কোম্পানীগঞ্জের পাথর খেকোদের আগ্রাসনে সঞ্চালাইনসহ ঝুঁকিতে পল্লী বিদ্যুতের খুটি

0
376

হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক সুনামগঞ্জ
প্রতিনিধিঃ
কোম্পানীগঞ্জের কালাইরাগ এলাকায় পাথর খেকোদের আগ্রাসনে সঞ্চালাইনসহ কয়েকটি বিদ্যুতের খুটি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খুঁটির তলদেশ থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে পল্লীবিদ্যুতের বেশ কয়েকটি খুঁটি হেলে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যেকোন মুহুর্তে সঞ্চালন লাইনসহ ভু-পাতিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। পাথর খেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার সাহস রাখে না বলেই তারা নির্বিঘেœ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধবাবে পাথর কোয়ারী খনন বন্ধে এবং পল্লীবিদ্যুতের খুঁটি রক্ষায় সোমবার কোম্পানীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ-২ এর ডেপুটি ম্যানেজার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন আন্তঃ মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র(আসক) ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক বাপ্পী চৌধুরী। অভিযোগ থেকে জানা যায়, কালাইরাগ মৌজার ডিসির খতিয়ানের ৩৬২ দাগের প্রায় ৬৮ একর ভুমি এবং কালইরাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রেকর্ডিয় ভুমিতে পল্লী বিদ্যুতের বেশ কয়েকটি বসিয়ে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছ। প্রায় প্রতিটি খুটি সংলগ্ন রয়েছে এক্সেবেটর দিয়ে খনন করা বিশাল বিশাল পাথর কোয়ারী। বর্তমানে এসব কোয়ারীকে পানি জমে বড়-বড় ডুবায় পরিনত হয়ছে। এসব বিদ্যুতের খুঁটির তলদেশ দেশ পর্যন্ত খনন করায় প্রতিটি খুঁটি এদিক-ওদিক হেলে পড়েছে। কোয়ারী খননকারীদের প্রতিহত না করা গেলে সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষে যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে তা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। বিপদজ্জন এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি যেকোন সময় ধ্বসে পড়ে জানমালের বড় রকমের ক্ষতি সাধিত হতে পারে। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ন বিবেচনা করে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয় আবেদনে। আন্তঃ মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র(আসক) ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক বাপ্পী চৌধুরী জানান, কালাইরাগ ও ভাটরাই এলাকায় মসজিদ,মন্দির, স্কুল, কবরস্থান, শ্মশানঘাটও চলাচলের রাস্তা পাথর খেকোদের আগ্রাসনে বিরান ভুমিতে পরিতন হচ্ছে। কয়েকট চিহ্নিত প্রভাবশালী চক্র এসব কাজে জড়িত রয়েছে। এ ছাড়া কালাইরাগ রেলওয়ে ভুমি, রোপওয়ে বাংকার হাইল্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন চলছে। প্রতি রাতে জিরো পয়েন্টের সাদা পাথর চোরাই পথে বিক্রি হচ্ছে। ফলে সরকারী কোটি-কোটি টাকার সম্পদ চোরাই পথে চলে যাচ্ছে।##

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here