জাহিরুল ইসলাম মিলন।।যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শা থানার এস আই মামুন ও টহল টিমের হাতে দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়। সোমবার রাতে পেশাগত কাজ শেষ বাগঅাঁচড়া থেকে বাড়ি ফেরার সময় কন্যাদহ গ্রামে এস আই মামুন ও তার টিমের হাতে বাংলাদেশ সারাদিনের যশোর জেলা প্রতিনিধি মোঃ রাসেল ইসলাম ও শার্শা বার্তা পত্রিকার বাগঅাঁচড়া প্রতিনিধি শাহারিয়ার হুসাইন লাঞ্ছিত হয়।
শার্শা থানার এস আই মামুনকে পরিচয় দিলে তিনি বলেন, কিসের সাংবাদিক,কিসের রিপোর্টার বল। আর একজন পুলিশ বলে সাংবাদিক শব্দের অর্থ কি তাড়াতাড়ি বল।
এস আই মামুন ও তার টিম উচ্চ কন্ঠে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেয়। যদি সংবাদকর্মীরা এই ভুগান্তিতে পড়ে তাহলে সাধারন মানুষের অবস্থা কি হবে।
কন্যাদহ গ্রামের সরদ্দার পাড়ার মোড়ে এস আই মামুন ও তার টিম নিয়ে অবস্থান করছিলো। সেই সময় বাগঅাঁচড়া থেকে কন্যাদহ গ্রামে আসার পথে দুই সংবাদকর্মীকে দাড়ঁ করিয়ে মোটরসাইকেল থেকে নামতে বলে।
সে সময় এস আই মামুনকে লাঞ্চিত সাংবাদিক দুইজন পরিচয় দেয়ার পরেও তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায়না যে তারা সাংবাদিক। তারপরে দুই সংবাদিক পরিচয় পত্র দেখায় তাতেও বিশ্বাস করে না । এসময় তার পাশে থাকা এক পুলিশ কোমর থেকে পিস্তল বেড় করে ম্যাগাজিন খুলে আবার ম্যাগাজিন লোড করে দুই সংবাদকর্মীকে ভয় দেখায়। ওই দুই সংবাদকর্মী বলেন,তখন পরিস্থিতি এমন হয় যে, এস আই মামুন সন্ত্রাসী ভাবমূর্তি ধারন করেছে যখন তখন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
তার ভাবমুর্তী দেখে মনে হচ্ছিলো তিনি অাইনের লোক হয়ে সাধারন মানুষের জান মালের রক্ষা করবে কি, মানুষকে মারার পরিকল্পনা করছে। না জানি এভাবে কত সাধারন মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে এস আই মামুনের হাতে।
লাঞ্চিত সংবাদকর্মী বলেন, এসআই মামুন বলেন তুই যে সাংবাদিক তোর সার্টিফিকেট ও রেজাল্ট কি বল। বিভিন্ন কায়দায় ওই দুই সংবাদকর্মীকে চিনেও না চেনার ভান করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিলো কিন্তু তারা তাদের কাজে ব্যর্থ হয়। তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার সময় সাংবাদিক মোঃ রাসেল ইসলাম যখন নিরুপায় হয়ে ওসিকে ফোন দিতে চাই তখন পিছন থেকে আর এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বলে, কোন ওসি? তখন সাংবাদিক রাসেল বলে শার্শা থানার ওসি মশিউর রহমান সাহেবকে ফোন দিচ্ছি। আপনারতো আমাদেরকে চিনেও না চেনার ভান করছেন। ওসিকে ফোন দিবি কেন? এখানে সেকেন্ড অফির্সার রয়েছে দেখছিস না? চারিদিক থেকে দুই জন সংবাদকর্মীকে নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে। তখন সাংবাদিক শাহারিয়ার বলেন,আমাদের বাগঅাঁচড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ ভাইয়ের সাথে ছিলাম কাজ শেষে বাসায় ফিরছি৷
তখন তারা বলে বাগঅাঁচড়ায় প্রেসক্লাব কয়টা এবং সভাপতির কাছে ফোন দে, পরে বাগঅাঁচড়া প্রেসক্লাবের সভাপতির সাথে এস আই মামুন কথা বলার পর সর্বোচ্চ লাঞ্চিত শেষ করে অবশেষে সেই দুইজন ভুক্তভোগী সাংবাদিক কে তাদেরকে বাড়িতে যেতে বলে।
এই যদি হয় এস আই মামুনের কর্মকান্ড তাহলে বিচারের আশায় কোথায় যাবে সাধারন মানুষ।এই ঘটনায় সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃসাহিদুল ইসলাম শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আয়ুব হোসেন পক্ষী,আইন বিষয়ক সম্পাদক জাহিরুল ইসলাম মিলন সহ সকল সদস্যবৃন্দ নিন্দা জ্ঞাপন ও এসআই মামুনের সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন।