খবর ৭১ঃ পুরো এক মাস সংযমী থেকে পরিশুদ্ধ হৃদয়ে কলুষমুক্ত জীবন, পরিবার ও সমাজ গঠনের অঙ্গীকারে একে অপরকে পরম আবেগে বুকে জড়িয়ে ধরার নামই ঈদ। আর সেই ঈদ উদযাপন করতে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিয়েছেন। নাড়ির টানে শহর নগর ছেড়ে অধিকাংশ মানুষ ছুটে গেছেন প্রিয়জনের কাছে। প্রিয়জনের মুখের হাসি দেখাও যেন আরেক ঈদ। পবিত্র এ দিনটি উপলক্ষে মুসলিম জাহানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করায়। এটি কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, বরং এর মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয় ইসলামে বর্ণিত সাম্যের জয়গান।
ঈদ সমাজে ভেদাভেদ দূর করে বলে মন্তব্য করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘ঈদ এমন একটি উৎসব, যা সমাজের সব মানুষকে এক কাতারে নিয়ে আসে। এখানে ধনী গরিব, উচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন বলে কিছু নেই। সবার মুখে হাসি ফোটায়। আমাদের সমাজ জীবনে এই উৎসব সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে বন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।’
বড় কাটারা আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর মুসলিম জাহানের জন্য আনন্দ ও শান্তির বার্তা নিয়ে এবারও আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ আমাদের শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। মানুষের আনন্দময় সত্তার জাগরণ ঘটায়। মুসলিম উম্মাহকে সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে। ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে ন্যায় ও ইনসাফের শিক্ষা দেয়।’