খবর৭১: প্রথমার্ধে দুই দল প্রায় সমান সমান লড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে এসে কিছুটা এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। মুহুর্মুহু আক্রমণের পরও অবশ্য গোলের দেখা পাচ্ছিল না অস্কার তাবারেজের দল। শেষ সময়ে এসে ফিরেছে তাদের ভাগ্য। হোসে গিমেনেজের একমাত্র গোলে সালাহবিহীন মিসরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেল তারা।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে এডিনসন কাভানির দুর্বল শট সহজেই ধরে ফেলেন মিসর গোলরক্ষক এল শেনাউই। এর তিন মিনিটের মাথায় সুযোগ মিস করে মিসর। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে বুক দিয়ে রিসিভ করে পায়ে নিলেও ঠিকমতো লাগাতে পারেননি ত্রেজিগেত।
২৩তম মিনিটে বক্সের একটু বাইরে থেকে কাভানির বাঁ পায়ের জোড়ালো শট মিসরের ডিফেন্ডার আলী গাবরের গায়ে লাগে। এরপরই কর্ণারে সবচেয়ে বড় সুযোগটি পায় উরুগুয়ে। কিন্তু লুইস সুয়ারেজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। তার শটে জালের বাইরে লেগে বল চলে যায় বাইরে।
৩২ মিনিটে তারেক হামিদ ফাউল করেন ডি অ্যারাসকায়েতাকে, বক্সের একটু বাইরে ফ্রি-কিক পায় উরুগুয়ে। এবারও শট নিয়ে মিসরের মিসরের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেননি সুয়ারেজ। এরপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করেছে লা সেলেস্তেরা, শেষ মুহূর্তে এসে চাপিয়ে খেলেছে মিসরও। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে না হতেই দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। এবারও সুয়ারেজ। ৪৭ মিনিটে কাভানির কাছ থেকে বল পেয়ে ডানদিক থেকে বার্সা তারকার শট মিসর গোলরক্ষক এল শেনাউইয়ের পায়ে লেগে একটুর জন্য গোল হয়নি।
৭০ মিনিটের সময় কর্ণার থেকে বক্সের মধ্যেই শট নিয়েছিলেন কাভানি। কিন্তু সেটা তারই সতীর্থ মার্টিন কেসেরাসের হাতে লেগে যায়। দুই মিনিট পর মিসরের আহমেদ ফাতহির জোড়ালো শট রুখে দেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা।
ফিরতি আক্রমণে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মিসর শেনাউইকে একেবারে একা পেয়ে যান সুয়ারেজ। কিন্তু কাভানির আলতো টোকায় পাওয়া বলে সময়ক্ষেপণ করে শেনাউইকে আটকে দেয়ার সুযোগ করে দেন বার্সা ফরোয়ার্ড।
৮৩তম মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সেভটি করেন মিসর গোলরক্ষক। ডি বক্সের একটু বাইরে হেডে কাভানির কাছে বল দেন সুয়ারেজ। দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন কাভানি। লাফ দিয়ে এক হাত ছুঁইয়ে সেই বলটা বাইরে পাঠিয়ে দেন শেনাউই।
৮৭ মিনিটে কাভানিকে ডি বক্সের একটু বাইরে ফাউল করে বসে মিসর। এবার পিএসজি স্ট্রাইকারের দুর্দান্ত শট ফেরত আসে বারে লেগে। তবে দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করতে সময় নেয়নি উরুগুয়ে। শেষ বাঁশি বাজার একটু আগে (৯০তম মিনিটে) কার্লোস সানচেজের ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে দারুণ হেডে গোল করে দেন হোসে গিমেনেজ (১-০)।