয়াগো সিলভা। গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।

কোচ তিতের অধীনে মাত্র ১ ম্যাচ হারার রেকর্ড অটুট রেখেছে ব্রাজিল। চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত তিতের শিষ্যরা। ব্রাজিল হয়তো তাদের সেরাটা দেখাতে পারেনি, কিন্তু সেরা ফর্মের খুব কাছেই আছেন তা অন্তত বুঝিয়ে দিয়েছেন নেইমাররা।

সার্বিয়ার বিপক্ষে জিতে গ্রুপ সেরা হওয়ায় ২ জুলাই শেষ ষোল’র ম্যাচে মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। আর গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় ঘটল সার্বিয়ার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here