্খবর ৭১ ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোন ইস্যু ছাড়াই বিএনপি নেতা কর্মীদের অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে। বিশেষ করে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা কর্মীরা এ হামলার শিকার হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ছাত্রদল যুবদলের প্রায় ৩৫ জন নেতা কর্মী তাদের হামলার শিকার হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।
বিএনপি দলীয় সুত্রে জানাগেছে, আ.লীগ সরকারের শুরু থেকেই বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর হামলা- মামলার খরগ চলে আসছে। দফায় দফায় দলীয় অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪০ বারের বেশি দলীয় অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের হামলার ঘটনায় দৌলতখানে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নেতা কর্মীরা দলীয় কর্মকান্ড চালানো তো দুরের কথা, স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করতে পারছেনা। তাদের ভয়ে কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জানাগেছে, গত ১৮ মে সন্ধার পর হঠাৎ বিএনপি অফিসে হামলা- ভাংচুর চালায় ছাত্র ও যুবলীগের ক্যাডার আজগর, সুমন, মাহাবুবসহ ৩০/৪০ জনের একটি ক্যাডারবাহিনী । এ সময় নেতা কর্মীরা অফিসে বসে খবর দেখছিল । ওই হামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের ২০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। ওই দিন থেকেই ক্যাডারদের মহড়া চলতে থাকে। শুরু হয় কথায় কথায় মারধর। ২১ মে দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় ভোলায় যাওয়ার পথে চরপাতা সুবেদার মোড় এলাকায় দৌলতখান উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ তালুকদার জুয়েলের উপর অতর্কিত হামলা চালায় আজগর, মাহাবুব ও সুমনের নেতৃত্বে ওই ক্যাডারবাহিনী। ৫ জুন বিকালে দৌলতখান উত্তর মাথায় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলেরর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের উপর হামলা চালায় ওই গ্র“পটি। একই দিন সন্ধার পর পার্টি অফিসের সামনে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজমীরকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে ওই সন্ত্রাসীরা। ৭ জুন সন্ধার পর হঠাৎ হামলা চালায় যুবদল নেতা জুলুর উপর। তার আধাঘন্টা পরে একইভাবে হামলা করে বিএনপি কর্মী শুভর উপর। রাত ৮ টার সময় ছাত্রদল নেতা সাব্বিরের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
এদিকে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দৌলতখানে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে জানান দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি ফারুক তালুকদার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারী দলের ক্যাডারবাহিনী প্রতিনিয়ত আমাদের নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। সামনে আরো নেতা কর্মীদের উপর হামলার হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে বহু নেতা কর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছে ।
দৌলতখান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান,ক্যাডারদের প্রতিমুহুর্তের মহড়ার ফলে ব্যবসা বানিজ্যের চরম ধষ নামতে শুরু করেছে কারণ সামনে ঈদ আসছে। ক্রেতারা ভয়ে বাজারে আসছেনা। কখন কি যেন ঘটে যায়। বিশেষ করে সন্ধার পর মারামরির ঘটনা ঘটে। যখন কেনা বেঁচার সময়।
দৌলতখান উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জাহাঙীর জানান, আমাদের দলের কেউ হামলার সাথে জড়িত কিনা জানা নেই।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান,হামলা ভাংচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।