খবর ৭১ঃদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আজ বিএনপির নেতাকর্মীরা শঙ্কিত যদি আবার সরকারি দল ক্ষমতায় আসে কী হবে? একইভাবে ক্ষমতাসীন দলও ভাবছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাদের কী হবে? এটা কি দেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ?
শনিবার ঢাকার লেডিস ক্লাবে রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তারা এ শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘আজকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়ে বুক কাঁপে ধুর ধুর করে, কাঁপবে না কেন? তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। আবার সরকারি দল ক্ষমতায় এলে তাদের কী হবে? এটা স্বাভাবিক শঙ্কা। অভিজ্ঞতায় বলে খুব সুবিধা হবে না। একইভাবে সরকারের কিছু কিছু রাজনৈতিক কর্মী আমার কাছে আসছেন তাদেরও বুক কাঁপে। যদি বিএনপি আসে তাহলে তাদের কী হবে? এটা কি খুব ভালো কথা। এটা কি রাজনীতির জন্য শুভ?’
তিনি বলেন, ‘এমন একটা শক্তি দরকার যে ওদিকেও কনট্রোল করতে পারে, এদিকেও কনট্রোল করতে পারে, তাহলেই দেশ রক্ষা পেতে পারে।’
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার চেয়ারটি ফাঁকা রেখেই বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ রাজনীতিবিদদের নিয়ে ইফতার করেন বিএনপি নেতারা।
মঞ্চে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
অতিথি সারিতে বসে ইফতার করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আসম আবদুর রব, তার স্ত্রী তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক।
ইফতারে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারোয়ার, আবদুল হালিম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, মো. সেলিম উদ্দীন, মোবারক হোসেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার রেহানা প্রধান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টির দুই অংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দুই অংশের মাওলানা নুর হোসাইন কাশেমী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, মাহমুদ হাসান খান বাবু, কাজী আবুল বাশার, শায়রুল কবীর খান প্রমুখ।
ইফতারের আগে কারাবন্দি অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আরোগ্য লাভসহ দেশে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
খবর ৭১/এসঃ