উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
ইজিবাইক যাত্রীর ফেলে রাখা এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত প্রদানকারী স্বপন গাজীকে নিজ হাতে পুরস্কৃত করলেন নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম। আর তার এই কাজ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নড়াইলের সর্বস্তরের জনগণ। মূলত মানুষকে সৎভাবে জীবনযাপন করার লক্ষে উৎসাহ প্রদানের জন্য তিনি এই পুরস্কার প্রদান করেন। শুক্রবার (১৮ মে) সকালে পুলিশ সুপারের নিজ কার্যালয়ে নড়াইলের সন্তান ইজিবাইক চালক স্বপন গাজীকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, নড়াইল ইজিবাইক বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ লায়েব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, ক্লাবটির সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্নিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। জানা গেছে স্বপন গাজী পেশায় একজন ইজিবাইক চালক। তার ইজিবাইকে একজন যাত্রী ভুল করে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেলে রেখে যান। পরবর্তীতে সেটি পেয়ে স্বপন ওই যাত্রীকে খুঁজে বের করে তার টাকা তাকে ফেরত প্রদান করেন। আর তার এই সততায় অভিভূত সমগ্র নড়াইলবাসী। এ কারণে নড়াইলের পুলিশ সুপারও তাকে পুরস্কৃত করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। এ প্রসঙ্গে নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, ইজিবাইক যাত্রীর ভুলক্রমে ফেলে যাওয়া এক লক্ষ প াশ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ায় আবারও প্রমাণ হলো নড়াইল জেলায় গুণীজনের পাশাপাশি সৎ লোকও বাস করে যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্বপন গাজী। তাকে পুরস্কৃত করে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। সেই সাথে নড়াইলের সবাই যাতে স্বপন গাজীকে আইকন হিসেবে গ্রহণ করে তার মত সততার পরিচয় দেন সেজন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। এ বিষয়ে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায় ও সাধারণ সম্পাদ মোঃ হিমেল মোল্যা যৌথভাবে বলেন, একজন ইজিবাইক চালক নিজের দারিদ্রতা রুখতে লোভের শিকার হয়নি। নিজের লোভকে জলাঞ্জলি দিয়ে পুলিশ সুপারের হাত দিয়ে যার টাকা তাকে ফিরিয়ে দেওয়ায় সততার এক নজির সৃষ্টি করেছে। আর এ উপলক্ষে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের প্রত্যেক সদস্য তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন। এদিকে নড়াইল জেলা বিশেষ শাখায় কর্মরত পুলিশ সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ইজিবাইক চালকের মন-মানসিকতা এতো সৎ ও উদার হতে পারে তা আমি আমার চাকুরি জীবনে এই প্রথম দেখলাম। সত্যিই এই মহৎ মানুষটি স্যালুট পাওয়ার দাবিদার।