খবর ৭১ঃ খেলা প্রায় শেষ। ইনজুরি সময়ের ৫ম মিনিটের খেলা চলছিল তখন। গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সেন্ট পিটার্সবার্গের দর্শকরা। কিন্তু ম্যাচের ফলাফলটা সম্পূর্ণ ‘উল্টো’ কথা বলছে। বল দখলের কথায় যদি ধরা হয় তাহলে মরক্কোর ৬৮ শতাংশের পাশে ইরানের ৩২ শতাংশ, মরক্কোর ৪৬২টি পাসের বিপরীতে ইরানের মোট পাস মাত্র ২১৭টি।
কিন্তু নিয়তি তখনও চমক লিখে রেখেছিলেন যে, সেটাই বা ক’জন জানত।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল মরক্কোর। বার বার ইরানের রক্ষণ আর গোলরক্ষকরে পরীক্ষা নিয়েছেন আফ্রিকান জায়ান্টরা। তবে পরীক্ষায় ফেল করেনি ইরানের রক্ষণ।
ম্যাচের একেবারে ইনজুরি সময়ে ফ্রি কিক পেল ইরান। বাম উইং থেকে এহসান হাজসাফি ফ্রি কিক নিলেন। সেই বল ফেরাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে হেড করলেন আজিজ বউহাদ্দাজ। কিন্তু কী নিয়তি, বল ক্লিয়ার না হয়ে সোজা প্রবেশ করলো মরক্কোর জালেই। আত্মঘাতী এই গোলেই ১-০ ব্যবধানে ইরানের কাছে হেরে গেলো মরক্কো।
ম্যাচের ৯৫ মিনিটের আত্মঘাতী গোলটি না হলে হয়তো বলতে হতো, কি খেলাই না খেলেছে মরক্কো। গোল ঠিকই দিয়েছে তারা তবে সেটা নিজের জালে।
তবে ক্ষণে ক্ষণে ইরানের কাউন্টার অ্যাটাকগুলো বেশ ভুগিয়েছে মরক্কোকে। বার বার গোছালো আক্রমণের পরেও গোল না পাওয়ার হতাশার ষোলকলা পূর্ণ করেছেন মরক্কোর ফরোয়ার্ড আজিজ বোওহাদ্দুজ।