‘সকলের কাছে আর্থিক লেনদেন সহজ ও নিরাপদ করেছে ট্যাপ এন পে’

0
696

খবর ৭১: সকল শ্রেণির বা পেশার মানুষের কাছে আর্থিক লেনদেন সহজ এবং নিরাপদ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মেঘনা ব্যাংক ট্যাপ এন পে এর হেড অফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ইমন এ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সব সময় চিন্তা করেছি এমন একটি টেকনোলোজি নিয়ে, যাতে সকল শ্রেণির বা পেশার মানুষ আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সহজ এবং নিরাপদ সেবা পায়।
“মেঘনা ব্যাংক ট্যাপ এন পে“ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদেরকে পূর্বের চেয়ে অনেক দ্রুত ভালো মানের সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছি।
ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় ইমন এ হোসেন বলেন, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং এ আসার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং এর জার্নি বলতে হলে ক্যারিয়ারের শুরুর কথা বলতে হবে। আমি ২০০১ সালে অনার্স পড়া শুরু করি কম্পিউটার সাইন্সে। পরবর্তীতে এমবিএ সম্পূর্ণ করি মার্কেটিং বিষয়ে। সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং একটি কোম্পানির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এ ব্যাপারটি বুঝতে শিখি। তাই এমবিএ চলাকালীন সময়েই ২০০৫ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করি। সাত মাস কাজ করার পর ২০০৬ সালে গ্রামীণফোনে যোগদান করি। সেখানে ছয় বছর সফলভাবে কাজ করি। তখন মোবাইলে বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল দেওয়ার ব্যাপারটা অকল্পণীয় ছিল। ওই অকল্পণীয় কাজটি আমরা করেছিলাম। আমরা প্রত্যেকটি দোকানে গিয়ে এ বিষয়টি শিখাতাম। এ কাজ করতে করতে মার্কেট সম্পর্কে ধারনা আরো বিস্তৃত হয়। ২০১১ সালে বিকাশে কাজ করার সুযোগ আসে। বিকাশে চাকরি করাকালীন সময়ে বিভিন্ন ট্রেনিং দিতে হয়েছে মাঠ পর্যায়ের কর্মী এবং দোকান ব্যবসায়িদেরকে।
আমি চার বছর বিকাশে কাজ করি। পরবর্তীতে সামিট কমিউনিকেশনস। শিওর ক্যাশ এবং বর্তমানে ২০১৬ সাল থেকে মোবাইলিটি আই ট্যাপ পেতে হেড অফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং হিসেবে কাজ করছি “মেঘনা ব্যাংক ট্যাপ এন পে’ শীর্ষক মোবাইল ব্যাংকিং ব্র্যান্ড নিয়ে।
তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অভিজ্ঞ সিনিয়রদের সাথে আলোচনা করে নিতে।

আমরা যে কাজটি করব সেই কাজটির প্রতি ভালবাসা থাকতে হবে। সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গঠণে তরুণদের অবশ্যই পড়ালেখার দিকে নজর দিতে হবে।

সিভিটা পরিপূর্ণ হতে হবে। অনলাইনে যে সময়টা ব্যয় করি, সেই সময়টা পজিটিভ এবং শিক্ষণীয় কাজে ব্যয় করার চেষ্টা করা যেতে পারে।

পড়ালেখার পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া খবরাখবর রাখতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান থাকতে হবে। ইন্টারভিউ বোর্ডে পোশাক পরিচ্ছেদের ব্যাপারে সবসময় সর্তক থাকতে হবে।

কখানো হতাশাগ্রস্ত হওয়া যাবে না। তরুণরা এক সময় এ দেশ চালাবে। তরুণরা ইচ্ছা করলে অনেক কিছু করতে পারে।

নিজেকে পৃথিবীর বোঝা হিসেবে না বরং সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণী দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here