খবর ৭১: অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার সময়ক্ষেপন করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।
বুধবার আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। রাজধানীর বিজয় নগর হোটেল অরনেটে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লেবার পার্টির একাংশের আয়োজনে কারাবন্দি জোট নেত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এই ইফতার মাহফিল হয়।
আমরা জনগণ ও দেশের মানুষের শক্তিতে বিশ্বাস করি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় জনগণের শক্তি নিয়েই আন্দোলনকে সফল করেছি। জনগণের শক্তি নিয়ে আমরা নির্বাচনে জিতেছি, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছি এবং সরকার গঠন করেছি। কারো দয়া বা কারো নির্ভরতার আমরা রাজনীতি করি না। সুতরাং বাংলাদেশের জনগণের গায়ে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দিতে কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার আস্থার ব্যাপার আছে। আর জেল কোডে কোথায় লেখা নেই যে, শুধু মাত্র সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করতে হবে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড হসপিটালে তার চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হলে বিএনপি সমস্ত খরচ বহন করবে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিবার বহন করবে। সুতরাং এখন বিলম্ব করার অর্থই হচ্ছে, বেগম জিয়ার জীবনে একটা হুমকির সম্মুখিন হওয়া। আমরা মনে করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হসপিটালে নিয়ে তার সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমইউ) চিকিৎসা নিতে খালেদা জিয়ার অনাগ্রহের পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা খুব সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন, যিনি রোগী তার আস্থার ব্যাপার আছে। জেলকোডের কোথাও বলা নেই যে, শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী কারাগারে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। সেই জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির জন্য কাজ করতে হবে। এজন্য সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সকল মানুষকে এক করে এই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়। যেখানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন করতে হবে, যে সংসদ আছে তা ভেঙে দিতে হবে এবং নির্বাচনের সময়ে সেনা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মোস্লাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ইফতারে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম প্রমুখ।