জাহিরুল ইসলাম মিলন, যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক ইটভাটা মালিককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়ার এক সপ্তাহ পার হলেও তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ফলে পুলিশের ভূমিকা এবং ইউএনও’র নির্দেশ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানা যায়, উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মহেশপাড়া বি.কে.এইচ দাখিল মাদ্রাসার পাশে বিষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আমিরুল ইসলাম ও জালাল গাজীর ছেলে ওমর আলী ইটভাটা স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। মাদ্রাসার পাশে ও জনবহুল এলাকায় হওয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষক/কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং গ্রামবাসী ইটভাটা বন্ধের দাবি জানিয়ে গণস্বাক্ষর করে যশোর জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বন বিভাগ অধিদপ্তর, উপজেলা কৃষি অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাটা মালিক আমিরুল ইসলাম ও ওমর আলীকে তার দপ্তরে ডাকেন। তারা দু‘জন ওই স্থানে ইটভাটা করবে না বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু গোপনে ইটভাটা স্থাপনের কার্যক্রম চালায়। সেখানে মাটি উত্তোলন ও চিপনি তৈরির কাজ করেছে। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম গত ১৭ মে ইটভাটায় অভিযান চালায়। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ভাটা মালিক আমিরুল ইসলামকে ফোন দিয়েও পাননি। বাঁকড়া বাজারে তার দোকানে গেলে সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই বাবুল শিকদারকে আমিরুল ইসলামকে যেকোন ভাবে গ্রেফতার এবং ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এক সপ্তাহ পার হয়েছে। ভাটার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভাটার মালিককে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এতে করে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকের বলতে শোনা গেছে, পুলিশের কাছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশের কোন মূল্য নেই? নাকি পুলিশকে ভাটা মালিক ম্যানেজ করেছে? এব্যাপারে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই বাবুল শিকদার জানান, ইউএনও আমাকে মুখে বলে গেছেন, কোন লিখিত না দিলে আমি তাকে ধরতে পারি না।