মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতাঃ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান জড়িয়ে আছেন বাংলাদেশের সার্বিক অস্তিত্বের সাথে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনী গনহত্যা শুরু করার পর জাতী যখন দিশেহারা নেতৃত্বহীন, ঠিক তখনই আশার আলোকবার্তিকা হাতে নিয়ে চট্রগ্রাম ক্যান্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সেদিনের সাহসী সেনা মেজর জিয়াউর রহমান। তার সেই সাহসী কর্মকান্ডের ফসল আজ আমরা ভোগ করছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য শহীদ জিয়ার সাহসী কর্মকান্ডকে স্বীকার করতে ভয় পাই দেশের বর্তমান সরকার। তারা কাপুরুষের মত শহীদ জিয়াকে নিয়ে কুৎসা রটাতে সারাক্ষন ব্যাস্ত থকেন। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম কখনও মুছে ফেলা যাবেনা। গতকাল বিকালে চৌগাছা উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের চাপাডাঙ্গায় ইউনিয়ন বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৩৭ তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও ইফতার মাহফিলের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম ,পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মামুনুর রশিদ মামুন, মমিনুর রহমান মমিন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ এ সময় আরও বলেন, জিয়াউর রহমান কখনও ক্ষমতালোভী ছিলেন না। তিনি সব সময় এদেশের মেহনতী মানুষের কথা ভাবতেন। তার শাসনামলে এদেশ ধীরে ধীরে উন্নতীর দিকে ধাবিত হতে থাকে। কিন্তু দেশী বিদেশী চক্রান্তে মহান এই নেতাকে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারন করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশে আজ কোন গনতন্ত্র নেই, গনতন্ত্র পনঃউদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করাই বিএনপির প্রথম লক্ষ। দিনের যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে সকলকে এক জোট হয়ে দাবি আদায়ে মাঠে নামতে হবে। শান্তিপূর্ণ সেই আন্দোলনে যদি কোন প্রকার দমন পিড়ন, নির্যাতন নিপিড়ন চালানো হয় তাহলে রাজপথেই তার জবাব দিতে হবে বলে হুসিয়ারী দেন নেতবৃন্দ। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় শতশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতীর কল্যানে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
খবর ৭১/ইঃ