খবর৭১: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার তাদের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন।
মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা সকাল থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন।
দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর সিটিতে আওয়ামী লীগ তৃণমূলে আরও সুসংগঠিত হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বিভেদ ছিল সেটা কাটিয়ে উঠেছে।
তাছাড়া দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশনায় জেলার সব নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়ে কাজ করছেন নৌকার পক্ষে। রোববার আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বাসভবনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে জেলার মন্ত্রী এমপিসহ মহানগরীর সবকটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা নৌকার পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলমের মিডিয়া সেল জানায়, সোমবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীর আলম গাছা সাংগঠনিক থানা এলাকায় গণসংযোগ ও পথ সভায় বক্তব্য দেবেন।
অপরদিকে বিএনপি গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে। মামলা নেই এমন নেতাকর্মীদের কেন্দ্রে এজেন্ট করা হবে। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে থেকে আগের চাইতে আরো বেশি সংখ্যক নেতা গাজীপুরে পাঠানো হবে। নির্বাচনের পুরো বিষয়টি মনিটরিং করা হবে কেন্দ্র থেকে।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল জানান, গাজীপুরে খুলনার মতো করতে চাইলে গাজীপুরের জনগণ তা প্রতিহত করবে।
গত ১৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় হাইকোর্টে রিট হলে আদালতের নির্দেশে তা স্থগিত হয়ে যায়।
পরবর্তীতে দুই মেয়র প্রার্থী এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ তুলে দেন। ফলে নির্বাচন কমিশন ২৬ জুন ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করে।