উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, এ ঘটনায় বুধবার (২০ জুন) দুপুরে তিনজনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নড়াইল সদরের ডাঙ্গাসিঙ্গীয়া গ্রামের ভূক্তভোগী মেয়েটিকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলার আসামিরা হলো-সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামের আজাদ মিনার ছেলে রফিকুল মিনা (৩০), হালিম মিনার ছেলে শাহজালাল মিনা (২৩) এবং আজগর মিনার ছেলে মাসুম মিনা (২৫)। এদিকে বুধবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভূক্তভোগী মেয়েটি নড়াইলের ব্রাক্ষণীনগর গ্রামে নানাবাড়িতে থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে। মামলার বিবরণে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে যশোর থেকে নড়াইলে আসছিলো অষ্টম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে নড়াইলের হবখালী আদর্শ কলেজ এলাকায় অটোবাইক থেকে নেমে যায় তারা। রাত ৯টার দিকে মাসুমের দোকানের কাছে পৌঁছালে ৮-৯ জন লোক তাদের (প্রেমিক-প্রেমিকা) পথরোধ করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নেয়ার কথা বলে তাদের হবখালী বাজারের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এলাকার কয়েকজন যুবক। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত রফিকুল মিনা, শাহজালাল মিনা ও মাসুম মিনা হবখালী কলেজ এলাকায় প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে পাটক্ষেতে নিয়ে প্রেমিকা গণধর্ষণ করে এবং বুক, মুখ ও হাতের বিভিন্ন অংশে জখম করে। গণধর্ষণের পর আসামিরা হুমকি দেয়-বিষয়টি কাউকে জানালে তারা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের পর মেয়েটি অসুস্থ হলে পড়লে অভিযুক্ত যুবকেরা তাকে (মেয়েটি) ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। রাত ১২টার দিকে প্রেমিকসহ স্থানীয় তিনজন ভূক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে শাকিলের বাড়িতে নিয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলেন। ওই রাতেই শাকিলের বাড়িতে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হয়ে ভূক্তভোগী মেয়েটির পাশে দাঁড়ান। পরে পুলিশ এসে প্রেমিক-প্রেমিকা উদ্ধার করে নড়াইল সদর থানায় নিয়ে আসে। দ্রুত গ্রেফতারসহ যথাযথ বিচার দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, এ ঘটনায় বুধবার (২০ জুন) দুপুরে তিনজনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে