খবর৭১: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলাধীন এনায়েতপুর থানা সদরের ব্রাহ্মনগ্রাম-আড়কান্দি থেকে পাচিল পর্যন্ত প্রায় ৫কি: মি: এলাকায় যমুনার
ভাঙন চলছেই। এ বছর যমুনার পানি বৃদ্ধির পর থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বহু বসত-ভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
গত বছর বিলীন হয়েছে অন্তত দেড়শতাধিক ঘর বাড়ি। এই ভয়াবহ ভাঙনের কথা গনমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সে সময় জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে আসেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তার আগমনে যমুনা পাড়ের বাসিন্দারা খুশি হয়েছিলো নদী তীর রক্ষা বাঁধ হবে এমন আশা করে। কিন্তু কি হলো???
বিগত প্রায় এক বছর হয়ে গেল পাউবো এক ব্যাগ বালু কিংবা এক টুকরা পাথরও ফেললো না নদী তীর রক্ষায়। তাদের কথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনৈতিক দলের নেতা অথবা সরকার যদি এগিয়ে না আসে আমাদের কিছুই করার নেই। এই অবস্থায় ক্রমেই মানুষের মধ্যে হতাশা বেড়ে চলছে। কারন দিন যাচ্ছে নদী ভাঙন তীব্রতর হচ্ছে, বিলীন হচ্ছে সমৃদ্ধ জনপদ। এখনই ভাঙন ঠেকানো না গেলে নদীতে বিলীনের হুমকিতে পড়বে দেশের বৃহৎ কাপড়ের হাট, থানা ভবন, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল,বিশ্ববিদ্যালয়, বহু তাঁত কারখানা, এনায়েতপুর -পাচিল সড়ক ও হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।
এদিকে ভুখন্ড হাড়িয়ে দিশেহারা হচ্ছে সাধারন মানুষ। কিন্তু কেউ খবর রাখছে না। অথচ ভোটের সময় সবাই আসে। কয়েক মাস পড়েই জাতীয় নির্বাচনের ভোট, তাই ভোটের আগে যদি ভাঙনরোধে কোন ব্যাবস্থা নেয়া না হয়, তাহলে চিন্তা ভাবনা করে এই নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় গনসংযোগে আসতে হবে সব প্রার্থীকেই। এতে হিতে বিপরীত হবার আশঙ্খা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। কারন অসহায় মানুষ গুলো শুধু ভোটের সময়ই একমাত্র পাওয়ারফুল! তাই নেতা বা কর্তারা একটু খেয়াল করুন প্লিজ, অসহায়দের বাঁচান। নদী তীর
রক্ষায় ডামপিং কাজ শুরু করে দেয়ার ব্যাবস্থা করে দিন। বহু উন্নয়নমুলক কাজইতো করে যাচ্ছেন। এই কাজতো আপনাদের অসাধ্য কিছু না। একটু সময় নদী পাড়ের ভোটারদের জন্য দিন, এরা রাজকীয় ইফতার পার্টি কিংবা লাখ লাখ টাকা খরচের দামি শিল্পীদের কনসার্ট উপভোগ করতে উপজেলা সদরে যায় না। এরা নিজ জন্মভুমিতে খেয়ে না খেয়ে বেচে থাকতে চায়।
দয়া করে এই মানবিক সুযোগটা সৃষ্টি করে দিন। এটা আপনাদের ভোটের মাঠে আশীর্বাদ হতে পারে। দোয়া ও সহযোগিতা পাবেন শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের বিশাল জনগোষ্ঠির।
লেখক:
রফিক মোল্লা
সাংবাদিক
এশিয়ান টিভি, দৈনিক বর্তমান ও দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম