মোঃ আব্দুল হালিম ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ফুলবাড়িয়া উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাউল খোদ খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহের সময় ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে।
গুদাম থেকে সরবরাহকৃত বস্তায় ৩০ কেজি চাউল থাকার কথা থাকলেও প্রতিবস্তায় চাউল পাওয়াগেছে ২৪ থেকে ২৯ কেজি!। যা নিয়ে চেয়ারম্যানদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কুশমাইল ইউনিয়নের ৭ হাজার ৪ শ দুঃস্থ হতদরিদ্র কার্ডধারীর জন্য সরকার ঈদুল ফিতরে ৭৪ মেট্রিক টণ চাউল বরাদ্দ প্রদান করেন।
উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিএফের সরবরাহকৃত চাউল বুধবার কুশমাইল ইউনিয়নের দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ কালে চাউলে বস্তায় ওজনে কম থাকায় ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বাসেত কে বিষয়টি জানালে তিনি ২০/৩০ টি চাউলে বস্তা ওজন করলে ৩০ কেজির স্থলে ২৪ থেকে ২৯ কেজি করে চাউল পায়।
সূত্রে জানাগেছে, খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিএফের চাউল সরবরাহের কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ মিনিট পূর্বে গুদামের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজসে শ্রমিকরা চাউলের বস্তা ভোঙ্গা (বস্তার ভিতরে চাউল দেখার লোহার যন্ত্র) দিয়ে ছিদ্র করে দেয়। ছিদ্র দিয়ে চাউল পরার পর গুদামের শ্রমিকরা পূনরায় বস্তার ছিদ্র বন্ধ করে দেওয়ায় ধরার কোন সুযোগ নেই।
কুশমাইল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শামছুল হক বলেন, আমার ইউনিয়নে ৭৪ মেট্রিক টণ চাউলের মধ্যে ধারনা করছি প্রায় ৫ হাজার কেজি চাউল খাদ্য গুদাম থেকে কম দিয়েছে। গুদাম থেকে চাউল কম দেওয়ার বিষয়ে ফুলবাড়ীয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ রব্বানী বলেন, ৩০ কেজির স্থলে ২৪ কেজির একটা বস্তা অনেক লুজ (খালি) দেখাযায়, কম থাকলে সরবরাহের সময় বস্তাগুলো চেয়ারম্যানের চোখে পরতো।
ঈদুল ফিতরে পৌরসভাসহ ১৩ টি ইউনিয়নের ৮৩ হাজার ১৪ জন হতদরিদ্র ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ হওয়ার কথা থাকলেও গুদামে পুরাতন চাউল সংকট থাকায় ১০ টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার হতদরিদ্র ঈদে ভিজিএফের চাউল থেকে বি ত হচ্ছে।
খবর ৭১/ইঃ