গবর ৭১ঃরোজা রাখাবস্থায় অনেক রোগীর ওষুধ সেবন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন।
রোজা রেখে কান ও নাকের ড্রপস দেয়া যাবে। সাইনোসাইটিস রোগীরা নাকে স্প্রেও ব্যবহার করতে পারবেন।
কান পাকা রোগে ড্রপ- ইফতার ও সেহ্রির মধ্যবর্তী সময়ে ওষুধ ব্যবহার করা ভালো। কারণ কানের পর্দায় ছিদ্র থাকলে, ছিদ্রের মাধ্যমে ওষুধ গলায় চলে যেতে পারে।
মাউথওয়াশ ও কুলি- সাবধানে করতে হবে যাতে পানি বা টুথপেস্ট পেটের ভেতর না যায়। পাকস্থলীতে থু থু প্রবেশ না করলে রোজা ভাঙবে না।
ইনহেলার- এটি নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। তবে রোটাহেলারে পানি পেটে যেতে পারে। ফলে রোজার ক্ষতি হয়।
এন্টিবায়োটিক- ওষুধের ব্যবহার এ সময় ২৪ ঘণ্টায় দু’বার অর্থাৎ ইফতার ও সেহেরির মধ্যবর্তী সময়ে দেয়া হয়।
অপারেশন- রোজায় নাক কান গলার কোনো অপারেশন ইফতারের পরে সাধারণত করা হয়। অনেক অপারেশনের পরদিন থেকেই রোগী রোজা রাখতে পারবেন।
তবে ইমার্জেন্সি কোনো অপারেশন যেমন- নাক কান দিয়ে রক্ত পড়া বা নাকে কোনো ফরেন বডি ঢুকে গেলে তার তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করতে হবে।