খবর ৭১: কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি চলাকালীন সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীদের মধ্যে গত ১০ এপ্রিল রাতে যে ঘটনা ঘটে সে বিষয়ে ছাত্রীদের কারণ দর্শানোর শোকজ নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের স্বাক্ষর করা এই শোকজ নোটিশের দেয়া হয়েছে। এই শোকজ নোটিশের উত্তর দুই সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। এর আগে হল প্রশাসন কর্তৃপক্ষও একই ধরনের নোটিশ দিয়েছিল ছাত্রীদের।
ছাত্রীদের কাছে নোটিশটিতে পরিকল্পিতভাবে ‘মিথ্যা, অসত্য ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগের’ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, পরিকল্পিতভাবে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে মারধর ও সম্মানহানি করার অভিযোগের’ ব্যাখ্যাও দিতে বাল হয়েছে।
এই নোটিশ দেওয়ার পর কোটা আন্দোলনে জড়িত সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা হয়রানির শিকার হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কোটা আনন্দলনের মূখ্যপাত্র নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন,আমি নিজে ও নোটিশ পড়ে দেখিছ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তা সাধারণ ছাত্রীদের জন্য খুবই দুঃখ জনক। এই নোটিশ নতুন করে হয়রানির ছাড়া আর কিছুই না। সাধারণ ছাত্রীদের কোনো দোষ নেই, শুধুমাত্র ভয়ভীতি দেখানোর জন্য, এ নোটিশ দেয়া হয়েছে ।
গত ১০ এপ্রিল রাতে সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রলীগের শাখা সভাপতি ইফফাত জাহান এশার হাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রীদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এরমধ্যে মোর্শেদা খানম নামে এক ছাত্রীর রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগও ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ ওঠার পর উত্তেজিত ছাত্রীরা ইফফাত জাহান এশাকে লাঞ্ছিত করে। অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এশাকে বহিষ্কার করার কথা জানান। একই সময়ে ছাত্রলীগ থেকেও এশাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু পরে রগ কাটার অভিযোগ ভুল প্রমাণ হলে ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে।