খবর ৭১: ম্যাচ না দেখে পরিসংখ্যান ঘাঁটলে মনে হতে পারে, জয়টা অন্যায্য ছিল সার্বিয়ার। দুই দলই সমান ১০টি শট নিয়েছে, গোলে ছিল এর তিনটি।৫৬ মিনিটে কোলারভের বাঁকানো ফ্রিকিক থেকে আর দলকে বাঁচাতে পারেননি নাভাস। জাতীয় দলের জার্সিতেও সমান উজ্জ্বল নাভাস। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও বেশ কিছু অসাধারণ সেভ করেছেন এই গোলরক্ষক। কিন্তু এতেও কোস্টারিকাকে বাঁচাতে পারেননি। সার্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে কোস্টারিকা।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে দেশকে দ্বিতীয় জয়টাও তাই এনে দিতে পারলেন সার্বিয়ান অধিনায়ক। এর মাঝে কেইলর নাভাসকে মাত্র দুটি সেভ করতে হয়েছে। আর স্তয়কোভিচকে হাত বাড়াতে হয়েছে তিনবারই। তাহলে তো কোস্টারিকাই ভালো খেলেছে! কিন্তু পরিসংখ্যান বলবে না, সার্বিয়ার মধ্যমাঠ ও আক্রমণভাগ দারুণ দাপটে খেলেও গোল বের করতে পারেনি। যখনই ডি-বক্সের আশপাশে গেছেন, কোস্টারিকার রক্ষণ ঘিরে ধরেছে তাঁদের। আর শেষ ভরসা হিসেবে নাভাস তো ছিলেনই।
৫৬ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেছেন আলেক্সান্দর কোলারভ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এক দুর্দান্ত ফ্রিকিক থেকে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন এই ফুলব্যাক। যে গোলের জবাব কোস্টারিকা বাকি ৩৪ মিনিটে দিতে পারেনি। গোল আদায় করা আর না করতে দেওয়ার সে খেলায় তাই উত্তেজনা ছড়াল বেশ। গোটা ৩৩ ফাউলও হলো।
উত্তেজনা সবচেয়ে বেশি ছড়াল যোগ করা সময়ে। বল মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিল যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে। সেই বল কে নেবেন, সেটা নিয়ে হাতাহাতির উপক্রম সার্বিয়ার নেমানিয়া মাতিচ ও কোস্টারিকার কোচিং স্টাফের। রেফারিকে এগিয়ে আসতে হলো ঝামেলা মেটাতে। বেশ ঠান্ডা মাথাতেই সব সামলানো গেল, ফলে পকেটে হাত দিতে হলো না রেফারিকে। হলুদ কিংবা লালÑকোনো কার্ডের দেখাও মিলল না।
দুই মিনিট পরে অবশ্য হলুদ নয়, আরেকটি লাল কার্ডের শঙ্কা জেগেছিল। বল দখলের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের মুখে হাত লেগেছিল আলেক্সান্দর প্রিয়োভিচের। কোস্টারিকার খেলোয়াড়দের সমস্বর আবেদন, এটা ইচ্ছাকৃত। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিদের স্ক্রিনের দেখা মিলল আবার। আবারও কিছুক্ষণ গবেষণা, না লাল কার্ড নয়। হলুদ কার্ড নিয়েই এযাত্রা বেঁচে গেলেন সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড। এত উত্তেজনাকর সব মুহূর্তই ম্যাচটাকে টেনে নিল ৯৮ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু ওতেও কোনো লাভ হয়নি কোস্টারিকার। ম্যাচ বাঁচানো গোলটা কোনোভাবেই বের করতে পারেনি মধ্য আমেরিকার দেশটি।